মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় বর্তমান সময়ে খুবই সম্ভাবনাময়। কিন্তু ঘরে বসে
কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আপনি যদি ঘরে বসে আয় করার
উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে
আমরা আলোচনা করব কিভাবে ঘরে বসে আয় করে তার ৪০টি উপায় সম্পর্কে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। শুধু বাইরে গিয়ে চাকরি
করলেই যে আয় করা যায় তা নয়, ঘরে বসেই সৃজনশীলতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো
আয় করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা শেয়ার করব কিভাবে মেয়েরা ঘরে বসে আয়ের বিভিন্ন
উপায়কে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে আশা করা যায়, কিভাবে মেয়েরা ঘরে বসে রোজগার করতে
পারবেন সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। মেয়েরা
শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অবদান
রাখছে। বাংলাদেশের প্রায় অসংখ্য মেয়ে রয়েছেন যারা ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়
খুঁজে দেখেন।
কেননা অনেক মেয়েরা রয়েছেন বাইরে গিয়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহ দেখান না। তারা সব
সময় খোঁজে কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়। তাদের ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন উপায়
গুলো রয়েছে, যেগুলো অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই কাজ করে ইনকাম করা যায়।
কিভাবে ইনকাম করা যায় কেমন লাভজনক হয় যাবতীয় বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা জেনে নিতে পারবো। তাহলে চলুন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ৪০ টি
উপায় জেনে নেওয়া যাক।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় করা মেয়েদের জন্য একটি সেরা মাধ্যম। আপনি মাত্র একটি জিমেইল আইডি দিয়ে নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং সেখানে vedio upload
করতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন।
যেমন মেয়েরা রান্নার ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে পারে। বর্তমান সময়ে
রান্নাবান্নার টপিকটি লোকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও আরো অনেক টপিক রয়েছে যেগুলো দিয়েও আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। যখন আপনি
ইউটিউবে সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে থাকবেন, তখন লোকেরা আপনার ভিডিওগুলো
দেখবে এবং আপনার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে। এভাবে যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০
সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে এবং ভিডিওতে ভালো views আসা শুরু করবে, তখন আপনার
চ্যানেল monetize করিয়ে youtube থেকে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে উপার্জন
আমরা প্রতিদিন facebook এ অন্যের ভিডিও দেখে বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে চ্যাটিং
করে সময় নষ্ট করি। ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করি তাহলে
আমরাও ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারব। বর্তমানে অনেক মেয়েরাই ফেসবুক গ্রুপ
খুলে বড় আকারের কমিউনিটি তৈরি করছে। আপনিও চাইলে সুন্দর একটি নাম দিয়ে তৈরি
করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে গ্রুপটি বড় করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, একটি ফেসবুক
গ্রুপ থেকে টাকা আয় করার জন্য গ্রুপে অনেক মেম্বার থাকতে হয়।
আপনার গ্রুপে যখন দশ হাজার বা এর বেশি সংখ্যক মেম্বার হয়ে যাবে, তখন
আপনি এখান থেকে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক গ্রুপ কে
বড় করার জন্য facebook friend দের কে ইনভাইট করতে পারেন এবং আপনার
বন্ধু-বান্ধবদেরকে বলতে পারেন অন্যদের ইনভাইট করতে। এভাবে যখন হাজার হাজার
লোকেরা আপনার গ্রুপে যুক্ত হবে তখন এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ই-কমার্স পণ্য
বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
লাইভ গেমিং স্ট্রিম থেকে ইনকাম
বর্তমানে মেয়েদের জন্য লাইভ গেমিং স্ট্রিম একটি জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম। আপনি
যদি গেম খেলতে ভালবাসেন এবং বিনোদনমূলক উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে ঘরে বসে
গেমিং স্ট্রিমিং থেকে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। গেমিং করার জন্য আপনাকে
ইউটিউব অথবা ফেসবুক এই দুইটার মধ্যে যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া গেমিং করে আয় করার জন্য আপনাকে জনপ্রিয় ব্যাটেল রয়েল
