*/

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় সহজে

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায় এবং কিভাবে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার শর্ত, কপিরাইট প্যারানো টিপস ও নতুনদের জন্য সহজ গাইড সহ-সম্পন্ন তথ্য পড়ুন। 
ফেসবুকে-কত-ফলোয়ার-হলে-টাকা-পাওয়া-যায়


ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, আয়ের ও বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু অনেকেই জানেন না - ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেলে সহজভাবে জানবেন ফেসবুক থেকে আয় করার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় শর্তগুলো। 

পেজ সূচিপত্র : ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায় 

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়  

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব—এটি একজন ফেসবুক পরিচালনাকারীর জন্য স্বাভাবিক প্রশ্ন। কারণ ফেসবুক থেকে আয় শুরু করার প্রথম শর্ত হলো ফলোয়ার থাকা। যদি আপনার ফলোয়ার না থাকে, তাহলে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনে আসে, কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। ফেসবুক থেকে ইনকামের প্রথম শর্ত হলো ফলোয়ার। অর্থাৎ, ইনকাম করতে হলে আপনার ফেসবুক পেজে অন্তত ৫ হাজার ফলোয়ার থাকা প্রয়োজন। তবে শুধু ফলোয়ার থাকলেই টাকা আসে না। 

ফলোয়ারের পাশাপাশি সর্বশেষ ৬০ দিনে মোট ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। এই দুটি শর্ত পূরণ হলে ফেসবুক থেকে আয় শুরু করা সম্ভব। শর্তগুলো পূরণ হলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, যেখান থেকে আয় হবে। এছাড়া যদি আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বেশি হয় এবং ভিডিওর ভিউ ভালো হয়, তাহলে স্পন্সরিংয়ের মাধ্যমে আয়ও করা সম্ভব। নিয়মিত ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য কী কী কাজ করতে হবে, কিভাবে ইনকাম হয় এবং কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করলে নিশ্চিতভাবে আয় করা সম্ভব—এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে পোস্টের নিচের অংশে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করা যায়, আপনি ফেসবুক ইনকাম সম্পর্কিত সব বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।

কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায় 

ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ ডলার বা তার সমমানের আয় করা অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে, তবে এটি করা সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে ফেসবুকে দৈনিক এই পরিমাণ আয় করতে সাহায্য করতে পারে :

  • ফেসবুক পেজ মার্কেটিং : নিজের একটি পেজ তৈরি করে সেটি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি বিক্রির কমিশন বা আয় করতে পারেন। প্রতিদিন পেজে কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে যা আপনার টার্গেট দর্শকের কাছে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয়।
  • ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন : ফেসবুকে ভিডিও তৈরি ও আপলোড করে মনিটাইজ করা যায়। ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ থাকায় আয় হয়। এছাড়া ফেসবুক স্টারস ব্যবহার করে দর্শক থেকে টিপস নেওয়া যায়।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং : ফেসবুকে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করা যায়। সফল বিক্রির মাধ্যমে কমিশন আয় করা সম্ভব। যদিও এটি সহজ নয়, তবে সঠিক প্রচার ও টার্গেটিং ব্যবহার করলে এটি লাভজনক হতে পারে।
  • পেজ স্পন্সরিং : আপনার পেজ স্পন্সর করে প্রচার করলে পেজের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পায় এবং আরও বেশি দর্শকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়।

এই উপায়গুলো ব্যবহার করলে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ ডলার বা তার সমমানের আয় করা সম্ভব।

কোন ধরনের ভিডিও ফেসবুকে বেশি দেখা হয়

ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের সময় অনেকেই প্রশ্ন করেন, কোন ধরনের ভিডিও বেশি ভাইরাল হয় এবং কোন ভিডিওতে বেশি ভিউ আসে। বাস্তবে, দর্শকের আগ্রহ এবং আকর্ষণ মূলত ভিডিওর ধরনের ওপর নির্ভর করে। ভালো ভিডিও তৈরি করতে হলে এই বিষয়টি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, ফেসবুকে বেশি দেখা যায় মজার ও বিনোদনমূলক ভিডিও। যেমন—ফানি ভিডিও, মজার ঘটনা বা ছোট রিলস ভিডিও। দর্শকরা ক্লান্তি কমাতে এবং আনন্দ পেতে এই ধরনের ভিডিও বেশি দেখে।

