গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া কি নিরাপদ অনেকেই জানতে চান? কদবেল এর উপকারিতা সহ
যাবতীয় সব তথ্য আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়তে থাকুন।
কদবেল হলো একটি জনপ্রিয় ফল, যা প্রায় সকলেরই প্রিয়। টক-মিষ্টি স্বাদের কারণে
গর্ভবতী মায়েরাও এটি খুব পছন্দ করেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল সম্পর্কে আজ আমরা
বিস্তারিত জানব - গর্ভাবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা, সতর্কতা এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া নিরাপদ কি না সেটা জানতে চাচ্ছেন তো? অনেকেই
সঠিক তথ্য না জানার জন্য খেতে পারছেন না। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
গর্ভকালীন সময় এমন একটি সময় যে সময় বিভিন্ন হরমোন জনিত পরিবর্তন হওয়ার কারণে
এ সময় গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় খাবার খেতে বেশি ইচ্ছে করে। এর
জন্য কদবেল একটি পারফেক্ট ফল। অনেকে চিন্তা করেন যে গর্ভকালীন সময়ে এটা খাওয়া
নিরাপদ হবে কিনা।
তাদের জন্য বলতে চাই হ্যাঁ অবশ্যই কদবেল খাওয়া নিরাপদ এ সময়। টক মিষ্টি এই ফলটি
গর্ভকালীন সময়ে আপনি খেতে পারবেন। এটি আপনার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে যেসব
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
একসাথে মুখের সাথে অতিরিক্ত কদবেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার খেতে যদি
ভালো লাগে তাহলে দিনে অল্প অল্প করে খান। এতে আশা করা যায় আপনি উপকৃত
হবেন।
কদবেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশ উপকারী।
একজন গর্ভবতী নারীর যেসব পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ দরকার সবটাই রয়েছে এই কদবেলে। একটি
কদবেলে রয়েছে আমের চেয়ে প্রায় তিন গুণ, আমলকির চেয়ে প্রায় চারগুণ, কাঁঠালের
চেয়ে প্রায় দুই গুণ ও আনারসের চেয়ে চার গুণ পরিমাণে আমিষ রয়েছে।
কদবেলে থাকা পুষ্টি উপাদান সমূহ
কদবেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে যে পুষ্টি উপাদান গুলো থাকে তা
আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেই
কদবেলে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে -
- ফাইবার
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন বি
- প্রোটিন
- ক্যালসিয়াম
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- কার্বোহাইড্রেট
- আয়রন
- পটাশিয়াম
- ফসফরাস ইত্যাদি
এই উপাদান গুলো একটি কদবেলে থাকে। উপরে যেই পুষ্টি উপাদান গুলোর তালিকা
দেখলেন এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা জরুরি তা নিশ্চয়ই ভালোভাবে
জানেন। প্রতিনিয়ত এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই এই
উপাদানগুলো যদি সহজে পেতে চান তাহলে কদবেল খেয়ে দেখতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
কদবেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কদবেল একটি টক জাতীয় ও
সুস্বাদু খাবার। গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে গর্ভবতী মায়েদের মুখে রুচি বেড়ে
যায়। এই ফলটি টক জাতীয় হওয়ায় মেয়েদের মাঝে এটি বেশ জনপ্রিয়। গর্ভাবস্থায়
কদবেল খাওয়ার উপকারিতা তো আছেই সাথে এর অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান বিদ্যমান
রয়েছে। তো চলুন তাহলে এবার এক নজরে গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা গুলো
ধাপে ধাপে দেখে নেওয়া যাক -
- অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে
-
ডায়রিয়া ও ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে
- শরীরকে ঠান্ডা রাখে
- রক্তস্বল্পতা দূর করে
-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
-
শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রদান করে
- হাড় সুস্থ ও মজবুত করে তোলে
-
আমাশয় বা পাতলা পায়খানা ভালো করে
- পেটের সমস্যা দূর করে
- লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হজম শক্তি উন্নত করে
- ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে
-
ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে
-
এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি
যেই উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো এগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটা জরুরী
তা আপনাদের ভালো করে জানা আছে। তাই গর্ভাবস্থায় কদবেল নির্দ্বিধায় খেতে
পারেন। আশা করা যায় কোনরকম সমস্যা হবে না, তবে অতিরিক্ত বেশি খাবেন
না।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে আমরা জানি সব কিছুরই
নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ থাকে। এক্ষেত্রে যদি পরিমাণের অধিক কোন কিছু খাওয়া যায়
তাহলে সবকিছুরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়ম
মেনে প্রতিটি পুষ্টি উপাদান খাওয়ার চেষ্টা করা। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে
মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে এবং উপকারিতা গুলো আমাদের শরীরের সঠিক পরিমাণে বৃদ্ধি
পাবে। তো চলুন এটি খাওয়ার ফলে কি কি অপকারিতার সম্মুখীন হতে পারেন দেখে নেই -
-
এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যায় : অতিরিক্ত পরিমাণে কদবেল খাওয়া থেকে অবশ্যই
সকলকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের সকলের উচিত নির্দিষ্ট পরিমাণে কদবেল খাওয়া।
তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।
-
বমি ভাব হওয়া : আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি কদবেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে
