বিটরুট পাউডারের ১০ টি উপকারিতা - কেন খাবেন জানুন
বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা ও খাবার সঠিক নিয়ম জানুন। স্বাস্থ্য, ত্বক ও শক্তি বাড়াতে বিটরুট কেন খাবেন বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
বিটরুট পাউডারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিটরুট অনেকের কাছেই খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। আজকের আর্টিকেলে বিটরুট পাউডারের উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম এবং রূপচর্চায় ব্যবহার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পেজ সূচিপত্র : বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা
- বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা
- বিটরুট পাউডার কি
- বিটরুটে থাকা পুষ্টি উপাদান সমূহ
- বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ও কিভাবে খেতে হবে
- বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
- বিটরুট জুসের উপকারিতা
- বিটরুট পাউডারের দাম বাংলাদেশে
- বিটরুট কোথায় পাওয়া যায়
- বিটরুটের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- লেখকের শেষ মন্তব্য : বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা
বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা
বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। বিটরুট পাউডারের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। বিটরুট সাধারণত আমরা কাচা অথবা রান্না করে খেয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমানে বিটরুট পাউডার হিসেবেও পাওয়া যায়। তবে এই বিটরুট পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিটরুট পাউডারের উপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা গুলো।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে : বিটরুট পাউডার আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কেননা এতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার এবং পানি রয়েছে প্রচুর। যারা ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খুঁজছেন, তাদের জন্য বিটরুট একটি আদর্শ খাদ্য।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে : ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে বিটরুট। বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষগুলোকে পুনর্জীবিত করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে : বিটরুটে বিটালাইনস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে।
- লিভার ডিটক্সিফিকেশন : লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ, যা শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থকে পিত্তের মাধ্যমে বের করে দিতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিটরুট খেলে লিভারে ফ্যাট জমার পরিমাণ কমে এবং ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তর করে। নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার মাধ্যমে লিভার সুস্থ এবং কার্যক্ষম থাকে।
- রক্তস্বল্পতা দূর করে : রক্তস্বল্পতা, বিশেষত নারীদের মধ্যে, একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। বিটরুট আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, যারা ক্লান্তি বা দুর্বলতায় ভোগেন তাদের জন্য বিটরুট একটি প্রাকৃতিক সমাধান। এটি রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে : বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তের প্রবাহ উন্নত করে ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় : বিটরুটে ঢাকা নাইট্রেট রক্তের প্রবাহমাত্রা বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি বয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক সহায়ক।
- শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে : বিটরুটের উচ্চ নাইট্রেট উপাদান শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে অ্যাটলেটদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি শরীরের কর্মক্ষমতা এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে : বিটরুটে রয়েছে ফাইবার, যা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে। এটি পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নাইট্রেট আমাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড এ রূপান্তরিত হয়ে রক্তনালী প্রসারণ ঘটায় ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
বিটরুট পাউডার কি
বিটরুট পাউডার হল প্রাকৃতিক উপায়ে শুকিয়ে গুড়ো করা বিটরুট, যা এর পুষ্টিগুণ রঙ ও স্বাদ অক্ষুন্ন রাখে। এটি সরাসরি পানীতে মিশিয়ে স্মুদিতে বা বিভিন্ন রেসিপি ও ফেস মাস্কে ব্যবহার করা যায়। কারণ এতে নাইট্রেট ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।
বিটরুট পাউডার হলো বিটরুট কে শুকিয়ে গুড়ো করে তৈরি করা একটি পাউডার। এটি সূর্যের আলো বা উন্নত স্প্রের ড্রাইং প্রযুক্তির মাধ্যমে শুকানো হয়, যা বিটরুটের প্রাকৃতিক রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ধরে রাখে। এটি কোন কৃত্রিম রং ফ্লেভার ছাড়াই তৈরি করা হয়, যা এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক উপাদান করে তোলে।