এর পাশাপাশি শিক্ষামূলক ভিডিও ও জনপ্রিয়। যেমন—রান্নার রেসিপি, পড়াশোনার টিপস, হাতে তৈরি কাজ বা ছোট টিউটোরিয়াল ভিডিও। দর্শক এই ভিডিও দেখে নতুন কিছু শিখতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনভিত্তিক বা ফ্যামিলি ব্লগ ও দর্শকের কাছে জনপ্রিয়। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে মজার বা সাধারণ মুহূর্ত শেয়ার করলে দর্শক নিজেদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত অনুভব করে।

তারপর আছে নতুন ট্রেন্ড বা চ্যালেঞ্জিং ভিডিও যা ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়। এছাড়া ইসলামিক ও নৈতিক ভিডিও ও একটি উল্লেখযোগ্য দর্শকপ্রিয় ক্যাটাগরি। ফেসবুকে বেশি ভিউ এবং দর্শক আকর্ষণ করতে চাইলে এই ধরনের ভিডিও তৈরি ও নিয়মিত পোস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ান কে ভিউ সমান কত টাকা

ফেসবুক থেকে এক হাজার ভিউ (ওয়ান কে ভিউ) থেকে কত টাকা আয় হবে, তা মূলত দেশ এবং ভিডিওর ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে। যদি বাংলাদেশ, ভারত বা এশিয়ার অন্য কোনো দেশ থেকে ভিউ আসে, তাহলে সাধারণত এক হাজার ভিউ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু যদি ওই ভিউ আসে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ইউরোপের দেশগুলো থেকে, তাহলে এক হাজার ভিউ থেকে আয় ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ভিডিও যদি টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তি বিষয়ক হয়, তাহলে বাংলাদেশ বা এশিয়ার দেশ থেকে এক হাজার ভিউ থেকেও প্রায় ১,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। 

আর যদি সেই টেকনিক্যাল ভিডিও আমেরিকা বা ইউরোপের দেশ থেকে ভিউ পায়, তাহলে এক হাজার ভিউ থেকে আয় হতে পারে ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। এটি মূলত নির্ভর করে—কোন দেশ থেকে ভিউ এসেছে এবং ভিডিও কোন ক্যাটাগরির। যেসব দেশে CPC (ক্লিক প্রতি দাম) বেশি, সেসব দেশের ভিউ বেশি হলে ইনকামও বেশি হয়। এছাড়া যেসব ক্যাটাগরিতে বিজ্ঞাপনের মূল্য বেশি, সেই ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি করলে আয়ও বেশি হয়।এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, ফেসবুক থেকে এক হাজার ভিউ কত টাকার সমান হতে পারে, তা দেশ এবং ভিডিওর ধরন অনুযায়ী ভিন্ন।

ফেসবুক পেজ থেকে সত্যি কি টাকা ইনকাম করা যায়

অনেকে ভাবেন, ফেসবুক পেজ খুললেই কি সত্যিই ইনকাম করা সম্ভব? এর উত্তর হলো—পুরোপুরি সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন অনেক ধৈর্য, পরিশ্রম এবং ধারাবাহিক চেষ্টা। শুধু পেজ খুলে বসে থাকা বা ফলোয়ার বাড়ানোর দিকে মন দেওয়ায় টাকা আসবে না। আপনাকে নিয়মিত ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, যা মানুষ দেখতে ভালোবাসবে এবং যার সঙ্গে তারা ইন্টারঅ্যাকশন করবে। ফেসবুক সেই ভিডিও বা কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দেয়, যার মাধ্যমে আয় করা যায়।

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো—মনিটাইজেশন চালু করা। এর অর্থ, আপনার পেজের ভিডিওতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।মনিটাইজেশন চালু করার জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। যেমন—পেজে অন্তত ১০ হাজার ফলোয়ার থাকা প্রয়োজন এবং গত ৬০ দিনে ভিডিওর মোট দর্শক ভিউ ৬০ হাজার মিনিটের বেশি হতে হবে। এছাড়া ফেসবুকের নিয়ম-কানুন মানা অত্যাবশ্যক।

ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হলে ধারাবাহিকভাবে মজার, শিক্ষামূলক, ফানি বা অন্য কোনো ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ফেসবুক থেকে সত্যিই ইনকাম করা সম্ভব, তবে সফল হতে হলে ধৈর্য ধরে নিয়মিত পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকামের শর্ত গুলো কি কি 

