*/

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ সালে বিস্তারিত

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ সালে বিস্তারিত জানুন। এই আর্টিকেলে আপনি দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার কাগজপত্র, ভিসা প্রক্রিয়া, সময় ও বেতনসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

দুবাই-থেকে-ইতালি-যেতে-কত টাকা-লাগে


ইতালি ইউরোপের একটি সমৃদ্ধশালী ও জনপ্রিয় দেশ। উন্নত জীবনযাত্রা এবং কাজের সুবিশাল সুযোগের কারণে অনেক দুবাই প্রবাসী ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। হতে পারে আপনিও তাদের মধ্যে একজন। যদি সত্যি দুবাই থেকেই তাহলে যাওয়ার খরচ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভ্রমণের পূর্ণাঙ্গ নিয়োম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

পেজ সূচিপত্র : দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে 

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে 

দুবাই থেকে ইতালি যেতে খরচের পরিমাণ মূলত নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার ওপর। ভিসার ধরন ছাড়াও ভিসা প্রসেসিং ফি, আবেদন খরচ, বিমান টিকিটের মূল্যসহ নানা অতিরিক্ত খরচ যোগ হয়। তায় যারা দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এই তথ্যগুলো বেশ সহায়ক হবে। তবে মনে রাখতে হবে, আসল খরচ অনেক সময় এজেন্সি বা ট্রাভেল কনসালটেন্সির সেবার ওপর ও নির্ভর করে থাকে। যেকোনো ভিসাতেই হোক দুবাই থেকে ইতালি যেতে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত। 

এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে ইউরোপিয়ান স্টাইলে আপনাকে একটি সিভি তৈরি করে নিতে হবে। এরপরে ইতালিয়ান ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে কাজের জন্য কর্মকর্তা বা মালিক খুঁজতে হবে। এবং আপনি যখন নিয়োগকর্তা খুঁজে পাবেন তখন তাদের সাথে বিভিন্নভাবে কনভারসেশন করবেন। কনভারসেশন করার আগে অবশ্যই আপনি আপনার cv টা তাদেরকে ড্রপ করবেন এবং সিভি অবশ্যই ইউরোপিয়ান স্টাইলে হতে হবে। 

কারণ আপনি যেহেতু ইতালিতে অথবা ইউরোপিয়ান কোন কান্ট্রিতে যেতে চাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই আপনার সিভি ইউরোপিয়ান স্টাইলে হতে হবে। আপনার সিভি দেখার পর নিয়োগকর্তা আপনাকে নিয়োগের জন্য যোগাযোগ করবে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আপনাকে ইমেইল অথবা কন্টাক্ট নাম্বার আপনার সিভিতে যুক্ত করতে হবে। মালিকপক্ষ আপনার সকল ডিটেলস দেখার পর আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে এবং তারা যদি আপনাকে যোগ্য বলে মনে করেন, তাহলে তারাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। 

তবে খরচের বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে আগে থেকেই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে এবং সঠিকভাবে সিভি জমা দিতে হবে। আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী, মিডল ইস্ট এর যে কোন দেশ থেকে ইউরোপে জেতে সাধারণত প্রায় পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে ভিসার ধরন, এজেন্সি চার্জ এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচের কারণে এর চেয়ে বেশি খরচ পরতে পারে। 

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। মানুষ বিভিন্ন দেশে যায় মূলত ভালো উপার্জন করার জন্য। কিন্তু এমন কিছু দেশ আছে দেশের মানুষ গিয়ে মনের মতো উপার্জন করতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে অনেক প্রবাসী ভাই এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকে। তার মধ্যে যদি আপনিও একজন হন এবং দুবাই থেকে ট্রান্সফার হয়ে ভালো উপার্জনের জন্য ইতালি যেতে চান তবে এর কিছু উপায় আপনার জানা উচিত। আপনি হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গেছেন দুবাই থেকেই ইতালি যেতে কত টাকা লাগে। আর এখন আপনি জানবেন দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে। 

  • দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় এবং মাধ্যম হচ্ছে বিমান পথে যাওয়া। কেননা আপনি যদি বিমান পথে দুবাই থেকে ইতালি যান তবে সেক্ষেত্রে আপনার সময় এবং খরচ দুইটাই কম হবে। বিমানে করে আপনি আরাম করে খুব সহজেই দুবাই থেকে ইতালি ভ্রমণ করতে পারবেন। 
  • এরপরে আপনি আরো একটি সহজ মাধ্যমে দুবাই থেকে ইতালি যেতে পারবেন সেটি হলো ট্যুর এজেন্সি।টুর এজেন্সির মাধ্যমে আগে থেকে সবকিছু ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। এর ফলে আপনি খুব সহজে দুবাই থেকেই ইতালি যাওয়ার জন্য এর প্যাকেজ কিনে সেখানে যেতে পারবেন। 
  • দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার আরেকটি উত্তম মাধ্যম হচ্ছে সমুদ্রপথে যাওয়া। আপনি যদি দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য খরচ কমাতে চান তবে এটি হবে আপনার জন্য ভালো মাধ্যম। সমুদ্রপথে জাহাজে করে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হলেও এটি আপনার খরচ কমিয়ে দিতে পারে। 

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ ভিসা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়। কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাছে থাকলে ভিসার জন্য আপনার আবেদন করতে সহজ হয়ে যাবে। আর আপনি ইতালির ভিসা আবেদন করতে পারবেন খুব সহজেই। বেশ কিছু কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো আপনার জন্য খুব প্রয়োজনীয়। তো চলুন আমরা সেই কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নেই -
  • বৈধ পাসপোর্ট 
  • নিজের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • ই-ভিসা 
  • মেডিকেল হেলথ রিপোর্ট 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  •  ট্রাভেল রেকর্ড 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • দুবাই রেসিডেন্ট পারমিট ডকুমেন্টস
  • অন্যান্য প্রয়োজনে ডকুমেন্ট (এগুলো ভিসা এজেন্সি থেকে জেনে নিতে পারবেন আপনি) 
আশা করি উল্লেখিত বর্ণনায় আপনি ইতালি ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে অবগত হতে পারলেন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ভিসা আবেদন করার পূর্বে নিজে থেকে সংগ্রহ করে ভালোভাবে রাখুন। যেন পরবর্তীতে কাজের সময় আপনাকে আর বেশি চিন্তা করতে না হয় বা দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়। 

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করবেন। কিছু কিছু ধাপ আছে তা অনুসরণ করে আপনি ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে আমরা এখন দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য যে আবেদন প্রক্রিয়া আছে তা জানানোর চেষ্টা করব। 

  • আবেদন ফরম : প্রথমে অনলাইনে ইতালি ভিসা আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে। ফরমটি পেয়ে যাবেন আপনি ইতালির এম্বাসি ওয়েবসাইটে। ফরমটির মধ্যে যে সকল তথ্যগুলো দেওয়া আছে যেটা এক এক করে পূরণ করতে হবে। 
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস : আপনার পাসপোর্ট, নিজের ছবি, দুবাই রেসিডেন্ট পারমিট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদন ফরমের সাথে ইতালি ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে কাগজপত্র গুলো সাবমিট করতে হবে। 
  • প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান : ইতালি ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। কারণ আপনি দুবাই শহরটিতে কি ধরনের চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন, এগুলো তথ্য আপনাকে প্রথমে জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয় আপনার ব্যবসা বা চাকরি থেকে আপনি মাসে সর্বনিম্ন কত টাকা আয় করেন, আপনার যদি আয়ের পরিমাণ মাসিক দেড় লক্ষ টাকা হয় তাহলে আপনার জন্য ইতালি ভিসা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। 
  • ভিসা ফি পরিশোধ : আপনার যখন আবেদন ফরমটি পূরণ করা হয়ে যাবে তখন আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। প্রদান করতে হবে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটেই। তবে ভিসা ফি প্রদানের আগে অবশ্যই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। 
  • ইন্টারভিউ : কিছু কিছু ভিসা ক্যাটাগরি আছে সেগুলোতে আপনাকে ইতালি যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে হয়। ইন্টারভিউ এর সময় অবশ্যই আপনি সঠিক তথ্য প্রদান করবেন। তবে সব ক্যাটাগরির ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। 
সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে আপনার সকল তথ্য জমা দেওয়া হয়ে গেলে ভিসা অনুমোদন পেয়ে যাবেন। আপনাকে ভিসা নেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বলে দেবে। তখন আপনি আপনার বৈধ পাসপোর্ট ভিসা স্ট্যাম্পের ভিসা পেয়ে যাবেন। 