গেমগুলো খেলতে হবে। যেমন : PUBG, Free Fire, Call of Duty ইত্যাদি। আপনি যদি
গেমগুলোতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং চমৎকার গেমপ্লে দর্শকদের উপহার দিতে পারেন
তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পেজ এবং চ্যানেল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
ব্লগিং করে আয়
মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার জন্য সবচেয়ে দুর্দান্ত একটি উপায় হল
ব্লগিং। ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমদিকে পার্ট টাইম ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় এবং ধীরে
ধীরে আপনি সেটাকে ফুল টাইম হিসেবে নিতে পারবেন। একটি মজার বিষয় হল, ব্লগিংয়ের
মাধ্যমে একবার যদি আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যায় তাহলে ইনকামের পরিমাণ বাড়তে
থাকবে। এরপর আপনি যদি কিছুদিন কাজ করা বন্ধ করে দেন তবুও ইনকাম হতেই থাকবে।
ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ
সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে যেমন - শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল, টেকনোলজি,
খাবার বা রেসিপি, খেলাধুলা, কসমেটিক্স ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে লিখে সেগুলোকে
পাবলিশ করতে পারেন। এভাবে পাবলিশ করার পর মনিটাইজ পাবেন তখন সেখান থেকে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগে লেখালেখি করতে করতে যখন আপনার ব্লগে লোকেরা আসবে
আর্টিকেলগুলো পড়বে, তখন আপনি গুগল এডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর
মাধ্যমে ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগিং করে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল
আপনি ফ্রি টাইমে ঘরে বসে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
অনলাইনে কুকিং ক্লাস নিয়ে টাকা আয়
আপনি যদি রান্নাবান্নায় ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে
বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির ওপর ক্লাস নিয়ে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরীর রেসিপি দিয়ে
টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন
ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং বিক্রি করা মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার একটি সহজ
মাধ্যম। কারণ এতে আপনি বিভিন্ন পার্টটাইম ওয়েবসাইট জব সম্পন্ন করতে পারবেন।
আপনি অল্প বিনিয়োগে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এরপর ওয়েবসাইটে নিয়মিত
নিবন্ধিত লিখে গুগল এডসেন্স অনুমোদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট
বা ব্লগে ৪০ থেকে ৫০ টি ভালো মানের আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। আপনি যখন google
এডসেন্স অনুমোদন পান, তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে সহজে ২০ থেকে ৩০ হাজার
টাকা আয় করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং করে আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও তৈরি হয় এবং সেগুলোকে এডিটং
করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে প্রচুর
ভিডিও এডিটিং করতে হয়। যেমন আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন, প্রোডাকশন,
মুভি ইন্ডাস্ট্রিং, এছাড়াও বিভিন্ন বড় বড় facebook, instagram, ইউটিউব এর
শর্ট ভিডিও তৈরির জন্য এডিটিং এর প্রয়োজন হয়। এসব জায়গায় ভিডিও এডিটিং করে
মেয়েরা প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটিও মহিলাদের জন্য
ঘরে বসে ইনকাম করার অত্যন্ত উপযোগী একটি কাজ, যেটার মাধ্যমে মেয়েরা ঘরে বসে
তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি করে আয় করার উপায়
আপনি যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাহলে এটিকে পেশা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। কোন
একটি প্রতিষ্ঠান বা কারো কাছ থেকে হাতে কলমে কাজ শিখলে আরো ভালো হয়। এরপর আপনি
আপনার কাজগুলো অনলাইন মাধ্যমে তুলে ধরুন। বিশেষত ইনস্টাগ্রাম এবং পিন্টারেস্ট
এ। এরপর আপনি আপনার কাজটি যাদের যাদের লাগবে বলে মনে করেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ
করা শুরু করুন। ফটোগ্রাফি করে প্রতিমাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে। তাই এটাকে
পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে আয়
শুধুমাত্র কম্পিউটার দিয়েই নয় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও অনলাইন থেকে ইনকাম করা
