কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে জানুন
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে - এটি স্বাস্থ্যের জন্য এক প্রাকৃতিক উপায়।
এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানুন কলমি শাকে কি কি ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে, এর
উপকারিতা এবং নিয়মিত খাওয়ার সঠিক উপায়। পাশাপাশি কলমি শাক চাষের পদ্ধতি,
ক্ষতিকর দিকগুলো, গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার প্রভাব এবং এর অন্যান্য সার্থকতা
প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কলমি শাক খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কম থাকলে তার স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে। এছাড়াও
কলমি শাক শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়, যা শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে
সহায়ক। নিয়মিত কলমি শাক খাবা শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীরের বিভিন্ন
সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পেজ সূচিপত্র : কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
- কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
- কলমি শাকে কি কি ভিটামিন আছে
- কলমি শাকের উপকারিতা
- কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম
- কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
- গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
- কলমি শাকে এলার্জি আছে কি
- কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
- লেখক এর শেষ মন্তব্য : কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে এটি অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কলমি শাক
খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি শাক। নিয়ম করে এই শাক খাওয়া
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কলমি শাক খেলে
প্রেসার বাড়ে না কমে। কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে চলুন এই বিষয়ে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কলমি শাকে অত্যন্ত উপাদানের পাশাপাশি আছে নাইট্রিক অক্সাইড। যা সাধারণত আমাদের
দেহের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়ম করে কলমি শাক খেলে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়াও কলমি শাকে আরো কিছু উপাদান আছে যেগুলো আমাদের প্রেসার
কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যেমন - ফাইবার, প্রোটিন, মিনারেল,
কার্বোহাইড্রেট। এই সমস্ত উপাদান আমাদের প্রেসার নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে। তাই যদি প্রতিদিন পরিমাণ মতো কলমি শাক খাওয়া যায় তাহলে রক্তের
চাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এই বিষয়গুলো থেকে আমরা বলতে পারি যে যদি নিয়ম করে নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া যায়
তাহলে রক্তের চাপ বাড়েও নাক আবার কমেও না অর্থাৎ প্রেসার নিয়ন্ত্রণিত অবস্থায়
থাকে। তাই বলা যায় এগুলো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতেও অনেক বেশি সহজ। উপরের তো
আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে।
অতএব নিয়ম মেনে কলমি শাকখান এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কলমি শাকে কি কি ভিটামিন আছে
কলমি শাকে প্রেসার বাড়ে না কমে এ সম্পর্কে এতক্ষন জানলেন। এবার আপনাদেরকে কলমি
শাকে থাকা ভিটামিন গুলো কি কি তা বলব। ভিটামিন সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে
তাহলে অন্যান্য বিষয় বুঝার জন্য আপনার আরো বেশি সুবিধা হবে। কলমি শাক হলো প্রচুর
পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি শাক, এই শাকের মধ্যে আছে প্রয়োজনে অনেক পুষ্টি
উপাদান। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। যদি
আমরা ১০০ গ্রাম কলমি শাক ধরি তাহলে এর মধ্যে পানি আছে ৮৯.৭ গ্রাম, আমিষ ৩.৯
গ্রাম, লৌহ ০.৬ গ্রাম।
আরো আছে শ্বেতসার ৪.৪ গ্রাম, আশ ১.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.৭১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন
০.৯ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ১.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালোরি ৩০
কিলো ক্যালরি। এছাড়াও কলমি শাকের মধ্যে আরো অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো
পরিমাণে কম আছে। তাই এখানে উল্লেখ করা হলো না, এক কথায় বলা যায় একজন মানুষের
জন্য যে উপাদানগুলো প্রয়োজন তার অনেকগুলো কলমি শাকের মধ্যে আছে। যদি আপনি
প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতো কর্মী সব খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন
পুষ্টি উপাদান যোগ হবে এবং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশা
করছি।
কলমি শাকের উপকারিতা
কলমি শাক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই শাকের আরো হাজারো উপকারিতা। যা আমাদের
শরীরে বিভিন্ন রকমের উপকার করে থাকে। এরশাদ নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমরা শারীরিক দিক
থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হই। কলমি শাক আমাদের জন্য কি কি উপকার করে থাকে চলুন এই
বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- কলমি শাকে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। কলমি শাকে আয়রন থাকার কারণে কলমি শাক শরীরের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, বিশেষ করে অ্যানিমিয়া রোগের জন্য এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত কলমি চা খাওয়ান তাহলে এরকম বড় ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
- কলমি শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হারকে শক্ত ও মজবুত করে। ছোটবেলা থেকে যদি কোন শিশুকে কলমি শাক খাওয়ানো যায়, তাহলে তাদের হাড় শক্ত হয় এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগ থেকে তারা মুক্তি পায়। তাই প্রতিদিন আপনার শিশুকে কলমি শাক খাওয়ান এতে করে আপনার শিশুর হাড় শক্ত হবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ একটি ক্ষতিকারক মারাত্মক রোগ। কোষ্ঠকাঠিন্যর রোড দমনে কলমি শাক মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দমন করে প্রতিদিন আখের গুড়ের সাথে কলমি শাকের রস মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত এ রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোস্টারিকার রোগ দমনে কলমি শাক কিভাবে কাজ করে।
- কলমি শাকে আছে ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেগুলো শরীরের ভেতর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। ফলের শরীরে ক্যান্সার রোগের সংখ্যা আর বাড়ে না। তাই কলমি শাক খেলে ক্যান্সার রোগ হওয়ার ঝুকি অনেক কম থাকে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধা হচ্ছে কলমি শাক অর্থাৎ কলমি শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যামান রয়েছে যা মানব শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রত্যেকটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে কলমি শাক খাওয়া উচিত।
- রাতকানা রোগ নির্ণয় কলমি শাকের কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত কলমি শাক খায় তাহলে সে দ্রুত রাত থেকে মুক্তি পাবে।
- আমাদের প্রত্যেকটি ব্যক্তির জীবনে কোন না কোন সময় বসন্ত রোগ হয়ে থাকে। আর বসন্ত রোগের সাধারণত কোনো রকম ঔষুধ পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে কলমি শাক। কারণ বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রোগ হতে উপসম্পদে নিয়মিত কলমি শাক খাবেন।
- পুরনো আমাশয় দূর করতে কলমি শাকের কোন জুড়ি নেই। কলমি শাকের রসের সাথে আখের গুড় মিশিয়ে পুরনো আমাশয় দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
- শিশু জন্মের পর যদি মায়ের বুকের দুধ কম পায় তাহলে ওই মাকে নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ান। দেখুন শিশু পর্দা তো দুধ পাবে।
- সর্দি ও কাশি নিরাময়ের কলমি স্বা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কলমি শাক ডায়াবেটিসের জন্য কার্যকরী
- ত্বকের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কলমি শাক
- কলমি শাক ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই শাক
কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম
কলমি শাক আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। যেভাবে খান্না কেন এটি অনেক বেশি সুস্বাদু
এবং পুষ্টিকর। আমরা বিশেষ করে কলমি শাক সবাই ভাজি করে খাই। কলমি শাকের ভাজি গরম
ভাত আর ডাল ঝোল একসাথে খেতে কি যে মজা তা বলার মত নয়। আপনি শুধুমাত্র কলমি শাক
ভাজি করে খেতে পারেন আবার এর সাথে আরো কিছু মিশাতেও পারেন। কলমি শাকের সাথে আলু