পুষ্টি বা ভিটামিন রয়েছে। যা অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে শরীরের কিছুটা
তারতম্য দেখা দিতে পারে ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এক্ষেত্রে বাচ্চা ও মা
উভয়ের সমস্যা হতে পারে, তাই আমরা অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে দিনে অন্তত
একটি করে কদবেল খাব।
-
পেট ব্যথা বা বদ বদহজম : গর্ভকালীন সময়ে কদবেল খেলে যেমন উপকারিতা পাওয়া
যায় তেমনি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা বা বদহজম হতে পারে। এজন্য মুখের
সাথে ইচ্ছে মতো বেল খেতেই থাকবেন না। অল্প অল্প করে পরিমাণ মতো খান।
-
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা : কদবেল খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
হয় ঠিক তেমনি ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে এই কদবেল। আমরা
যখন অতিরিক্ত কদবেল খাব তখন এটি আমাদের হজম করতে সমস্যা হবে। ফলে
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কাঁচা কদবেল খাওয়ার ফলে পায়খানা অনেক কষা
হয়।
-
রক্তচাপ কমানো : কদবেল প্রাকৃতিক ভাবেই রক্তচাপ কমিয়ে থাকে। তাই আগে থেকেই
যাদের রক্তচাপ কম থাকে তাদের এ বিষয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে।
-
অতিরিক্ত শর্করা : পাকা কদবেল একটি মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। তাই এতে
শর্করার পরিমাণ ভালই থাকে। তাই গর্ভবতী মা যদি ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন
তাহলে এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
উপরিউক্ত এই অপকারিতা গুলো দেখ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে যখন আপনি কদবেল পরিমাণ
এর চাইতে বেশি খেয়ে ফেলবেন। তাই মুখের স্বাদে কদবেল ইচ্ছেমতো খাওয়া থেকে
বিরত থেকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে খেতে পারেন। এতে করে উপকার পাবেন। অন্যথায়
উপকার এর পরিবর্তে অপকারের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
গর্ভাবস্থায় কতবেল খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের কদবেল একটি অন্যতম খাবার। এটি খেতে যেমন
সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন
গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে কি নিরাপদ এবং গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা গুলো। কদবেল টক জাতীয় ফল হওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলারা এটি বেশ পছন্দ
করে থাকে। তবে কদবেল কিভাবে খাবেন কখন খাবেন এটা অনেকের কাছেই অজানা। আসুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক কদবেল খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য। সাধারণত
বাংলাদেশে কদবেল পেকে গেলে মানুষ লবণ, মরিচ ও তেল মাখিয়ে খেয়ে থাকে।
আরো পড়ুন :
কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না কদবেল আরও দুই রকম ভাবে খাওয়া যায়। এর মধ্যে
একটি হলো কাঁচা কদবেলের ভর্তা, দ্বিতীয় টি হলো পাকা কদবেলের শরবত করেও আপনি
সেবন করতে পারবেন। এই দুটোর মধ্যে আপনি আপনার পছন্দমত একটি খেতে পারেন। আপনি
যেভাবেই খান না কেন গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে আপনি বেশ উপকারিতা পাবেন। তবে
হ্যাঁ একটি কথা না বললেই নয় আপনারা অবশ্যই পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খাবেন না এবং
খালি পেটেও খাবেন না কদবেল।
কদবেল খেলে কি ওজন বাড়ে
অনেকে চিন্তা করেন যে কদবেল খেলে কি ওজন বেড়ে যাবে। কদবেল এমন একটি ফল যেখানে
আপনি ভিটামিন সি, ফাইবার, খনিজ সবগুলো পুষ্টিগণ পাবেন সেহেতু ওজন বাড়বে কিনা
বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বে কিনা চলুন সে সম্পর্কে জেনে আসি। ভিটামিন,
খনিজ, অ্যান্টিঅক্সাইড প্রচুর পরিমাণে থাকলেও ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে।
তাই কদবেল খেলে কখনোই আপনার ওজন বাড়বে না।
তাই একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়ম করে পরিমাণ মতো কদবেল খায় তাহলে তার ওজন তো
বাড়বে না এর সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, মুখের রুচি বাড়বে
অবশেষে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পাবে।
গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা
গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা তাই তো? হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় বেলের
সরবত খাওয়া যাবে। কেননা বেলের শরবত অনেক উপকারী একটি শরবত। আমরা সাধারণত
মিষ্টি বেলের শরবত খেয়ে থাকি। মিষ্টি বেলের শরবত আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি
উপকারী। তাছাড়া বেলের শরবত খেতেও খুবই মজাদার এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বেলের
শরবত এটি আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে, ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে,
শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিশেষ করে বাজারে অনেক শরবতের দোকানে শরবত বিক্রি করা হয়। এটি খুবই জনপ্রিয়
একটি শরবত। তবে বেলের শরবত খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে বেশি
পরিমাণ খাওয়া না হয়। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বেলের শরবত
খাওয়া শুরু করতে পারেন। তাই বলতে চাই যারা এই চিন্তায় থাকেন যে, গর্ভাবস্থায়
বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা তারা নির্দ্বিধায় বেলের শরবত খেতে পারেন। এটি
অনেক উপকারী।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
আমরা এখন জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মায়েদের জেনে রাখা