বিটরুটে থাকা পুষ্টি উপাদান সমূহ
বিটরুট খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সুস্বাদু সবজি। বিটরুটে থাকে প্রচুর ভিটামিন মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক জরুরী। বিটরুটে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে যার উল্লেখযোগ্য কিছু উপাদান নিচে দেওয়া হলো -
- কপার : এটি আয়রন শোষণ এবং উৎপাদনে সাহায্য করে।
- জিংক : জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোষের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
- ম্যাগনেসিয়াম : ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশী ও স্নায়ুর কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
- ক্যালসিয়াম : ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- আয়রন : আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহনে ভূমিকা রাখে।
- ম্যাঙ্গানিজ : ম্যাঙ্গানিজ হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ফোলেট : ফুলেট কোষের বৃদ্ধি ও কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন সি : ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অন্যান্য উপাদান
- ফাইবার : ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- বেটানিন : বেটানিন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমাতে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- অজৈব নাইট্রেট : অজৈব নাইট্রেট রক্তনালীকে প্রসারিত করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ও কিভাবে খেতে হবে
বিটরুট খাবার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। তাই এটি জানার জন্য আমরা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। এজন্য আজকে আপনাদের জন্য বিটরুট খাওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন বিটরুট কখন খেতে হয় এবং কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেই।
- বিটরুট আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। এটি কাঁচা, রান্না করা এবং অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে বা সালাতে ইত্যাদিভাবে খেতে পারেন।
- একটি কাঁচা বিটরুট নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে সরাসরি খেতে পারেন। আপনি ইচ্ছামত এর সাথে লবণ, লেবুর রস বা অন্যান্য সবজিও যোগ করতে পারেন।
- বিটরুটের রোস্ট বানিয়েও খাওয়া যায়। এর জন্য বিটরুট খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে তেল মাখিয়ে ওভেনে রোস্ট করে খেতে পারেন। তাছাড়া এটি সিদ্ধ করে অন্যান্য সবজির সাথেও খেতে পারেন।
- আপনি বিটরুটের সুপ বানিয়েও খেতে পারেন। বিশেষ করে শীতকালে এভাবে বেশি খাওয়া হয়।
- অনেকে আবার বিটরুটের সাথে আরো কিছু মিশিয়ে আচার বানিয়েও খেয়ে থাকেন।
- বিটরুটের জুস অনেক বেশি জনপ্রিয়। একটি বিটরুট ও তার সাথে আরো কিছু ফল নিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।
বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
বিটরুট শুধুমাত্র খাওয়াতে যে উপকারিতা তা নয়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে বিটরুট রূপচর্চায় যেমন ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিটরুট ব্যবহারের ফলে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বহু গুনে বৃদ্ধি করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই বিটরুট ব্যবহার করে কিভাবে রূপচর্চায় এর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
- বিটরুট ব্লেন্ড করে সেই রস সংগ্রহ করে রস মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখবেন ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং ত্বক সজীব ও মসৃণ দেখাবে।
- প্রথমে বিটরুট ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর এর মধ্যে চিনি ও মধু মিশিয়ে মুখের উপর ব্যবহার করুন। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে এবং ত্বককে নরম ও কোমল করে তুলবে।
- বিটরুট এর সাথে বেসন ও দই মিশিয়ে মুখের উপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
ঠোঁটের যত্নে বিটরুট
- বিটরুট এর সাথে সামান্য নারকেল তেল যোগ করে ঠোঁটে লিভ জেলের মতো ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করবে এবং আদ্র রাখবে।
- বিটরুট এর রস বা পাতলা করে কেটে নিয়ে তা সরাসরি ঠোঁটে ঘষুণ, এতে করে ঠোঁট গোলাপি হবে এবং ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করবে।
চুলের যত্নে বিটরুট
- চুলের যত্নের জন্য বিটরুট এর সাথে মেহেদী পাউডার যোগ করে চুলে ব্যবহার করুন এবং ১ থেকে ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চুল নরম, মসৃণ ও ঝলঝলে হবে।
- বিটরুট পেস্ট এর সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
বিটরুট জুসের উপকারিতা
