কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে - সম্পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কুয়েত ভিসা পেজে কতদিন লাগে আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়। অনেকেই কুয়েত ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন না। সেজন্য আমাদের আজকের এই পোস্টে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি কি কুয়েত যেতে চাচ্ছেন, কিন্তু কিভাবে যাবেন বুঝতে পারছেন না। তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কেননা আজকে আমরা আলোচনা করব, কুয়েতের সকল কিছু বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানানো হবে। এর ফলে আপনাদের কুয়েত সম্পর্কে যত প্রশ্ন আছে, সকল প্রশ্নের সমাধান পাবেন।
পেজ সূচিপত্র : কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- কুয়েত ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- কাজের ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে
- কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত
- কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপার কি
- কুয়েত কোন কাজের বেতন বেশি
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লেখকের মন্তব্য : কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে
কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন আসলে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে। আপনি যদি কুয়েতে চান তাহলে আপনার বিষয়ে হতে কত দিন লাগতে পারে। বাংলাদেশে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা আপনাদের বলে থাকবে কুয়েত ভিসা হতে এক মাস, দুই মাস কিংবা ১৫ দিন বলে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে কুয়েত ভিসা আবেদন করতে পারেন। তাহলে আপনার সর্বোচ্চ হলে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে। কুয়েত ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায় কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে তাদের নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।
আপনার যদি পরিচিত আত্মীয় কুয়েতে থেকে থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজে কুয়েত ভিসা পেতে পারেন। এর ফলে যেটি হয় আপনাকে কোন ধরনের দালালের চক্রান্তেই পড়তে হয় না। এজন্য আপনার যে কোন আত্মীয় যদি কুয়েতে থেকে থাকে। তাহলে আপনি তার মাধ্যমে কুয়েত ভিসা করে খুব সহজে আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি কুয়েতে কোন ধরনের আত্মীয় না থাকে তাহলে আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই বিধ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুন : ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম
এমন কি আপনি যখন কুয়েতে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। অবশ্যই কাগজপত্র সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে তাড়াতাড়ি ভিসা পেতে পারেন। আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসা, ভিজিট ভিসার মাধ্যমে কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু আপনি যেভাবে যান না কেন অবশ্যই বাংলাদেশী সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে কুয়েতে আপনি সঠিকভাবে সঠিক উদ্দেশ্য গিয়ে কাজ করতে পারবেন।
কুয়েত ভিসা আবেদন করার নিয়ম
কুয়েত ভিসার জন্য আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমান যুগে কুয়েত ভিসার জন্য হাতে থাকা স্মার্টফোন এর মাধ্যমেই আবেদন করা যায়। চলুন কুয়েত ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মটি জেনে নেয়া যাক।
- কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে কুয়েতের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- ওয়েবসাইটে ঢোকার পরে সেখান থেকে আপনাকে আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এই ফর্মের উপরে আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে দিতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করার সময় কোন মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না।
- সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করার পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করে দিতে হবে।
- আপনার কাছে যদি অনলাইন আবেদন এই প্রক্রিয়াটি কঠিন মনে হয় তাহলে সরাসরি বাংলাদেশে অবস্থিত কুয়েত ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
কাজের ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে
আপনাকে কোন দেশের কাজের ভিসা নিতে হলে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে একেক দেশের কাজের ভিসার কাগজপত্র একেক ধরনের চাওয়া হয় । তাহলে আপনাকে কুয়েতের কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেগুলো হল -
- পাসপোর্ট দরকার এবং অবশ্যই সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকা লাগবে।
- সাম্প্রতিক সময়ে তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত।
- কাজের চুক্তিপত্র।
- এইচআইভি অথবা এইডস এর টেস্টের সার্টিফিকেট।
- কুয়েত এম্বাসি হইতে অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে মেডিকেল টেস্ট সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ক্লিয়ার এন্ড সার্টিফিকেট।
- বিএমইটির প্রশিক্ষণ সনদ।
- বিএমইটির স্মার্ট কার্ড।
- নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিসার দাম সম্পর্কে আগে আপনাকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কেননা আপনি যদি কুয়েত কোম্পানির ভিসার দাম সম্পর্কে না জানেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা চক্রে পড়তে পারেন অথবা আপনার কাছ থেকে কোন দালাল বেশি টাকা চাইতে পারে। এর ফলে আপনার ভিসার খরচ দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি হতেও পারে। চলুন এবার বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক -
বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক এজেন্সি আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে কুয়েত কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। এমনিতেও কুয়েত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। কুয়েত হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রকৃতি গ্যাস এবং তেলের উৎপাদন রপ্তানির উপর নির্ভর করে এদেশের অর্থনীতি। কুয়েতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি এসব কাজের মাধ্যমে ভিসা করে যেতে চান। তাহলে খুব সহজে আবেদন করে যেতে পারেন স্বল্প খরচে মাধ্যমিক কুয়েত কোম্পানি ভিসা যেতে পারেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোম্পানির ভিসার দাম কত। নিচে দেওয়া হল :-
| ভিসার নাম | ভিসার দাম |
|---|---|
| রেস্টরেন্ট এবং হোটেল ভিসা | ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
| ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা | ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকা |
| সিকিউরিটি গার্ড ভিসা | ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
| হাউস্কিপার ভিসা | ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা |
| ড্রাইভিং ভিসা | ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
| ফ্যাক্টরি ভিসা | ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা |
| ক্লিনার ভিসা | ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা |
| মেকানিক ভিসা | ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
| প্লাম্বার ভিসা | ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপার কি
আপনি যদি সোন পেপার পেতে চান তাহলে অবশ্যই কুয়েতে যে নিয়োগ কর্তা থাকে তার কাছ থেকে কাজের অফার পাওয়া লাগবে। তারপর আবেদন করতে পারবেন আপনি ভিসার জন্য। আপনি আবেদন করতে পারবেন না সরাসরি ভিসার জন্য। আপনার হয়ে কুয়েতের নিয়োগ কর্তা সরকারের কাছে ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপার এর জন্য আবেদন করবেন। কুয়েতের যে কোম্পানি আপনি কাজের জন্য আবেদন করবেন, তারা আপনার হয়ে কুয়েত সরকারের কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপার বের করে নেবে। ওয়ার্ক পারমিট কে কুয়েতি ভাষায় বলা হয় 'সোন পেপার'।
আরো পড়ুন :
ওয়ার পারমিট বা সোন পেপার বের করতে আপনাকে বৈধ পাসপোর্ট ফটোকপি জমা দিতে হবে। মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। করোনা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট। ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপারে আপনার পাসওয়ার্ড নাম্বার, কাজের ধরন ও চাকরির বিভিন্ন শর্তাবলী উল্লেখ থাকবে। আপনার ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপার বের হয়ে গেলে এবার আপনার কাজ হলো ভিসার জন্য আবেদন করা।
কুয়েত সরকার বর্তমানে বিদেশি নাগরিকদের সেই দেশে প্রবেশের জন্য ই ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসা চালু করেছে। এ ভিসার আবেদন করতে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট বা সোন পেপারের জন্য আবেদন করা এবং তা বের হয়ে গেলে কাজের ভিসার জন্য আবেদন - এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আপনি যদি নিজে না করতে পারেন তাহলে কোন এজেন্সির মাধ্যমে করে নিতে পারেন।
কুয়েত কোন কাজের বেতন বেশি
কুয়েত কোন কাজের বেতন বেশি, আপনি যদি কুয়েতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা দরকার কোন কাজে বেতন বেশি এবং কোন শ্রমিকদের বেশি মান দেওয়া হয়। কুয়েতে কাজের বেতন সম্পর্কে আপনাদের সাথে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। কেননা আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সেসব কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে যান তাহলে আপনার কুয়েতে কাজের মান অনেক বেশি হতে পারে।
আপনি কুয়েত ছাড়ুন, যেকোনো জায়গায় বিদেশ যান না কেন আপনাকে পাঁচ থেকে ছয় ধরনের তাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে হবে। কেননা এমন অনেক দালাল এজেন্সি আছে যারা আপনাকে কোম্পানির কাজে ভিসা করে পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে আপনি কোন ধরনের কাজ পান না, এইজন্য আপনি অবশ্যই এমন কোন কাজ জানেন যেগুলো সেখানে গিয়ে খুব সহজে করতে পারবেন। এমনিতেও বিদেশে তারা শুধু আমাদের নিয়ে থাকে তাদের কাজের জন্য, যে বেশি কাজে দক্ষ তাকে বেশি বেতন দিয়ে রাখা হয়।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত কোম্পানিতে বাংলাদেশ ও আরো বিভিন্ন জায়গার লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কুয়েতে কাজের জন্য নিয়োগে আবেদন করে থাকে। এমনকি আরও এমন অনেক যুবকের স্বপ্ন আছে যারা কুয়েতে গিয়ে নিজের স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণ করবে। কুয়েতে এমন অনেক ধরনের কোম্পানি আছে যেগুলোর একেক কোম্পানির বেতন একেক রকম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এজন্য আমি বলব আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন, অবশ্যই সেই এজেন্সি আগে চেক করে নিবেন।
আরো পড়ুন :