যায়। অনলাইন এ বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ছোটখাটো কাজের
ফলে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য
সবচেয়ে ভালো উপায় হল মোবাইল দিয়ে আয় করা।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
বর্তমানে সকলের কাছেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি অতি পরিচিত। কেননা ঘরে বসে অর্থ
উপার্জন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাধ্যম।
আজকাল শুধু যে ছেলেরাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম করছেন এমনটা
নয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং
ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ইনকাম করছেন।
আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং
মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য
ক্লাইন্ট খুঁজতে হবে। যেকোনো একটি freelancing marketplace এর দ্বারা আপনার
freelancing career শুরু করে দিতে পারেন।
কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে টাকা আয়
মেয়েরা ঘরে বসে কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে প্রতি মাসে টাকা আয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানে
বিভিন্ন ধরনের কাস্টমারকে অনলাইনে সাপোর্ট দিয়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে
টাকা আয় করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করার জন্য আপনাকে লোগো ডিজাইন,
ব্যানার ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, প্রেজেন্টেশন ডিজাইন ইত্যাদি কাজ
ভালোভাবে জানতে হবে। এ ধরনের কাজগুলো যদি আপনি শিখতে পারেন তাহলে
ফ্রিল্যান্সিং সাইডে অ্যাকাউন্ট খুলে ক্লাইন্টদের গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস
দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডেভলপমেন্টের কাজ করে আয় করা খুব সহজ একটি মাধ্যম। এই
কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আজকাল
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এই
কাজ যদি করতে চান তাহলে আপনাকে যে কোন প্রকারের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ জানতে হবে।
যেমন - ই-কমার্স ওয়েবসাইট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ইত্যাদি। আপনাকে
ক্লাইন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে হবে। এই কাজ করার জন্য
প্রোগ্রামিং বা কোডিং দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য Android
এবং iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করার দারুন সুযোগ
সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েরা বাড়িতে বসে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে পারবেন। এরপর
তারা মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।
কপিরাইটিং করে আয়
লেখালেখি করা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেসে লেখালেখি করে ইনকাম
করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইডগুলোতে বায়াররা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য
কন্টেন্ট রাইটার খুঁজে থাকেন। আপনি তাদেরকে কনটেন্ট writing সার্ভিস
দিয়ে আয় করতে পারবেন ঘরে বসে। কপিরাইটিং করে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই
SEO- ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা জানতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি ভাষায়
আর্টিকেল লিখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ঘরে বসে ইনকামের জন্য একটি দারুণ কাজ। সোশ্যাল
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট বলতে বোঝায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের social media account
গুলো পরিচালনা করা। যেমন - নতুন কনটেন্ট পোস্ট করা ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইনের জন্য Canva এর মতো
সফটওয়্যার এর ব্যবহার শিখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে SEO- এর বিষয়ে ভালোভাবে
জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন সোশাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট থেকে ঘরে বসেই।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে আয়
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাংলাদেশ সহ বর্তমানে সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়
একটি পেশা হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরব বসে এই কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। এর জন্য কোন ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ
এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। মূলত বিদেশী ক্লায়েন্টদেরকে বিভিন্নভাবে অনলাইনে
সহায়তা দেওয়াই হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়
মেয়েরা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। যেমন - বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব বা ফেসবুকের ভিডিও SEO করে অথবা
বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল SEO করে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল আর্ট বিক্রি করে টাকা আয়
মেয়েরা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ছবি আর্ট করবেন এবং সেই ছবিগুলো অনলাইনে
বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। এভাবে প্রতিদিন আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ছবি
আর্ট করে অনলাইনে বিক্রি করে থাকেন তাহলে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে
পারবেন।
ড্রপ শিপিং করে আয়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার জন্য ভালো উপায় হল ড্রপ শিপিং। আপনার কোন পণ্য
দোকানে না রেখে অনলাইনে দোকান তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন পণ্য ছবি দিয়ে সেই পণ্য
বিক্রি করে টাকা ইনকাম করাই হলো ড্রপ শিপিং। এক্ষেত্রে আপনার ছবি দেখে মানুষ
পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করবে আপনি সেই পণ্য বাহির থেকে কিনে এনে আপনার গ্রাহককে
দিতে পারবেন। বিনিময়ে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দেবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় আরেকটি উপায় হল এফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির প্রোডাক্ট
প্রমোশন করে আয় করা যায়। এজন্য আপনাকে যেকোনো একটি ইকমার্স সাইটের
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ
করতে হবে। এরপর সেই লিংক আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা সোশ্যাল
মিডিয়া পেইজে শেয়ার করতে হবে। তারপর আপনার শেয়ার করার লিংক এর মাধ্যমে যত
পণ্য বিক্রি হবে সে অনুযায়ী আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে অথবা আপনার
ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
মেয়েরা ঘরে বসে যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে, তাহলে প্রতিমাসে অনেক টাকা আয়
করতে পারেন। এর জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে হবে। বিভিন্ন
ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য লোক প্রয়োজন
হয়। অনলাইনে এসব জায়গায় যোগাযোগ করে মেয়েরা ঘরে বসে টাকা আয় করতে
পারবেন।
ই-কমার্স ব্যবসা করে টাকা আয়
ই-কমার্স ব্যবসা করে মেয়েরা ঘরে বসে প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজের হাতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করতে হবে এবং সেগুলোকে
অনলাইনে বিক্রি করতে হবে।
অনলাইনে দোকান করে আয় করতে পারবেন
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
আপনি নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করে সেখানে
নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের বইসহ ডিজিটাল পণ্য আপনি বিক্রি
করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল গুলো
জানতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ
এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কিভাবে ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম
পেজে র্যাংক করানো যায় সেই সম্পর্কেও জানতে হবে আপনাকে। অনেক মেয়েরা ঘরে বসে
উপায়ে টাকা ইনকাম করছেন। মার্কেটিং এর বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকলে এই পদ্ধতিতে
আয় করা অনেক কঠিন।
ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করে আয়
মেয়েদের ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য আরেকটি উপায় হল ছাত্র-ছাত্রীদের
টিউশনি করানো। আজকাল অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য হোম টিউটর রাখার ক্ষেত্রে
মেয়েদেরকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এভাবেই মেয়েরা বাড়িতে গিয়ে বা নিজের
বাড়িতে বাচ্চাদের পড়াশোনা করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তাই আপনি
যদি দক্ষ ব্রিলিয়ান্ট হয়ে থাকেন এবং কে পড়াতে পছন্দ করেন,
তাহলে আপনিও হোম টিউটরের দায়িত্ব পালন করে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। এজন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না, আবার বাসায় বসে বাচ্চাদের পড়িয়ে অর্থ
উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে একটা স্টুডেন্ট কে পড়ানোর জন্য প্রতি
মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। তাহলে পাঁচটা
