থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে কি বলে জানুন
থার্টি ফাস্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে কি বলে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করা জায়েজ কিনা। তাহলে চলুন জেনে নেই থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
ইসলামের দৃষ্টিতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হারাম করা হয়েছে। কেননা এটি একটি বিধর্মী সংস্কৃতি যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে, এর ইতিহাস সহ যাবতীয় তথ্য এর বিস্তারিত আলোচনা।
পেজ সূচিপত্র : থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে
- থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে
- থার্টি ফার্স্ট নাইট এর উৎপত্তি
- থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস
- থার্টি ফার্স্ট নাইট এর উৎসব যেভাবে পালিত হয়
- থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের প্রচলন যেদিন থেকে শুরু
- থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম যা বলে
- থার্টি ফার্স্ট নাইট এর বাংলাদেশে প্রসার
- লেখকের শেষ মন্তব্য : থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে
থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে
থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। একজন প্রকৃত মুসলমান ব্যক্তি কখনোই থার্টি ফার্স্ট নাইট কে সমর্থন করবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে কোন মুসলমান যদি জানতে পারে তাহলে কখনোই এটাকে সমর্থন করবে না। চলুন আমরা নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করি এই সম্পর্কে -
- আতশবাজি ও পটকাবাজি : থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করার জন্য মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় আতশবাজি ও পটকাবাজি। এই আতশবাজি ও পটকাবাজি জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও থাকে। এসব কর্মকান্ডের জন্য জনসাধারণকে কষ্ট ভোগ করতে হয়। এরই আলোকে আল্লাহ তায়ালা সূরা আল আহযাবে ৫৮ নাম্বার আয়াতে বলেছেন, " যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দিয়ে থাকে, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্যে পাপের ভাগীদার হবেন। "
- গান-বাজনা করা : থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করার জন্য অনেকেই গান-বাজনার আয়োজন করে থাকে। এই গান বাজনা করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- অশ্লীলতা : এই প্রসঙ্গে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, " ওইসব নারী যারা পোশাক পরিহিতা কিন্তু নগ্ন থাকে। পরপুরুষকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হয়। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের মত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের সুগন্ধী ও পাবে না।" (সহীহ মুসলিম -২১২৮)
- অর্থ অপচয় করা : থার্টি ফার্স্ট নাইট কে কেন্দ্র করে অনেক অর্থ অপচয় করে এবং হারাম কাজে ব্যয় করে। এটা একদিকে মারাত্মক গুনাহের কাজ এবং অপরদিকে অপচয়। আর ইসলাম অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, "নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার রবের বড়ই অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনী ইসরাঈল -২৭)
- মাদকদ্রব্য সেবন করা : থার্টি ফার্স্ট নাইট এর রাতে অনেক ছেলে-মেয়েরা আছে যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে। এই মাদকদ্রব্য সেবন করার ফলে মাতাল হয়ে পড়ে ফলে অপকর্মের মত ঘটনা ঘটে। এগুলো থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের কাজ।
- যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা : থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, সমুদ্র সৈকত, নাইট ক্লাবে অপকর্মে লিপ্ত হয় এবং অবাধে মেলামেশা করে। যা ইসলামের দৃষ্টিকোণে এটিকে ব্যভিচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মনে করেন কেউ যদি বলে আমরা খারাপ কিছু করবোনা, শুধু এই উৎসবটি উদযাপন করব তাহলে বুঝে নেবেন এরাই হলো আসল ধোঁকাবাজ। এরা হয়তো পরিবারকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং সমাজকে ধোঁকা দিচ্ছে নয়তো তারা নিজেরাই ধোঁকাই পড়ে আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "কোন পুরুষ যদি কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হয় তাহলে তাদের মধ্যে তৃতীয়জন হয় শয়তান। " (মিশকাত শরীফ -১৩১৮)
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর উৎপত্তি