উচিত গর্ভ অবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে থাকেন। এই সময়ে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের অনেক সচেতন থাকতে হয়। এই সময় প্রতিটা
পদক্ষেপ অনেক ভেবে চিন্তে নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের মুখের রুচি
কমে যায় যার ফলে খাবার খাওয়ার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
গর্ভাবস্থায় আপনাদের যখন যা খেতে মন চায় আপনারা তখন তাই খেতে পারবেন এতে কোন
ধরনের সমস্যা নাই।
আরো পড়ুন :
এমন অনেকেই আছে যারা বলে থাকে কামরাঙ্গা, কাঁচা পেঁপে, আঙ্গুর ইত্যাদি এসব ফল
খাওয়া যাবেনা। এইসব ভুয়া ও বানানো কথা, বিশেষজ্ঞরা এইরকম কোন প্রমাণ পাননি।
আপনারা নিঃসন্দেহে এইসব ফল খেতে পারবেন কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই। তবে হ্যাঁ নিয়ম
মেনে পরিমাণ মত খেতে হবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। আসুন জেনে নেই
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত হবে আপনাদের জন্য
-
তরমুজ : তরমুজে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তরমুজ শরীরের পানির ঘাটতি
পূরণ করে থাকে যা গর্ভাবস্থায় বেশি উপকারী। তবে কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে
তরমুজ খাবেন না।
-
পেয়ারা : পেয়ারা অনেক সুস্বাদু ও ভিটামিন সি জাতীয় ফল। পেয়ারায় রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক
প্রয়োজনীয়।
-
কলা : কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। গর্ভাবস্থার প্রতি দিন অন্তত একটা করে কলা
খাওয়া আবশ্যক। কলাতে থাকা পটাশিয়াম থাকার ফলে শরীরের ইলেকট্রো হাইড্রোস
এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
-
আপেল : গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য আপেল খাওয়া অনেক বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রচুর পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হয় যা
আপনি আপেল খেয়ে পাবেন।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন : কদবেলের ইংরেজি নাম কি?
উত্তর : কদবেলার খুবই সুন্দর একটি ইংরেজি নাম আছে। কদবেলের ইংরেজি নাম হলো Wood
Apple.
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় কতবেল খাওয়া যাবে কি না?
উত্তর : হ্যাঁ! গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া যাবে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত
থাকতে হবে।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় কতবেল খাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তর : গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া নিরাপদ হবে যদি আপনি নিয়ম মেনে প্রতিদিন
পরিমাণ মতো খান। তবে আপনি যদি কোন নিয়ম না মেনে মুখের স্বাদে খেতে থাকেন তাহলে
এটি আপনার জন্য উপকারের বদলে ক্ষতি ডেকে আনবে।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর : না। গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে সরাসরি আপনার ওজন বাড়বে না। কদবেলে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকলেও এতে শর্করার পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই আপনি
গর্ভকালীন সময় যদি কদবেল খান তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে সক্ষম নয়।
প্রশ্ন : কদবেল খেলে কি গ্যাস হয়?
উত্তর : বেল আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং এটি
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কদবেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি
সহায়ক এবং গ্যাস ও অম্বল জাতীয় সমস্যা দূর করে থাকে। তাই বলা যায় কদবেল খেলে
গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রশ্ন : কাঁচা কদবেল খেলে কি হয়?
উত্তর : কাঁচা কদবেল খাবার ফলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা গ্রহণ করতে পারেন।
বিশেষ করে আপনি যদি আমাশয় বা পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে
যদি আপনি কাঁচা কদবেল খান তাহলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
প্রশ্ন : কদবেল পাকে কোন মাসে?
উত্তর : আমাদের দেশে কদবেল সাধারণত সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসের দিকে পাকে। তবে
কিছু কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। কিছু কদবেল আছে আগে বা এরপরেও পাকতে
পারে।
প্রশ্ন : কদবেলে কি কি ভিটামিন আছে?
উত্তর : কদবেলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যেমন - আমিষ, শর্করা,
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে কদবেলে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য : গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া কি নিরাপদ
আশা করছি গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া কি নিরাপদ এ সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা
পেয়েছেন। এছাড়াও আরো জেনেছেন কদবেলের উপকারিতা, অপকারিতা সহ যাবতীয় তথ্য
সম্পর্কে। আসল কথা কদবেল খুবই পুষ্টিকর, মুখরাচর ও টক মিষ্টি স্বাদের একটি
জনপ্রিয় ফল। এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যে উপাদান গুলো আমাদের শরীরে
বিভিন্নভাবে কাজ করে।
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি উপকৃত হবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হন, তাহলে বন্ধুদের এবং পরিবারের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। খাওয়ার পরে যদি
কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আর চেষ্টা করবেন
পাকা কদবেল খাওয়ার জন্য। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ
হাফেজ।
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url