*/

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা জানুন। সঠিকভাবে খেলে শরীর সুস্থ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শক্তি ও সতেজতা বজায় থাকে। আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত পড়ুন কিভাবে প্রতিদিন মধুময় বাদাম খাওয়া উচিত। 

অনেকেই মধুময় বাদাম খেতে খুব পছন্দ করেন, কিন্তু খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে ধারণা থাকে না। চিন্তা করবেন না - আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি বাদাম সম্পর্কিত আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন। 

পেজ সূচিপত্র : মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম 

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম 

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম আগে জানাটা জরুরী। কেননা এর প্রকৃত উপকারিতা যদি গ্রহণ করতে চায় অবশ্যই এর নিয়ম কানুন মেনেই খেতে হবে। আপনারা জানেন মধু এবং বাদাম কতটা উপকারী খাবার। বিশ্বের সবচাইতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে শীর্ষস্থান পায়ে বাদাম। মধুর কথা আর নাই বা বলি। তাহলে বুঝতে পারছেন এই দুটি কতটা উপকারী হতে পারে আপনার জন্য। মধুময় বাদাম এমন একটি খাবার যেটি সকল বয়সের মানুষের জন্য উপকারী। 

মধুময় বাদাম খাওয়ার নির্দিষ্ট ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। আপনার যখন ইচ্ছা হবে তখন আপনি মধুময় বাদাম খেতে পারবেন। মধুময় বাদাম সকালে যখন আপনি নাস্তা করবেন তার সাথে যোগ করতে পারেন। সকালে কোন কিছু খাওয়ার সময় তার সাথে এক থেকে দুই চামচ খাওয়া যাই। দিনে যে কোন সময়ও আপনি মধুময় বাদাম খেতে পারবেন। আপনি যদি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে সেই সময় মধুময় বাদাম খেতে পারেন। এটি আমাদের শরীরের দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। বিকেলে জল খাবারের সাথেও এটি খাওয়া যায়। 

আপনি যদি রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারবেন। তবে একসাথে বেশি খাবেন না। মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ খাওয়া যথেষ্ট। চেষ্টা করবেন মধুময় বাদাম খালি পেটে না খেতে। খালি পেটে খাবার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এই বাদামটি আপনি শরীর চর্চার আগে এবং পরেও খেতে পারবেন। এতে করে জিম করার ফলে আপনার শরীর থেকে যে এনার্জি খরচ হয়েছে তা আবার দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। আশা করছি মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়মটি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

মধুময় বাদাম তৈরীর উপকরণ 

মধুময় বাদাম নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি তৈরীর মূল উপাদান হলো বিভিন্ন প্রকার বাদাম ও খাঁটি মধু। এটার নাম যেমন মিষ্টি এটি খেতেও ঠিক ততটাই ভালো ও পুষ্টিকর। অতুলনীয় সুস্বাদু এই মধুময় তৈরি করতে যেসব উপাদান প্রয়োজন তার নিম্নরূপ -
  • কালোজিরার দানা 
  • মিশ্র ফুলের খাঁটি মধু 
  • কাঠবাদাম 
  • কাজুবাদাম 
  • পেস্তা বাদাম 
  • আখরোট 
  • চিনা বাদাম 
  • গোল্ডেন কিসমিস 
  • কালো কিসমিস 
  • খুরমা খেজুর 
  • কিউই ফল 
  • শতমূল 
  • চিয়া সিড 
  • সাদা তিল
  • অশ্বগন্ধ 
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ 
  • সূর্যমুখীর বীজ 
  • চেরি ফল 
  • বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফুড 
তবে আপনি যদি মধুময় বাদাম না কিনে বাড়িতেই বানাতে চান, তবে এর প্রত্যেকটি উপাদান আলাদা আলাদা করে কিনে একটি কৌটায় ভালোভাবে মিশ্রিত করে এর মধ্যে খাঁটি মধু দিয়ে দিলেই মধুময় বাদাম তৈরি। 

তবে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেখানে কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, খুরমা খেজুর, আখরোট, কালোজিরার দানা, সাদা তিল, গোল্ডের কিসমিস, মিশ্র ফুলের খাঁটি মধু অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। কেননা মধুময় বাদামের প্রধান উপাদান বাদাম ও মধু। 