কুয়েত কোম্পানিতে কাজের অনেক ধরনের সুযোগ - সুবিধা রয়েছে। আপনি কুয়েতে নতুন কোম্পানিতে জয়েন হওয়ার পরে যদি তেমন ভালো কিছু কাজ না জানেন। তাহলে আপনার নূন্যতম বেতন হতে পারে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর আপনি যদি কোন ধরনের কাজে ভাল দক্ষতা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার নূন্যতম বেতন হতে পারে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এজন্য অবশ্যই কুয়েতে যাওয়ার আগে কিছু কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। যার ফলে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ - সুবিধা বেড়ে যেতে পারে।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত আপনারা অনেকে জানেন না, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। কথাটা শুনে হয়তো অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটি সত্যি। আপনি বিদেশে যে কোন দেশে যান না কেন সেটি কুয়েত হোক না কেন দেশের ড্রাইভিং এর বেতন সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়। তেমনি কুয়েতেও ড্রাইভিং এর মান বেশি এবং বেতনও অনেক বেশি। আপনি কিভাবে ড্রাইভিং ভিসায় যাবেন। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে যেসব করতে হবে।
আপনি যদি ড্রাইভিং কুয়েতে যেতে চান তাহলে তার আগে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং করা জানতে হবে এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। তা না হলে আপনাকে কাজ নাও দিতে পারে। আমাদের দেশের ড্রাইভিং এর বেতন কম হলেও বাইরের দেশের ড্রাইভিং এর বেতন কিন্তু অনেক বেশি। এজন্য বাংলাদেশ থেকে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ড্রাইভিং ভিসাই কুয়েতে গিয়ে থাকে। আপনি যদি কুয়েতের ভিসাই যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কুয়েতের ড্রাইভিং এর জন্য কত বেতন দিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েতে যেতে পারেন।
কুয়েত ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা
কুয়েত ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা আপনাকে কুয়েতে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। প্রথমে আপনার যখন সিরিয়াল নাম্বার আসবে তখন আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে। এবং আপনাকে কয়েকটা গাড়ির মধ্যে যেকোন একটাতে বসিয়ে দিবে। এবং বসার পরে আপনি সাথে সাথে আপনার সিট বেল্ট লাগিয়ে নেবেন। সিট বেল্ট যদি কোন কারণবশত লাগাতে ভুলে যান তাহলে আপনাকে রিজেক্ট করা হবে। এবং গাড়িটি যদি স্টার্ট করা না থাকে তাহলে আপনি গাড়ি স্টার্ট করে নিবেন। এবং অনেকগুলো পার্কিং করার জন্য ছোট ছোট গ্যাপ তৈরি করা আছে। যাকে বলা হয় পকেট পারকিং।
আপনাকে সেই পার্কিং গুলোর জায়গাতে গাড়িটা কে ব্যাক করিয়ে পার্কিং করতে হবে। এবং আপনি যখন প্র্যাকটিস করবেন তখন পার্কিং করার জন্য ডান বাম দুই পাশেই শিখে রাখবেন। কারণ তারা যে কোন একটি পার্কিং নাম্বারে আপনাকে গাড়ি পার্কিং করতে বলতে পারে। এবং পার্কিং করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার গাড়ি কোন বক্সের সাথে না লেগে যায়। কোন কারণবশত যদি লেগে যায় তাহলে আপনাকে রিজেক্ট করা হবে। এবং পুরো গাড়িটি সেই পার্কিংয়ের দাগের মধ্যে রাখতে হবে। মূলত এই পার্কিং পরীক্ষাটাই বেশি নেওয়া হয়। আপনি যদি সম্পূর্ণ পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাহলে আপনাকে সিলেক্ট করা হবে। এবং আপনি কুয়েতে ড্রাইভিং করতে পারবেন।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত তার সম্পর্কে জানলাম, কিন্তু আপনি কি জানেন কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সারা বিশ্বের মধ্যে কুয়েত দেশ অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র। আর সেজন্য সব ধরনের কাজের সুযোগ - সুবিধা রয়েছে কুয়েতে। এর জন্য অনেক প্রবাসী কুয়েতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু যাওয়ার আগে আমাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যারা কুয়েতে যেতে চাই তাদের অনেকেরই ধারণা নেই যে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু কুয়েতে যাওয়ার আগে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কারণ অভিজ্ঞতাদের আলাদাভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এর জন্য আপনাকে জানা দরকার কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। এবং সেই কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা বাড়িয়ে তারপর কুয়েতে যাওয়া উচিত। কুয়েতে কিছু কাজের চাহিদা অনেক বেশি যেগুলো এ দেশের মানুষের অনেকের অজানা। তাই চলুন জেনে নেই কোন কাজগুলো কুয়েতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন।
সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলো হলো, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ওয়েটার, অফিস ক্লিনার, মেডিকেল ক্লিনার, ওয়েল্ডিং এর কাজ ইত্যাদি। এই সকল কাজগুলো কুয়েতে খুব বেশি চাহিদা সম্পন্ন। এবং এই কাজগুলোর বেতনও ভালো পরিমাণে দিয়ে থাকে। এই কাজগুলো দক্ষতা অর্জন করে আপনি চাইলে কুয়েতে এই সকল কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য : কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আজকের আর্টিকেলটি পরে অবশ্যই আপনি ধারণা পেয়েছেন যে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে। তবে আপনার যদি কুয়েতে পরিচিত আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে কম খরচে কুয়েতে ভিসার জন্য যেতে পারবেন। আর যদি আপনার আত্মীয় কেউ না থাকে তাহলে কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করার চেষ্টা করবেন। আপনি কুয়েতে যাওয়ার আগে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারেন।
তাহলে আপনি কুয়েতে গিয়ে খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে ভালো বেতন পাবেন। লেখাটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যেন তারাও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়। আমার লেখা সম্পর্কে কোন মতামত জানানোর থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।



নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url