ফেসবুক পেজ থেকে আয় শুরু করতে হলে ফেসবুকের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। শুধুমাত্র পেজ খুলে ফলোয়ার বাড়ানো বা ভিডিও আপলোড করলেই টাকা আসে না। মূলত ইনকামের প্রধান উপায় হলো ফেসবুক মনিটাইজেশন চালু করা। মনিটাইজেশন পেতে হলে ফেসবুকের নিয়ম-কানুন মেনে ভিডিও বানাতে হবে এবং নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। ফেসবুক নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে পেজে মনিটাইজেশন চালু করার অনুমতি দেয়।

মনিটাইজেশন চালু করার জন্য প্রধান শর্তগুলো হলোঃ

  • ফলোয়ার সংখ্যা: পেজে অন্তত ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। এটি ইনকামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • দর্শক ভিউ: গত ৬০ দিনের মধ্যে পেজের ভিডিওগুলোতে মোট ৬০ হাজার মিনিটের বেশি ভিউ থাকতে হবে। অর্থাৎ দর্শকরা ভিডিও কতক্ষণ দেখেছে, সেটি ফেসবুক যাচাই করবে।
  • বয়স: পেজের মালিকের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উপরে হতে হবে। এটি ফেসবুকের নিয়ম যাতে সঠিক মানুষরা ইনকাম করতে পারে।
  • অনুমোদন: মনিটাইজেশন ফিচার চালু করতে হলে ফেসবুকের অনুমোদন প্রয়োজন। সব শর্ত পূরণ হলেও ফেসবুক যাচাই করবে এবং যোগ্য মনে হলে অনুমতি দিবে।
  • কনটেন্টের মান: ভিডিওর গুণগত মান ভালো হতে হবে। নিম্নমানের বা অসাধু ভিডিও দিলে ইনকাম কমতে পারে বা পেজ বন্ধও হতে পারে।
  • নিয়মিত আপলোড: নতুন কনটেন্ট নিয়মিত আপলোড করতে হবে। এতে দর্শক বাড়বে এবং ভিডিওর ভিউও বৃদ্ধি পাবে।
  • কপিরাইট ও নিয়মকানুন: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। অন্যের ভিডিও কপি না করা এবং কপিরাইট ফ্রি কনটেন্ট ব্যবহার করা আবশ্যক। কপিরাইট সমস্যা থাকলে মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এই শর্তগুলো মেনে চললে ফেসবুক পেজ থেকে নিরাপদভাবে ইনকাম করা সম্ভব।

কপিরাইট সমস্যা হলে কি হবে 

আপনি যদি ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করেন, কিন্তু সেই ভিডিওতে অন্যের ছবি, গান, ভিডিও ক্লিপ বা লেখা ব্যবহার করেন যা ব্যবহারের অনুমতি আপনার নেই, তাহলে আপনার ভিডিওতে কপিরাইট সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি আপনার পেজ বা চ্যানেলের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।প্রথমেই কনটেন্টে কপিরাইট ক্লেইম আসতে পারে। এর অর্থ, ভিডিওটি আপনি তৈরি করলেও তার মালিকানা অন্য কেউ দাবি করতে পারে, কারণ আপনি তাদের কনটেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করেছেন।

কপিরাইট সমস্যার ফলে হতে পারে—ভিডিও ব্লক বা রিমুভ হয়ে যাওয়া। ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া, আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং বড় ক্ষেত্রে পেজ বা চ্যানেলও ব্লক হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে আইনগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।তাই সবসময় চেষ্টা করুন নিজে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করার। নিজের মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করলে কপিরাইট সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হবে না এবং আপনি নিরাপদে ইনকাম চালিয়ে যেতে পারবেন।

ভিডিও বানানোর সময় কপিরাইট এড়ানোর সহজ উপায় 

বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে আয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায়, ভিডিও আপলোডের পর কপিরাইট সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে ইনকাম বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনকি ভিডিও ডিলিটও হতে পারে। তাই ভিডিও তৈরি করার সময় কপিরাইট সমস্যা এড়ানোর পদ্ধতি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বহু চেষ্টা ও সময় দিয়ে তৈরি ভিডিও যদি কপিরাইটের কারণে ব্লক হয়ে যায়, তবে তা হতাশাজনক হবে। কপিরাইট এড়ানোর কিছু কার্যকর উপায় হলোঃ