কুচি করে কেটে দিয়ে ভাজি করলে তো মজা আরো বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন ঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
বিভিন্ন জনের বিভিন্নভাবে এই করলে রান্না করে খায়। আপনার যেভাবে খেতে ইচ্ছা হবে
আপনি সেই ভাবে রান্না করে খেতে পারেন। এছাড়াও কলমি শাকের চচ্চড়ি, বিভিন্ন
রেসিপিতে কলমি শাক খাওয়া যায়। রান্না করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন এবং
ছোট ছোট করে কেটে রান্নার জন্য প্রস্তুত করবেন। অবশ্যই কলমি শাক কোন দূষিত জায়গা
থেকে সংরক্ষণ করা হলো কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
কলমি শাকের চাষ পদ্ধতি খুবই সহজ। খুব সহজে আপনি যেখানে সেখানে এই শাক চাষ করতে
পারবেন। এটি আপনি খুব বড় পরিসরে রোজগারের জন্য বা শুধুমাত্র বাড়িতে এর চাহিদা
মেটানোর জন্য চাষ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে তেমন বেশি কোন পরিশ্রম করতে হবে না।
কলমি সাধারণত চাষ করার সময় বীজ বপন করা হয়। কিন্তু কলমি শাক দ্রুত বংশবৃদ্ধি
করে এর কান্ড থেকে। আমরা যে কর্মী শাক বাজার থেকে নিয়ে আসি তার পাতা নিয়ে বাকি
যে অংশটুকু থাকে তা মাটিতে পুঁতে দিলে কিন্তু সেখান থেকে নতুন শাক গজায়।
কলমি শাক চাষ করার জন্য প্রথমে আপনাকে মাটির নির্বাচন করে নিতে হবে যে মাটিতে
পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকে। এরপর সেখানে বাজার থেকে কলমি শাকের বীজ নিয়ে এসে ওর
বপন করতে পারবেন বা কলমি শাকের কান্ড কেটে লাগিয়ে স্বাগ উৎপাদন করতে পারেন।
অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় না। শুধুমাত্র লাগিয়ে রেখে খেয়াল করে রাখতে হবে যাতে
মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকে। এভাবে আপনি খুব সহজে কলমি শাক চাষ করতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
গরবেতা কলমি শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য। কারণ কলমি
শাকে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তানের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। যেমন ভিটামিন সি থাকার কারণে গর্ভবতী মা ও শিশু
দুজনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
এছাড়া কলমি শাখা থেকে বিভিন্ন উপাদান যেমন - ফাইবার, ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ।
উপরের তো উপাদানগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। শুধুমাত্র
গর্ভবতী মা ই নয়, বরং এগুলো গর্ভের শিশুর দৈহিক বিকাশ ঘটালে অনেক বেশি সহায়ক।
কলমি সাথে থাকা ফলিক এসিড বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টে অনেক কার্যকরী।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি কমে যায়। গর্ভাবস্থায় কর্মী
শাখে শিশু শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পায় বেশি। তাই গর্ভাবস্থায় পরিমাণমতো কলমি শাক
খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।
কিন্তু এ বিষয়ে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে
করবি শাক কোন দোষই তো জায়গা থেকে সংগ্রহ করা না হয় এবং এটি রান্নার পূর্বে
অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এবং রান্না করার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ
করে রান্না করবেন।
কলমি শাকে এলার্জি আছে কি
কলমি শাক এলার্জি আছে কিনা অনেকে জিজ্ঞেস করেন। যদিও কলমি শাক খুবই পুষ্টিকর
সুযোগ এবং অনেকের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি শাক। অনেকের ক্ষেত্রেই এলার্জির কারণ
হতে পারে। কারণ এতে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলোর কারণে এলার্জি জনিত সমস্যায়
পড়তে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রে সমস্যাটি দেখা নাও দিতে পারে। কলমি শাক ছোট থেকে
বড় পর্যন্ত সকলের জন্যই অনেক উপকারী।
তবে এটি খেলেই যে এলার্জি দেখা দিবে এরকম কোন সম্ভাবনা নেই। যাদের অ্যালার্জিজনিত
সমস্যা আগে থেকেই আছে বা অ্যালার্জির হালকা কোন প্রভাব রয়েছে এমন কোন কিছু খেলে
এলার্জি দেখা যেতে পারে তাদের জন্য আলাদা ব্যাপার। তাদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা
উচিত। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক যেন যদি আমরা নিয়মিত কলমি শাক খায় তাহলে কলমি শাক
আমাদের নিরাপদ ও পুষ্টিকর। তবে অনেক সময় এটি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে
পারে। আমাদের পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসের আজ এমন উপকারী দিক থাকে তেমনি অনেক
অপকারিতা আছে। যদিও এটি আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ
করে।
অতিরিক্ত কলমি শাক খাবার ফলের সম্ভাব্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কলমি শাকের
ক্ষতিকর দিক দেখা দিতে পারে। আমাদের অনেকের কাছে খুব প্রিয় এই শাকটি খাবার আগে
অবশ্যই আমাদের এর ক্ষতি কর্তৃক গুলো উপর খেয়াল রাখা উচিত। তবেই আমরা এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে পারবো। চলুন তাহলে এর ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে
নেই।
- ডায়রিয়া সমস্যা : বেশি পরিমাণে কলমি শা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে যার কারণে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- রক্ত জমাতে বাধা প্রদান : রক্ত জমাট বাতে দে উপাদান গুলো বাধা প্রদান করে কলমি শাকের সেই উপাদান থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছেন তাদের জন্য এটি ঝুঁকি স্বরূপ হতে পারে।
- অনিয়ন্ত্রিত প্রেসার : অতিরিক্ত কলমি শাক খাওয়ার ফলে দেখা যায় যে প্রেসার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা প্রেসার জনিত রোগী তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- কিডনিতে পাথর গঠনের সাহায্য করে : যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত কলমি শাক খায় তাহলে ওই ব্যক্তির কিডনিতে পাথর হতে পারে। কারণ কলমি সাক্ষী নিতে পাথর গঠনের সাহায্য করে। কলমি শাকের মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে তার দীর্ঘদিন কোন ব্যক্তি খেলে তার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
- রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি : কলমি শাক মানব দেহের জন্য উপকারে হলেও এর মধ্যে কিছু রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যদি এটি আপনি নিয়মিত খান তাহলে এই পদার্থ গুলির কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে।
- অতিরিক্ত ফাইবার : ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার হলেও এটি অতিরিক্ত পরিমাণ আমাদের শরীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে বদ হজম পেটব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
- এলার্জি আধিক্য : কলমি শাক খেতে অনেক সুস্বাদু এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি কোন সমৃদ্ধ। কিন্তু যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের জন্য এই শাক হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ কলমি শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জির উপাদান। একটু বেশি পড়বে না খেলে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি চাপ দিতে পারেন।
এ ছিল কলমি শাক খাবার সম্ভাবনা কিছু ক্ষতিকর দিক। আপনি যখন নিয়ম না মেনে
অতিরিক্তের পরিমাণে শাক খাবেন তখন আপনি সমস্যাগুলো সম্মুখীন হতে পারেন। তবে
নিয়মিত পরিবার মত খাওয়ার ফলে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন। তাই অতিরিক্ত
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মিত পরিবারের মত কলমি শাক খান।
লেখক এর শেষ মন্তব্য : কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে ও কলমি শাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সহ কল
বিষয়ক সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য এতক্ষণে জেনে ফেলেছেন। আশা করি সবকিছু ভালোভাবে
বুঝতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আসল কথা হচ্ছে কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়েনা
বা কমেনা। কলমি শাক সরাসরি প্রেসার বৃদ্ধি করতে বা হ্রাস করতে পারে না।
তবে অতিরিক্ত কলমি শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং এর যে ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে
আলোচনা করছি এদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। এটি খুবই পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ এবং খুবই
সুস্বাদু একটি শাক। আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের মাঝে
শেয়ার করে দিবেন। আমাদের এই সাইটে নিয়মিত এরকম তথ্যবহ সমৃদ্ধ বিভিন্ন পোস্ট করা
হয়। তাই সঠিক তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ🥰
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url