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ইতালিতে বর্তমানে বিভিন্ন খাতে কাজের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। দেশটির জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় শ্রমিক ও কর্মীর প্রয়োজনীয়তা সবসময় বিদ্যমান। ফলে দক্ষ বা অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য ইতালিতে চাকরির সুযোগ পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। শুধু তাই নয়, অনেক ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ইতালিতে কাজের পারিশ্রমিক ও তুলনামূলকভাবে বেশি, যা প্রবাসীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করে। তাই ইতালিতে যাওয়ার আগ্রহ আমাদের বেশি থাকে। তবে কাজের উপর নির্ভর করে এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। প্রথম দিকে যারা কাজ করতে যান, তাদের বেতনটা কিছুটা কম থাকে। বর্তমানে ইতালিতে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেই কাজগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো - 

  • খাবার ডেলিভারির কাজ 
  • কৃষিকাজ 
  • কন্সট্রাকশন 
  • হেয়ার কাটিং 
  • মোবাইল বা কম্পিউটার মেরামত এর কাজ 
  • ফ্যাক্টরি 
  • জাহাজ শিল্প 
  • রেস্টুরেন্ট 
  • মোদির দোকান 

ইতালিতে সর্বোচ্চ বেতন কত 

দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে বেতন কাঠামোর পরিবর্তন ও উন্নতি হয়ে থাকে। প্রবাসী ভাইয়েরা নতুন অবস্থায় কাজ করতে যান, তখন ন্যূনতম একটা বেতন পেয়ে থাকেন। ধীরে ধীরে সেই বেতন কাঠামো পরিবর্তণ আসে। ইতালিতে সাধারণত সর্বনিম্ন বলে কোন বেতন কাঠামো নেই। অন্যদিকে পেশা অনুযায়ী এবং দক্ষতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবুও সেখানে সর্বোচ্চ বেতন কত তা নির্ধারিত নেই। তবে আনুমানিক মাসিক সর্বোচ্চ বেতন ৪৪৯২ ইউরো হয়ে থাকে, যা বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় ৫,৩৮,০০০। এটা ইতালির সর্বোচ্চ গড় মাসিক বেতন। 

সর্বোচ্চ বেতন পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে উচ্চমানের চাকরির দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য শুধুমাত্র দক্ষতা নই বরং যোগ্যতা ও দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক দুবাই প্রবাসী উন্নত জীবনমান ও বেশি আয়ের আশায় ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, কারণ সেখানে কাদের সুযোগ এবং বেতনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে তা প্রবাসী ভাইয়েরা ইন্টারনেটে জেনে নেন কারণ উচ্চ জীবনমান সম্পন্ন দেশ ইতালিতে কাজের বেশি বেতন। এজন্যই প্রবাসীরা দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় জানতে চান। 

দুবাই থেকে ইতালি কত কিলোমিটার

আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে, বিশেষ করে ইতালিতে গিয়ে ভালো উপার্জন করা। তাই যারা ইতিমধ্যে প্রবাসে আছেন তাদের অনেকেই বেশি আয় ও উন্নত জীবনমানের আশায় দুবাই থেকে চলে যেতে চান। তবে এই ভ্রমণের জন্য প্রথমে যে তথ্যটি জানা জরুরী তা হল দুবাই থেকে ইতালির দূরত্ব।  অর্থাৎ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত কিলোমিটার এটা যদি আমরা পূর্বে জেনে নেই আমাদের যাত্রা সার্বিক দিক থেকে অনেক সহজ হতে পারে। 