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর উৎপত্তি হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ চালু হওয়ার পর থেকে। গ্রেগোরিয়ান ইংরেজি ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত করেন ১৯৮২ সালে। এই ক্যালেন্ডার চালুর আগেও নববর্ষ পালনের বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ প্রচলন ছিল। কিন্তু যখন ক্যালেন্ডার চালু হলো তখন পাকাপোক্তভাবে এই থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের প্রচলন শুরু হল। থার্টি ফার্স্ট নাইট এটা একটি খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি। পোপ গ্রেগোরিয়ান যেই ক্যালেন্ডার তৈরি করেছেন সেই ক্যালেন্ডার এর হিসেব অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত্রে এই থার্টিফার্স্ট নাইট উৎপত্তি হয়।
আরো পড়ুব ঃ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
বছরের এই শেষ রাতকে অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইট একটি খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্কলাররা এই থার্টি ফার্স্ট নাইট কে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। থার্টি ফাস্ট নাইট ইসলাম ও মুমিনদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি একটি ইসলাম বিরোধী কাজ। যারা প্রকৃত মুসলমান তারা কখনোই এই উৎসব পালন করবে না।
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস বলতে গেলে বোঝানো হয় এটি কিভাবে পালন করা হয় বা এটি কেন পালন করে। সবাই নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাতে এই দিনটি উদযাপন করে। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করার ধরণটা একটু আলাদা হয়ে থাকে। এরা গান-বাজনাতে মেতে থাকে এবং খাবার-দাবারের বিভিন্ন আয়োজন করে। যে খাবার এর আয়োজন করা হয় সেগুলো ঠিক ৩১শে ডিসেম্বর রাত ১২টা এক মিনিটে খাওয়া হয়। এভাবেই প্রত্যেকটা মানুষ বছরের পর বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করে আসছে। এটা মূলত খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি। এই উৎসবটির মানে আপনি হারাম কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত থার্টি ফার্স্ট নাইট এর মত উৎসবটি এড়িয়ে চলা।
হযরত ঈসা আঃ এর জন্মের অনেক আগে রোমানের মুশরিকরা জানস নামের এক ঈশ্বরের ইবাদত করত। গুরুর স্রষ্টা রূপে জানত সেই সময় তারা। রোমানের মুশফিকরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করত, তার মধ্যে তারা জানোসের ইবাদত করত। তারা বিশ্বাস করত অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে জানোস। আর এই কারণেই জানোসের নামানুসারে বছরের প্রথম মাসের নাম দেওয়া হয়েছে জানুয়ারি। রোমানের মুশরিকরা এই দিনটিকে সেলিব্রেট করতো ধুমধাম করে।
রোমানের মুশফিকরা থার্টি ফার্স্ট নাইট কে উদযাপন করে, তারা মনে করে যে তাদের ঈশ্বর জানোস কে খুশি করতে পারলে তাদের বছরটি মঙ্গল এর মধ্যে দিয়ে যাবে। দুইটি মাথা রয়েছে জানোস এর মূর্তি ছবির। রোমানের মোশরেকরা মনে করে তাদের ঈশ্বর জানোসের দুইটা মাথা সামনে এবং পিছনে দেখতে পায়। এটা দ্বারা বুঝা যায় জানোস অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবকিছুই দেখতে পাই। এইরকম শিরকের এর কাজ কোন মুসলমান সমর্থন করতে পারেনা। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে কোনো মুসলমান যদি জানে তাহলে কখনোই এই দিবসটি উদযাপন করবে না।
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর উৎসব যেভাবে পালিত হয়
থার্টি ফাস্ট নাইট এর উৎসব বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়। প্রথম বছর জানুয়ারি মাসের ৩১শে ডিসেম্বর রাত বারোটা এক মিনিটে পালন করা হয় যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যাপি নিউ ইয়ার। ৩১ শে ডিসেম্বর যখন শুরু হয় ছোট, বড় সকলে অপেক্ষা করে কখন রাত বারোটা এক বাজবে। কেননা বারোটা এক বাজার সাথে সাথে তারা আতশবাজি ফাটিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করে। তারা ভুলেই যাই এই আতশবাজি ফাটানোর জন্য কত কত নিরীহ প্রাণ চলে যাই। যারা প্রকৃত মুসলমান তারা কখনোই এই উৎসবটি পালন করবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস যদি কোন মুসলিম জেনে থাকে তাহলে কখনোই এই উৎসবটি পালন করবে না।
থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের প্রচলন যেদিন থেকে শুরু
থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের প্রচলন যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকে প্রত্যেক যুবক যুবতীরা বিভিন্ন নেশা ও নাচ গান, আতশবাজিতে মেতে উঠেছে। যা ইসলামের দৃষ্টিতে আমাদের জন্য একেবারেই হারাম করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের প্রচলন শুরু হয় হযরত ঈসা আলাইহিস ওয়াসাল্লাম এর জন্মের ৪৬ বছর আগে থেকে। তাদের ঈশ্বর জানস এর নামানুসারে ইংরেজি নববর্ষ জানুয়ারি নামকরণ করেন। তাদের এই মনোভাব - চিন্তাভাবনা থার্টি ফার্স্ট নাইট পর্যন্ত নিয়ে যাই।
তাদের ঈশ্বরের স্মরণে এই থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করে থাকে রোমান মুশরিকরা। তারা মনে করে যে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করলে তাদের জন্য মঙ্গল হবে এবং তাদের ঈশ্বর তাদেরকে রক্ষা করবে। তাদের এই ভুল ধারণা বা চিন্তা ধারা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি শিরক।
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম যা বলে
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা আলোচনা করব। ইসলাম অনুযায়ী থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা সম্পূর্ণ হারাম। কেননা কোন মুসলমান যদি থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে জানে তাহলে কখনোই এর উৎসবটি পালন করবে না। আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ইমরানের ৮৫ নাম্বার আয়াতে বলেছেন, "যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসরণ করবে, তার আমল কখনও গ্রহণ করা হবে না। এবং পরকালের সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। " এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যদি কোন ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে আচার-আচরণে, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সেই ব্যক্তি তাদের দলভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমরা যেই সময় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করি, সেই সময় আমাদের মুসলমানের উচিত আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকা। আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইটে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত না করে সারারাত গান বাজনা ও নিশা মেটানোর সময় হিসেবে বেছে নিচ্ছি, যা আমাদের জন্য মারাত্মক গুনাহের কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে এসে প্রতিটি সাহায্যপ্রার্থীকে, অসুস্থ ব্যক্তিকে ডেকে ডেকে নিয়ে যান যা সেই ব্যক্তি চাই। " তাই আমাদের উচিত এই রাতটিতে ইবাদতে মশগুল থাকা এবং আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা।
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর বাংলাদেশে প্রসার
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর বাংলাদেশের প্রসার শুরু হয়েছে ২৪ বছর আগে। বাংলাদেশের ২০০০ সালের মধ্যরাতে মিলেনিয়াম পালনের মধ্য দিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট শুরু হয়। এরপর থেকেই বেড়ে চলেছে অপসংস্কৃতির অনেক প্রসার। এই অপসংস্কৃতির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মানুষ উৎসবে মুখর হয়ে থাকে। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক যুবতীরা গুনাহের কাজে লিপ্ত হচ্ছে। আমাদের এই সমাজে পরিস্থিতি সামাল দিতেও আইন শৃঙ্খলা ও প্রশাসন বাহিনী।
থার্টি ফার্স্ট নামক যে দিবসটি পালিত হচ্ছে সেটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দৃষ্টিতে কখনোই বৈধতা রাখে না। এই ধরনের দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে বলতে পারি ধর্মীয় অনুশাসন ও সাংবিধানিক সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য আমাদেরকে সমাজবিধ্বংসী অপসংস্কৃতি বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
লেখকের শেষ মন্তব্য : থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে
থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের দৃষ্টিতে কি বলে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের এই আর্টিকেলে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রকৃত মুসলমান যদি হয় তাহলে কখনোই এই উৎসবটিকে সমর্থন করবে না। এই উৎসবটি পালন করে গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে, আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থাকা এবং ভালোবাসা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উচিত।
পরিশেষে এটাই বলব প্রত্যেক মুসলমানকে থার্টি ফার্স্ট নাইট বর্জন করা উচিত। আজকের আর্টিকেলটি করে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও এই উৎসবটি পালন করা থেকে বিরত থাকবে। এতক্ষন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url