বিটরুটের জুস অনেক বেশি জনপ্রিয় পানীয়। বিটরুট খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে বিটরুট এর জুস একটি। আপনি দেখবেন অনেকেই বিটরুট এর জুস পছন্দ করে। কেননা এটি একটি মিষ্টি জাতীয় পানি। এতক্ষণ তো আপনারা দেখলেন বিটরুট পাউডারের উপকারিতা। তাহলে আপনাদের এখন বিটরুট জুসের উপকারিতা দেখলে কেমন হয়। তো চলুন তাহলে দেরি না করে দেখে আসি বিটরুট জুসের উপকারিতাগুলো -
- হৃদ্ররোগ প্রতিরোধ করতে বিটরুট জুসের উপকারিতা অনেক।
- বিটরুট জুস শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ কমায়।
- শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিটরুট জুস অনেক উপকার।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তিতে বৃদ্ধি করে বিটরুট জুস।
- ত্বকের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক উপকার বিটরুটের জুস।
- বিটরুট জুস ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।
বিটরুট পাউডারের দাম বাংলাদেশে
এখন আমরা বিটরুট পাউডারের দাম সম্পর্কে জানব। সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে বিটরুট শুকিয়ে পাউডার করা হয়। বর্তমান বাজারে বিটরুট পাউডার অনেক পাওয়া যায়। তাই অনেকেই বিটরুটের পরিবর্তে এর পাউডার ব্যবহার করে থাকে। বিটরুটের তুলনায় বিটরুট পাউডারের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিটরুট পাউডারের দাম সাধারণত বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও গুণগত মানে প্যাকেটের আকারের উপর নির্ভর করে।
আপনি যদি ১০০ গ্রাম বিটরুট পাউডার কিনতে চান তাহলে এর দাম দাঁড়াবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে কিছু প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের বিটরুট পাউডারের দাম আরো বেশি হতে পারে। বর্তমানে অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন অফারে কম দামে বিটরুট পাউডার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেখান থেকে কম দামে কিনতে পারেন।
বিটরুট কোথায় পাওয়া যায়
বিটরুট বর্তমানে যেকোনো বাজারেই পাওয়া যায়। তবে এটি একটি মৌসুমী সবজি হয়। এটি মূলত শীতকালীন মৌসুমী সবজি। তাই শীতকালে যেখানে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময় গুলোতে কোন নির্দিষ্ট স্থানে বা সুপারমলে পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বর্তমান অনলাইন এর অনেক প্লাটফর্মেই বিটরুট ১২ মাস পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন :
এছাড়াও বিভিন্ন অর্গানিক ফার্ম, খামার বা কৃষি মেলা ইত্যাদি জায়গায় পেতে পারেন। তবে সর্বপ্রথম স্থানীয় বাজারে খোঁজ করলে আশা করি পেয়ে যাবেন। কারণ এটি আমাদের দেশে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে চাষ হচ্ছে।
বিটরুটের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
বিটরুট খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সহ এতক্ষণে বিস্তারিত অনেক কিছু জেনেছেন। কিন্তু এ সকল কিছু জানার পরেও আরো একটি বিষয়ে জেনে রাখা জরুরী। সেটি হচ্ছে বিটরুট এর অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কারণ এ সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন তাহলে আপনার কাঙ্খিত উপকারিতা পাওয়া জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এর অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো -
- বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই আগে থেকে যদি কারো রক্তচাপ কম থাকে তাহলে তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের রক্তচাপ কম থাকবে তাদের এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
- বিটরুটে অক্সালেট থাকে। অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে এটি কিডনির সমস্যা হতে পারে।
- আপনি যদি অনেক বেশি বিটরুট খেয়ে ফেলেন তাহলে প্রসাব ও পায়খানার রং পরিবর্তন করতে পারে যদিও এটি চিন্তার কোন কারণ নাই।
- এতে ফাইবার থাকায় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অনেকেরই পেট ব্যথা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় যদিও বিটরুট খাওয়া নিরাপদ তাও এ সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
- এটি একটি মিষ্টি জাতীয় সবজি যাতে অনেকটাই চিনি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য : বিটরুট পাউডারের ১০টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, এতক্ষণে আপনারা বিটরুট পাউডারের উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, দাম ও এটি কোথায় পাওয়া যায় এবং এর অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বিটরুট একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি, যা সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী। এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে।
এই উপকারিতা পেতে উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করতে পারেন। তবে উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, না হলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন। তাহলে বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url