মধুময় বাদাম তৈরির পদ্ধতি দেখে নিন 

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং মধুময় বাদাম তৈরির উপাদান সম্পর্কে জেনে ফেলেছেন তাই না? এখন মধুময় বাদাম তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। মধুময় বাদাম তৈরি করার আগে আপনার অবশ্যই উপরে বর্ণিত উপাদান গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এই উপকরণগুলো সংগ্রহ হয়ে গেলে আপনি এটি তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। মধুমায় বাদাম তৈরি করা সবচাইতে সহজ একটি কাজ। প্রয়োজনীয় উপাদান যদি পাওয়া যায় তাহলে এই কাজটি যে কেউ করতে পারবে। 
প্রথমে আপনি যে উপাদানগুলো সংগ্রহ করেছেন সেগুলো ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এগুলো একটি কাঁচের জারে পূর্ণ করে ঢুকাতে হবে যাতে ওপরে একটু ফাঁকা থাকে। ঢুকানোর পর এর ওপরে শুধু মধু ঢেলে দিতে হবে। আস্তে আস্তে মধু ঢালতেই থাকবেন যতক্ষণ না মধু জ জারের মুখ পর্যন্ত চলে আসে। খেয়াল রাখবেন যাতে সবগুলো উপাদান মধুতে ভালোভাবে ডুবে থাকে। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে আপনার মধুময় বাদাম।

এরপর এটি আপনি রেখে রেখে যখন খুশি খেতে পারবেন। চেষ্টা করবেন মধুময় বাদাম কাচের জারে সংরক্ষণ করতে। অনেকে প্লাস্টিকের কৌটাতেও রাখে, তবে প্লাস্টিকের কৌটাতে রাখলে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন কাচের জারে রাখতে। আশা করি মধুময় বাদাম তৈরি করার উপকরণ ও তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

মধুময় বাদামে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে 

মধুময় বাদামে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে এটি আমাদের সবারই জানা উচিত। কারন আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত এটি ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে যদি আপনাদের অল্প একটুও ধারণা থাকে তাহলে এর উপকারিতা ও অপকারিতা বুঝতে সুবিধা হবে। এতে থাকা সব উপাদান যেমন পুষ্টিকর মধু ও তেমন সুপার ফুড, তাহলে দুটি কম্বিনেশনে কি হবে ভাবতেই পারছেন। মধুময় বাদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের চার্ট নিচে দেওয়া হলো -
  • ভিটামিন বি 
  • ভিটামিন ই 
  • প্রোটিন 
  • স্বাস্থ্যকর ফ্যাট 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • পটাশিয়াম 
  • ক্যালসিয়াম 
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট 
  • ডায়েটারী ফাইবার 
  • ক্যালোরি ইত্যাদি 
উপরের এই পুষ্টি উপাদান গুলো একজন মানুষের শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। আপনি যদি নিয়মিত মধুময় বাদাম খাবার অভ্যাস করেন তাহলে এই উপাদান গুলো আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। 

মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

এখন আমরা জানব মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা। আপনাদের হয়তো একটু ধারণা আছে এটি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। মধুময় বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। অনেক মানুষ আছে যারা শারীরিকভাবে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিয়মিত মধুময় বাদাম খাই। শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটানোর জন্য মধুময় বাদাম একটি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। 

বিশেষ করে এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক বেশি উপকারী। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো এক নজরে দেখে নেই -
  • শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে পারে 
  • হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করে 
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে মধুময় বাদাম 
  • স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে 
  • হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে ও শক্তিশালী করে 
  • শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করতে সাহায্য করে
  • হজম শক্তি উন্নত করে 
  • ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী মধুময় বাদাম 
  • যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে 
  • শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে ইত্যাদি 
তাহলে বুঝতে পারলেন মধুময় বাদাম খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনি যদি নিয়মিত মধুমায় বাদাম খান তাহলে এই উপকারিতা গুলো পাবেন।

মধুময় বাদাম খাওয়ার অপকারিতা 

প্রত্যেকটি জিনিস খাওয়ার কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের সেই নিয়মগুলো মেনে খাবার খাওয়া উচিত। শুধু যে মধুময় বাদামের ক্ষেত্রে এমন টি প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। প্রতিটি খাবারের ক্ষেত্রে তার নিয়ম গুলো মেনে খাওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলে শরীরের অনেক প্রকারের ক্ষতি হতে পারে। ঠিক তেমনি আপনি যদি বেশি উপকারের জন্য বেশি পরিমাণে মধুময় বাদাম খান, তাহলে শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 