স্টুডেন্টকে যদি আপনি পড়ান তাহলে প্রতি মাসে ১০ হাজারের বেশি অনায়াসে ইনকাম
করতে পারবেন।
মহিলাদের জন্য কোচিং
আপনি যদি কেক, পিঠা, বিভিন্ন রেসিপি ইত্যাদির ভালো দক্ষতা অর্জন করে থাকেন,
তাহলে নিজের বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন। মহিলাদের এই ধরনের কাজ শেখার
প্রচুর আগ্রহ থাকে, তাই খুব সহজেই পর্যাপ্ত লোক পেয়ে যাবেন শেখানোর জন্য। এই
কাজ আপনি বাড়িতে বসেই পরিচালনা করতে পারবেন। তাহলে আপনার ঘরে বসে ইনকামও করা
সহজ হয়ে যাবে।
ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে আয়
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে এর ওপর পড়াশোনা করে অনলাইনে আয় করতে
পারেন। আরো ভালো হয় যদি কোন ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা করে থাকেন। এরপর এর উপর
বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউব এ প্রকাশ করতে পারেন। এরপর যখন
আপনি ভালো প্রচার পেয়ে যাবেন তখন কনসালটেন্সি সার্ভিস বা কোন প্রোডাক্ট বা
কোর্স বিক্রয় করে ভালো টাকা অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ভয়েস ওভার আর্টিস্ট থেকে আয়
যদি আপনার কণ্ঠস্বরটি মাইক্রোফোনে খুব সুন্দর শোনায় তাহলে আপনি ভয়েস ওভার
আর্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ভিডিও এড
কন্ঠ দিয়ে রোজগার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার উচ্চারণের স্পষ্টতা থাকা
জরুরী। ফাইভার এ ২৪০০০+ সার্ভিস আছে ভয়েস ওভারের ওপর। ইচ্ছে করলে এটি শুরু
করতে পারেন এবং ঘরে বসে ডলার ইনকাম করতে পারেন। এটি মেয়েদের জন্য ইনকাম করার
সহজ একটি মাধ্যম।
হাতের কাজের পণ্য বিক্রি
যারা ক্র্যাফটিং জানেন তারা নিজের হাতে তৈরি জিনিসপত্র অনলাইনে বিক্রি করে আয়
করতে পারেন। হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য যেমন জুয়েলারি, ডেকোরেশন আইটেম ইত্যাদি
অনলাইনে বেশ চাহিদা সম্পন্ন।
বাগান বা নার্সারি ব্যবসা
বাংলাদেশে অনেক পরিবার রয়েছে যারা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন শাক-সবজি
অথবা ফলের বাগান তৈরি করে আয় করেন। এতে নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা
পাশাপাশি সেগুলো বাজারে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ঘরে
বসে মেয়েদের আয় করার জন্য বাগান তৈরি করা একটি লাভজনক ব্যবসা, যা মেয়েদের শখের
উপর নির্ভর করে। বাসার ছাদে, বারান্দায় কিংবা আশেপাশে কোন খোলা জায়গায় একটি
বাগান গড়ে তুলে সেখান থেকে মেয়েরা বাড়তি আয় করতে পারবেন।
টিফিন পরিষেবা দেওয়া
আপনি যদি একজন রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং মজাদার রান্না করতে পারেন
তাহলে টিফিন পরিষেবা দেওয়া বাড়িতে বসে রোজগার করার উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে
পারে। বর্তমান সময়ে অনেক চাকুরীজীবী মানুষ রয়েছেন যারা বাসায় নিয়মিত রান্না
করার সময় পান না এবং রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে থাকেন। এসব
লোকেরা টিফিন ব্যবসায়ী লোকদের খুঁজে থাকেন যারা তাদের বাড়িতে প্রতিদিনের
খাবার পৌঁছে দিবেন। তাই আপনি নিজের একটি হোম ডেলিভারি ভিত্তিক টিফিন পরিষেবা
business শুরু করতে পারেন। ঘরে বসে মেয়েদের জন্য আয় করার সহজ উপায় হিসেবে
টিফিন পরিষেবা ব্যবসা অধিক লাভজনক হতে পারে।
দর্জি হিসেবে কাজ করা
মেয়েদের ঘরে বসে টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে দর্জি বা সেলাই কাজ।
আজকাল সব জায়গায় সেলাই কাজের প্রচুর চাহিদা দেখা যায়। তাই আপনি যদি দর্জি
কাজ করতে আগ্রহী থাকেন এবং এই কাজ সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান থাকে,তাহলে ঘরে
বসে সেলাইয়ের কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দর্জি কাজ
শিখে গেলে একদিকে আপনি অন্যের জামা কাপড় সেলাই করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে
পারবেন এবং অন্যদিকে নিজের জামা কাপড় সেলাই করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের টাকা
খরচ করতে হবে না।
বিউটি পার্লার দিয়ে আয়ের সুযোগ
বিউটি পার্লার দিয়ে আয়ের সুযোগ মেয়েদের ঘরে বসেই সম্ভব। বর্তমান মেয়েদের রূপচর্চার এই চাহিদাকে ফোকাস করে মেয়েরা বিউটি পার্লার
খুলে ভালো উপার্জন করতে পারছেন। এভাবে আপনিও ঘরে বসেই বিউটি পার্লার ব্যবসার
মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গৃহপালিত পশু পাখি পালন
বর্তমানে গ্রাম কিংবা শহরের অসংখ্য মেয়েরা গৃহপালিত পশু পাখি পালনের মাধ্যমে
বাড়িতে বসে টাকা ইনকাম করছেন। আপনি যদি একজন মেয়ে হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি
আয় করতে চান তাহলে গৃহপালিত পশু পাখি পালন করে তাদের দুধ, ডিম বিক্রি
করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি অবশ্যই শুনেছেন, আজকাল শহরে এবং গ্রামের অনেক
মহিলা বা মেয়েরা বিভিন্ন গৃহবধ পশু যেমন : গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর
ইত্যাদির খামার করে সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কুটির শিল্প থেকে আয়
মেয়েরা ঘরে বসে অফলাইনে কুটির শিল্পের মাধ্যমেও আয় করতে পারবে। কুটির শিল্পে
স্বল্প পরিসরে করা যায় এবং ইনভেস্ট এর পরিমাণও কম লাগে। আপনারা চাইলে কুটির
শিল্পের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।
কবিতা ও গল্প লেখে ঘরে বসে ইনকাম
আপনি চাইলে বিভিন্ন পত্রিকা, ওয়েবসাইট ও ম্যাগাজিনে কবিতা ও গল্প সাহিত্য লিখে
টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই ওয়েবসাইটে গল্প লিখে এবং পত্রিকায়
ম্যাগাজিনে কবিতা লিখে আয় করে থাকে। আপনিও চাইলে বিভিন্ন সাহিত্য প্রতিষ্ঠানে
কবিতা ও গল্প লেখে ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি আপনারা ফেসবুকেও কবিতা ও গল্প
লিখে পোস্ট করতে পারেন। কারণ অনেক ফেসবুক কমিউনিটি রয়েছে যারা সাহিত্য নিয়ে
পোস্ট করে থাকে। তাছাড়া আপনি নিজের একটি কবিতা ও গল্পের বই প্রকাশ করতে পারেন
এবং সেটি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
বই লেখালেখি করে ইনকাম
আপনার যদি কোন কিছু লিখার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সেটা লিখে বই প্রকাশ করে
বিক্রি এবং সেটার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক সাহিত্য লেখকরা কবিতা
ও গল্প লিখে বই প্রকাশ করে থাকে। তাদের বইগুলো বিভিন্ন দোকানে ভালো দামে বিক্রি
হয়। আপনিও চাইলে ঘরে বসে নিজের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে বই লেখার মাধ্যমে আয়
করতে পারবেন।
নিজের তৈরি কিটস
নিজের তৈরি কিটস তৈরি করেও মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন । কেননা নিজের বানানো হাতের জিনিসের আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয় এবং মানুষও সহজে আগ্রহ দেখায়। বিশেষ রেসিপি এর মাধ্যমে খাবার তৈরি করে
বিক্রি করে অনলাইনে। আপনার যদি খাবার তৈরি বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কেক তৈরি
করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে এসব কাজ করে অনলাইন অথবা অফলাইনে টাকা আয় করা
সম্ভব।
উপহার বানিয়ে ইনকাম করা যায়
প্রায় সকল মানুষ উপহার দিতে পছন্দ করে। এটা নিত্যদিনের একটি চাহিদা।
সুন্দরভাবে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী তৈরি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
বিশেষ করে - কাস্টমাইজড করা টিশার্ট, ছবির ফ্রেম, মগ ইত্যাদি। যেকোনো
কিছুতেই নিজের মত সাজিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটা মেয়েদের ইনকাম করার
সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম।
জামাকাপড়ের দোকান বা একটি বুটিক খোলা
আপনি চাইলে জামাকাপড়ের একটি দোকান খুলতে পারেন। আবার একদম ঘরের মধ্যেই ব্যবসা
করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। এখন আমরা
ফেসবুকে গেলেই দেখতে পাই যে এরকম অনেক পেজ থাকে যেখান থেকে নিত্যদিন অনেক জামা
কাপড়ের ছবি ভিডিও এগুলো শেয়ার এবং মানুষজন সেটি এর মাধ্যমে কিনেও থাকে।
আপনি যদি ডিজাইন কাপড় বানান বা কাউকে দিয়ে বানিয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে
আপনি নিজের একটি বুটি খুলে নিতে পারেন। সেখানে আপনি কিছু ইউনিক বা বাজারে এখন
নতুন ফ্রেন্ড কি চলছে সেইসব কাপড় রেখে লোকজনদের কাছে নিজের বুটিক টিকে
আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন এবং এটা আপনার জন্য অথবা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার
উপায় হতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য : মেয়েদের ঘরে বসে আয়
কিভাবে ঘরে বসে মেয়েরা আয় করতে পারবে অথবা কোন কোন উপায়ে মেয়েরা ঘরে বসে
রোজগার করতে পারবে এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেলে
ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার জন্য ৪০ টি উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে,
যেগুলো তারা মেয়েরা খুব সহজেই কাজের পাশাপাশি ইনকাম করতে পারবেন।
তাহলে আশা করি ঘরে বসে মেয়েদের রোজগার করার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি
আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই
নিচে কমেন্ট করবেন। আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়ার অবশ্যই শেয়ার করবেন। এতক্ষণ
মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url