হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে - উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
naxoma.com ☑️
22 Sept, 2025
হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে? জানুন এর উপকারিতা ও
অপকারিতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং এলার্জির কারণ বিস্তারিত এই আর্টিকেলে।
হাঁসের ডিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই ডিম খাওয়ার ফলে
এলার্জির সমস্যা হতে পারে। আবার কিছু ব্যক্তির জন্য হাঁসের ডিম ক্ষতিকরও হতে
পারে। তাই, আপনি যদি হাঁসের ডিমের সমস্ত উপকারী ও ক্ষতিকারী দিক সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে আমরা অনেকেই এই সম্পর্কে জানিনা। আসলে হাঁসের ডিম
এলার্জির একটি কারণ আমরা অনেকেই জানি। হাঁসের ডিমের কুসুমে কোন এলার্জি থাকে না।
ডিমের যে সাদা অংশ থাকে তাতে এনার্জি থাকে। সাধারণ সে থাকা ওভালবুমিন ও ওভোমুকোইড
নামক দুটি প্রোটিন থাকে, আর এই প্রোটিন দুটি সাধারণ এলার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে, হাঁসের ডিমে এলার্জি থাকে। তবে এখানে আরেকটি বিষয়
আছে। হাঁসের ডিম খেলেই যে এলার্জি হবে এমন কোন কথা নয়। শুধুমাত্র হাঁসের ডিমই না,
যে কোনো খাবারই যেকোন ব্যক্তির জন্য এলার্জির কারণ হতে পারে।
এখানে নজর দিতে হবে কোন ব্যক্তির কোন খাবারে এলার্জি আছে সেই দিকে। হাঁসের ডিমে
কিন্তু সবার এলার্জি হয় না। আগে থেকে যারা এলার্জি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত তাদের
হাসের ডিম খেলে এলার্জি দেখা দেয়। যদি কেউ হাঁসের ডিম খাওয়ার পরে সে
এলার্জিজনিত সমস্যা লক্ষ্য করে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তার হাঁসের ডিমে এলার্জি
আছে। আর যদি ডিম খাওয়ার পরে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা না দেয়, তাহলে সেই ব্যক্তির
হাঁসের ডিমে কোন এলার্জি নেই।
এমন অনেকে রয়েছেন যাদের মুরগির ডিম খাওয়ার জন্য অথবা কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার
জন্য এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করে নিতে হবে কোন ডিম
খাওয়ার জন্য আপনার এলার্জি হচ্ছে। এজন্য আপনাকে এলার্জির লক্ষণ গুলো জেনে আপনার
শরীরে এলার্জি আছে কিনা সেটা নির্বাচন করে নিতে হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই
এলার্জির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি উঠা
চোখের ভেতরে চুলকানো
নাক দিয়ে পানি ঝরতে দেখা
অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁচি দেওয়া
বুকে ব্যথা করা
হাঁপানি অথবা কাশির মত সমস্যা হওয়া
বুকের ভেতরে প্রধান সৃষ্টি হওয়া
পেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া
মাথা ঘুরানো
বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া
উপরে উল্লেখিত এলার্জির এই সকল লক্ষণ গুলো আপনার শরীরের মধ্যে যদি আপনি দেখতে
পান, তাহলে অবশ্যই হাঁসের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ সকল লক্ষণ গুলো আপনার
শরীরে যদি দেখতে পান তাহলে বুঝে নিবেন আপনার হাঁসের ডিম এলার্জি রয়েছে। আর যদি
দেখেন আপনার শরীরে এই লক্ষণগুলো নেই, তাহলে বুঝবেন হাঁসের ডিমে আপনার কোন
এলার্জি নেই।
হাঁসের ডিমে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে
হাঁসের ডিমে এলার্জি আছে কিনা জানলেন। এখন আপনাদেরকে বলবো হাঁসের ডিমে কি কি
পুষ্টি উপাদান থাকে। হাঁসের ডিমে রয়েছে পুষ্টি উপাদান অবাক করার মত। হাঁসের একটি
ডিমে থাকা বিভিন্ন উপাদান নিচে উল্লেখ করা হলো -
ভিটামিন এ
ভিটামিন ডি
ভিটামিন বি১২
ভিটামিন ই
প্রোটিন
ক্যালসিয়াম
চর্বি
কোলেস্টেরল
মিনারেল
ক্যালোরি ইত্যাদি
একটি হাঁসের ডিমে এই উপাদান গুলো থাকে। এসব উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য
অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। তার হাঁসের ডিম আমাদের জন্য ক্ষতিকর না। এটি আমাদের
জন্য অনেক বেশি উপকারী।
হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আপনার ইতিমধ্যে দেখলেন হাঁসের ডিমে কি
কি পুষ্টি উপাদান থাকে। এই পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে
থাকে এবং অনেক উপকার নিশ্চিত করে। আমরা অনেকেই আছি যে আমাদের শরীরে একটু দুর্বলতা
ভাব আসলেই দুধ এবং হাঁসের ডিম খেয়ে থাকে। হাঁসের ডিম খুব প্রোটিন যুক্ত একটি
খাবার। এটি আমাদের শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে এবং শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে
উঠতে সাহায্য করে।
হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ যা হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে খুব বেশি
সহায়ক। হাঁসের ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা
আমাদের শরীরের হাড় মজবুত ও সুস্থ রাখতে প্রয়োজন। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন এ ও