তাই মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় রয়েছে। যেগুলো খাবার খাওয়ার আগের সবারই জানা দরকার। এখন অতিরিক্ত পরিমাণে মধুময় বাদাম খেলে কি কি অপকারিতা হতে পারে চলুন জেনে নেই -
  • মধুময় বাদাম বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মধুময় বাদাম খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে। আর যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে মধুময় বাদাম থেকে দূরে থাকাই ভালো। 
  • শরীরের চাহিদা তুলনায় বেশি খেলে রক্তে চর্বি বৃদ্ধি পেতে পারে 
  • কিডনি জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে 
  • রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে 
  • আরো অনেক ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে মধুমে বাদাম খান। 

মধুময় বাদাম এর দাম কত 

মধুময় বাদামের দাম কত অনেকেই জানতে চাই। আপনি যদি মধুময় বাদাম কিনতে চান তাহলে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দাম নিতে পারে। তবে ভাল মধুময় বাদামের দাম টা একটু বেশি ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

তবে কেনার আগে অবশ্যই ভালো নাকি খারাপ যাচাই-বাছাই করে কিনুন। কারন বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা বসেই থাকে খারাপ পণ্য বিক্রি করার জন্য। তাই অবশ্যই স্বনামধন্য কোন দোকান অথবা অনলাইন থেকে কিনতে পারেন। এতে করে ভালো পণ্যটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

বাদাম সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী 

প্রশ্ন : প্রতিদিন কত গ্রাম বাদাম খাওয়া উচিত? 
উত্তর : প্রতিদিন কয়েক প্রকার বাদাম মিলে এক মুঠো বাদাম খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি বাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। 

প্রশ্ন : কাজুবাদাম খেলে কি উপকার পাওয়া যায়? 
উত্তর : কাজুবাদাম খেলে এটি হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

প্রশ্ন : পেস্তা বাদাম খেলে কি হয়? 
উত্তর : সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করে ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে। 

প্রশ্ন : কাঠবাদাম খেলে কি উপকার পাওয়া যায়? 
উত্তর : কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং হজমের শক্তি বাড়ায় কাঠবাদাম। 

প্রশ্ন : চিনা বাদাম খেলে কি হয়? 
উত্তর : চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে, এছাড়াও তো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

মধুময় বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে 

মধুময় বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকে। বাদাম নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই ভাবেন বাদাম খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। মধুময় বাদাম অনেক পুষ্টিকর সেহেতু আপনারা ভাবতেই পারেন এটি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মধুমার বাদাম শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে না বরং গবেষণায় দেখা গেছে এটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তায় অল্প পরিমাণ মধুময় বাদাম রাখতে পারেন। 
আরো পড়ুন :
কারণ মধুময় বাদাম খেলে অল্পতেই পেট ভরে যাই। 
এতে করে শরীর অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণ করবে না। যাও ওজন কমাতে সাহায্য করবে। বাদামে থাকা ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও ফাইবারের মিশ্রণ ক্ষুধা নিবারণের সহায়তা করে। এতে করে বাদাম খেলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী বাদাম হলো কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম। মধুময় বাদামের যেহেতু অনেক ধরনের বাদাম ও মধুর মিশ্রণ থাকে তাই মধুময় বাদাম শরীরের ওজন হ্রাস করে। তবে আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত বাদাম খান, তাহলে মোটা হয়ে যেতে পারেন। 

মধু ও বাদাম ত্বকের জন্য কি উপকারি 

মধু ও বাদাম ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এগুলোতে থাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বককে সুন্দর, মসৃণ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাছাড়া মধু ও বাদামের ফেসপ্যাক বানিয়ে তা মুখে ব্যবহার করার ফলে, এটি ত্বকের গভীরে পুষ্টি প্রদান করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। তবে কিছু কিছু মানুষের মধু বা বাদামে অ্যালার্জি থাকতে পারে তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার না করাই ভালো হবে। 

মধু ও বাদাম ত্বকের জন্য আরও বিভিন্নভাবে উপকারী। তাহলে আসল কথা হচ্ছে মধু ও বাদাম ত্বকের জন্য উপকারী এটা সঠিক। তাই যারা মধু ও বাদাম ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিতে চান তারা ব্যবহার করতে পারেন। আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য : মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম 

মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম সহ মধুময় বাদামের যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি। মধুময় বাদাম খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই। তবে যে নিয়মগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, এই নিয়মে যদি আপনি মধুময় বাদাম খান তাহলে আশা করা যায় বেশি উপকৃত হবেন। 

আর অপকারিতার হাত থেকে বাঁচতে যে সতর্কতা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো মাথায় রাখবেন। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। আপনি যদি উপকৃত হন এই আর্টিকেলটি পড়ে, তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। যেন তারাও উপকৃত হয়। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আজকে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url