  • নিজের তৈরি ভিডিও ব্যবহার করুন - অন্যের ভিডিও কপি বা কেটে ব্যবহার করলে কপিরাইট সমস্যা দেখা দেবে। তাই নিজের মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে শুট করা ভিডিও ব্যবহার করুন।
  • নিজস্ব ভয়েস বা অডিও ব্যবহার করুন - অন্যের গান বা কথার ব্যবহার এড়িয়ে নিজের কণ্ঠে কথা বলুন। প্রয়োজনে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার করুন।
  • ফ্রি মিউজিক ও সাউন্ড ব্যবহার করুন - ইউটিউব অডিও লাইব্রেরি, ফেসবুক সাউন্ড কালেকশন, মিক্সকিট বা অন্যান্য ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে মিউজিক ডাউনলোড করে ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • কপিরাইট মুক্ত ছবি বা ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করুন - পিক্সাবে, ভিডিওভো বা অন্যান্ন ফ্রি সাইট থেকে ছবি বা ভিডিও ক্লিপ নিয়ে ব্যবহার করা যায়।
  • টেক্সট, এনিমেশন ও ডিজাইন নিজে তৈরি করুন - নিজের লেখা, এনিমেশন বা ডিজাইন ব্যবহার করলে কোনো কপিরাইট সমস্যা হবে না।

এই নিয়মগুলো মেনে ভিডিও তৈরি করলে কপিরাইট নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। নিজের তৈরি কনটেন্ট সর্বদা নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইনকাম করার সুযোগ দেয়।

নতুনদের জন্য সহজ কিছু টিপস 

আপনি কি ফেসবুক থেকে আয় শুরু করতে চান, কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোথা থেকে শুরু করবেন? চিন্তার কিছু নেই। ফেসবুকের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে এবং প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনিও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।প্রথম ধাপে নিজের তৈরি করা ভিডিও আপলোড করা শুরু করুন। শুরুতেই বড় প্রজেক্টে না গিয়ে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করুন। শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন দিয়েই আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। এতে আপনার প্রয়োজন হবে ধৈর্য, মনোযোগ এবং নিয়মিত চর্চা।

ভিডিও তৈরির সময় চেষ্টা করুন নিজের কণ্ঠ ব্যবহার করতে এবং ফ্রি কনটেন্ট কাজে লাগাতে। অন্যের ভয়েস, সংলাপ বা কপিরাইটেড উপাদান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে কপিরাইট সমস্যা হবে না এবং দর্শকদের সঙ্গে একটি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি হবে।সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪টি ভিডিও আপলোড করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অন্যের ভিডিও কপি না করে বরং তাদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজস্ব আইডিয়ায় ভিডিও তৈরি করুন। পাশাপাশি সবসময় ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কনটেন্ট তৈরি করুন।

আপনার ফেসবুকের নাম, প্রোফাইল ছবি এবং কভার ফটো যেন পেশাদারভাবে সাজানো থাকে, সেটি খেয়াল রাখুন।সবশেষে মনে রাখবেন — ফেসবুক থেকে আয় কোনো রাতারাতি সফলতার গল্প নয়। নিয়মিত পরিশ্রম, ধৈর্য, এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করলে কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি নিজের ফেসবুক থেকে আয় শুরু করতে পারবেন এবং ধীরে ধীরে সফলতা পাবেন।

লেখক এর শেষ মন্তব্য : ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় 

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায় — এ নিয়ে অনেকের মনেই কৌতূহল থাকে। তবে বাস্তবে ফলোয়ার সংখ্যা সরাসরি ইনকামের পরিমাণ নির্ধারণ করে না। ফেসবুক মূলত আপনার ভিডিওর ভিউ এবং ওয়াচ টাইমের ওপর ভিত্তি করে আয় নির্ধারণ করে।যদি আপনার ফলোয়ার সংখ্যা মাত্র ৫ হাজারও হয়, কিন্তু আপনি নিয়মিতভাবে ৫টি মানসম্মত ও ইউনিক ভিডিও আপলোড করেন এবং মোট ৬০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনার পেজ মনিটাইজেশনের যোগ্য হয়ে যাবে।

সুতরাং, আপনি যদি ফেসবুক থেকে আয় করতে চান, তাহলে শুধু ফলোয়ার বাড়ানোর দিকে নয়, বরং ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি এবং দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখার দিকেও জোর দিন।এই ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে ফেসবুক ইনকাম, অনলাইন আয়ের টিপস এবং বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। তাই এরকম আরও দরকারি তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url