লুটেইন আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং দৃষ্টি উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাঁসের ডিম একটি রিবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ খাবার যা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ হিসেবে কাজ
করে।
এছাড়াও ভিটামিন এ আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। হাঁসের ডিম
একটি উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও হাঁসের ডিম আমাদের
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, চুলের জন্য
উপকারী এবং উচ্চ প্রোটিন ও উচ্চ শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। তাহলে বুঝতে পারছেন
হাঁসের ডিম আমাদের জন্য কতটা উপকারী। তাই আপনি প্রতিদিন খাবার তালিকায় একটি করে
হাঁসের ডিম রাখতে পারেন।
হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
আপনাদেরকে হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে এখন বলবো। আমরা জানি যে হাঁসের ডিম
আসলে কতটা উপকারী। হাঁসের ডিম খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি খাবার। আমরা
অনেকেই আছি যে হাঁসের ডিম অনেক বেশি পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নেই যে
হাঁসের ডিমের এত উপকারের পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর
দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই অবগত থাকা দরকার। হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক গুলোর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক নিচে তুলে ধরা হলো -
হাঁসের ডিম কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে।
হাঁসের ডিম উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত, তাই যারা উচ্চ কোলেস্টরে ভুগছেন তাদের
জন্য ঝুঁকির।
এই ডিমে রয়েছে অনেক প্রোটিন, যার ফলে অনেকের এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে
পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল বিশিষ্ট হওয়ায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এলার্জি থাকায় হাত পায়ের চুলকানি ও রেস দেখা দিতে পারে।
হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলে আপনি উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও
এর উপকারের তুলনায় ক্ষতির দিক খুবই কম। সচরাচর এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় না।
যেমন এলার্জি সবার ক্ষেত্রে হয় না। কিন্তু আপনি নিয়মিত পরিমাণ মত যদি খান,
তাহলে আশা করা যায় এ সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে
হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে। সাধারণত হাঁসের ডিম খেলে প্রেসার বাড়ে না।
প্রেসার সাধারণত বাড়ে শরীরে ফ্যাট জমার কারণে। আপনার শরীরে যদি অধিক পরিমাণে
ফ্যাট থাকে তাহলে তার কারণে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। প্রেসার বেড়ে যাওয়ার
অন্যতম কারণ হলো ঠিকমতো খাবার গ্রহণ না করা, চিনি যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া,
তাছাড়াও অনেকে জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকেন যার কারণে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।
আর জাঙ্ক ফুড খেলে সকলেই জানেন ফ্যাট বেড়ে যায় অর্থাৎ বুড়ি বেড়ে যায়। যার
ফলে প্রেসার এমনিতেই বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন। তবে
যারা প্রেসারের রোগী রয়েছেন তারা হাঁসের ডিমের কুসুম বাদে সাথে অংশটুকু খেতে
পারেন। তবে এক কথায় বলা যায় হাঁসের ডিমে কোনো প্রেসার বাড়ে না।
ওজন বাড়ে না কমে হাঁসের ডিম খেলে
হাঁসের ডিম খেলে ওজন বাড়ে কি না এ নিয়ে মানুষের অনেক মতভেদ রয়েছে। ডিম খেলে
মানুষের ওজন বেড়ে যাবে এ বিশ্বাসের উপর মানুষ অনেক আগে থেকেই ছিল। ডিমের কুসুম
খেলেই শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে ইত্যাদি। এগুলো নিতান্তই একটি ভুল ধারণা। ডিম
খেলেই যে সরাসরি আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে তা কিন্তু না। তবে ডিমে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালরি ও প্রোটিন থাকে যা ওজন বাড়াতে পারে, যখন আমরা তা অতিরিক্ত
পরিমাণে খাব। দেখা যায় যে একটি বড় মাপের ডিমে প্রায় ৯০ ক্যালরি থাকে।
আর মাঝারি ও ছোট সাইজের একটি ডিমে প্রায় ৭০ ক্যালোরি মতো থাকে। আগে মানুষ ভাবত
যে ডিমের কুসুম শরীরে ক্ষতি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই ধারণাটাও
কিন্তু ভুল। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেখেছেন যে ডিমের কুসুম আমাদের শরীরে ক্ষতিকর
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না বরং গুড কোলেস্টরেল বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রোটিনের সস্তা এবং ভালো একটি উৎস হচ্ছে ডিম। ডিমে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন
আমাদের পেশী ও মস্তিষ্ক গঠনের সাহায্য করে।
ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন যখন এর সাথে আমরা অন্যান্য ভোজ্য তেল
যোগ করি। এরপরেও যদি আপনার ডিম খাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকে, যদি ভাবেন ডিম খেলে ওজন
বেড়ে যাবে তাহলে আপনি ডিম পোচ করে খেতে পারেন। এতে ক্যালরির মাত্রা কম পাবেন।
সিদ্ধ করা ডিমের চাইতে পোচ করা ডিমে ক্যালোরি কম থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে
পেরেছেন।
হাঁসের ডিম কাঁচা খেলে কি হয়
হাঁসের ডিম কাঁচা খেলে কি হয় তা আপনারা অনেকে জানেন না। অনেকে সিদ্ধ করে, ভেজে,
পোচ করে বা হাফ বয়েল করে খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার এই ডিম সরাসরি কাঁচা অবস্থায়
খেয়ে ফেলে। অনেক আগে থেকে এরকম কিছু ধারনা ছিল যে কাঁচা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ডাক্তার বলছেন যে, কাঁচা ডিম
খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে।
তাই আগে বলে রাখছি যদি কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই সেই অভ্যাস
পরিবর্তন করে ফেলুন। কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে শরীরে বায়োডিনের অভাব হতে পারে।
বায়োডিনের অভাবজনিত এই সমস্যাকে এগ হোয়াইট ইনজুরি বলে। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা
হয় যেমন চুল পড়া, জিহ্বার রক্ষতা, ওজন হ্রাস, ত্বকের প্রদাহ ইত্যাদি। তাই এখনো
সময় আছে এরকম বাজে অভ্যাস থাকলে তাড়াতাড়ি ত্যাগ করে ফেলুন। আশা করি বিষয়টি
পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু আপনার জন্য।
আপনি নিশ্চয় জানতে চান গর্ভ অবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি
রয়েছে? গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় যেগুলো আপনার
শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে অনেক
বেশি উপকার।
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে আদা সিদ্ধ ডিম বা কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই যাবে
না। হাঁসের ডিম সুন্দর করে সিদ্ধ করে খাবেন। কারণ হাঁসের ডিমের যে পুষ্টিগুণ
রয়েছে সেগুলো গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভে থাকা বাচ্চার দুজনের জন্য অনেক উপকারী।
গর্ভাবস্থায় নারীরা এমনিতেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। ঠিক ওই সময় যদি প্রতিদিন বা
একদিন পরপর একটি করে হাঁসের ডিম খাওয়ানো হয় তাহলে সেই দুর্বলতা কেটে
দেয়।
একটি হাঁসের ডিমে কত ক্যালরি ও কত গ্রাম প্রোটিন থাকে
সাধারণত একটি হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় বড় হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের
ডিমে প্রোটিন থাকে প্রায় ১৩.৫ গ্রাম এবং এনার্জি থাকে প্রায় ১৮৫ কিলোক্যালরি।
গড়ে একটি হাঁসের ডিমে থাকে -
ক্যালোরি : প্রায় ২০০
প্রোটিন : প্রায় ১৪.৫ গ্রাম
ফ্যাট : প্রায় ১৩.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম : প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ : প্রায় ২৭০ মাইক্রগ্রাম
ভিটামিন বি ১২সহ আরও বিভিন্ন ভিটামিন
তাই হাঁসের ডিম প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল এর একটি সমৃদ্ধ উৎস।
হাঁসের ডিম খেলে কি ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়
যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তাদের মনে এরকম প্রশ্ন জাগতে পারে। আসলে হাঁসের
ডিম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি থাকতে পারে। কারণ এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার
প্রোটিন এবং ক্যালরি। প্রোটিন এবং ক্যালরির ফলে আমাদের শরীরে কোলেস্টের মাত্রা
বৃদ্ধি পেতে পারে। এবং সেই সাথে ইনসুলিন এর মাত্রা কমে যেতে পারে।
ইনসুলিনের মাত্রা যদি কমে যায় তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেটি বেশি বিপদজনক
হবে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে হাঁসের ডিম না
খেয়ে মুরগির ডিম খেতে পারেন। এতে আশা করা যায় আপনি উপকৃত হবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য : হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে
হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে এবং এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকসহ বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন। হাঁসের ডিমে এলার্জি
আছে তবে সেটা সবার জন্য কার্যকর হয় না। যারা আগে থেকে এলার্জি জনিত সমস্যায়
পড়ে আছেন তাদের জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কারো যদি হাঁসের ডিম খেয়ে এলার্জি হয় তাহলে ধরে নিতে হবে তার হাঁসের ডিমে
এলার্জি রয়েছে। আশা করছি আপনি এ বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
এতক্ষন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url