আসলে আপনি ইতালির কোন শহরে যাচ্ছেন তারপর নির্ভর করে এই দূরত্ব কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে গড় হিসাব করে দুবাই থেকে ইতালি প্রায় ৪,৪৫০ কিলোমিটার থেকে ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। 

দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়া 

দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়া বলতে বুঝাচ্ছে ইউরোপের যে কোন কান্ট্রিতে স্থানান্তর হওয়া। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে যারা ইচ্ছুক তারা বিশেষ করে দুবাই গিয়ে থাকেন। কারণ অনেকের ধারণা দুবাইতে গেলে খুব সহজে ইউরোপ যাওয়া যায়। তবে এটা যতটা সহজ মনে করছেন ততটা কিন্তু সহজ নয়। প্রায় ৫০% লোক ইউরোপ যাওয়ার জন্য দুবাইতে গিয়ে থাকেন। অনেকে দুবাইকে ইউরোপ যাওয়ার সেন্টার মনে করে থাকেন। অনেকে মনে করেন ইউরোপের এম্বাসিতে ভিসা জমা থাকলে ইউরোপ যাওয়া যায়। 

বাংলাদেশে কিছু এজেন্সি আছে যারা বিভিন্নভাবে মানুষকে বুঝিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুবাইতে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে দুবাইতে নিয়ে এসে পার্টনার ভিসায় ইউরোপ পাঠিয়ে দিবে। হলে তাদের কাছে মোটামুটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যারা বাংলাদেশে আছেন তাদের ধারণা দুবাইতে গেলেই তাদের ইউরোপ ভিসা পেয়ে যাবে। এবং যারা বাংলাদেশিরা ডুবাইতে আছেন তাদের ধারণা পার্টনার ভিসা লাগালেই তারা ইউরোপ দিতে পারবেন। 

সত্যিকারে এরকম কোন কন্ডিশন নাই। সর্বপ্রথম আমাদের ন্যাশনালিটি চিন্তা করতে হবে। কারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইউরোপে হস্তান্তর নিয়ম কানুন ভিন্ন হয়ে থাকে। সত্য কথা বললে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশীদের নেগেটিভ ভাবে যাচাই করে থাকেন। বৈধ ভাবে চেষ্টা করেও অনেকে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে পারছেন না। দুবাই থেকে ইউরোপ কান্ট্রি ইতালিতে অথবা যে কোন কান্ট্রি তে যেতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম দুবাইতে যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে রেসিডেন্স ভিসা লাগাতে হবে। 

কোন কোন ভিসায় দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া যায় 

দুবাই থেকে ইতালি যেতে আপনাকে সর্ব প্রথম যেটা নির্ধারণ করতে হবে সেটা হচ্ছে কেন আপনি ইতালি যাবেন এবং কোন বিষয়ে ইতালি যেতে চান। কারণ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া যায়। চলুন বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া আলোচনা করি -
  • স্পন্সর ভিসা 
  • ডোমেস্টিক ভিসা 
  • সিজনাল ভিসা 
  • এগ্রিকালচারাল ভিসা 
  • টুরিস্ট ভিসা 
  • ভিজিট ভিসা 

আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন : দুবাই থেকে কি ইতালি যাওয়া যায়?
উত্তর : দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া যায়। 

প্রশ্ন : দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ কত? 
উত্তর : ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। 

প্রশ্ন : দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য দুবাইতে কতদিন থাকতে হবে?
উত্তর : দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুবাইয়ে এক বছর অবস্থান করা লাগবে।  

লেখকের শেষ মন্তব্য : দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে 

দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যেই ধারণা পেয়েছেন। পাশাপাশি দুবাই থেকে ইতালি ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং সেখানে কাজের বেতন সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের এই আর্টিকেল থেকে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তবে সবসময় মনে রাখবেন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই সব সময় বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ইতালি এম্বাসির ওয়েবসাইটে খোঁজ করতে পারেন। 

আপনি যদি উপরোক্ত সমস্ত নিয়ম মেনে দুবাই থেকেই ইতালি যেতে পারেন, তবে সেটা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে বলে মনে করি। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর পাশাপাশি এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url