দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - জানুন সঠিক পরিমাণ
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এটা অনেকেই জানেনা। খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল যা শরীরের শক্তি, রক্তবৃদ্ধি ও হজম শক্তি উন্নত করে। আজকের আর্টিকেলে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, কখন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী এবং অতিরিক্ত খেলে কি ক্ষতি হতে পারে - এসব নিয়ে জানুন বিস্তারিত তথ্য। সুস্থ থাকতে খেজুর খাওয়ার সঠিক পরিমাণ ও নিয়োম যেন নিন আজই।
প্রতিদিন সঠিক নিয়মে খেজুর খেলে আমরা খুব সহজেই এর উপকারিতা পেতে পারি। এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করছি খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়, খেজুরে পুষ্টিগুণ এবং সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম। এছাড়া আরও আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের সম্বন্ধে, সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
পেজ সূচিপত্র : দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
- দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
- খেজুরের পুষ্টিগুণ
- খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
- খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
- খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়
- শুকনো খেজুর খেলে কি হয়
- রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি হয়
- লেখক এর শেষ মন্তব্য : দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত অনেকেই জানেন না। আপনারা অনেকে এ সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন। ক্ষেত্র স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারে কম বেশি ধারণা থাকে। আপনারা
জানেন যে রমজান মাসে খেজুরের কদর অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে যায়।
রমজানের সময় কম বেশি সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন, খেজুরের অত্যাধিক পুষ্টিগুণ আছে।
মিষ্টি ফল হলেও ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরি হওয়াই খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য
করে।
আমরা জানি যে, নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতিদিন কতগুলো খেজুর খাওয়া উচিত তা একেকজনের ব্যক্তিগত চাহিদার উপর নির্ভর করে
পরিবর্তিত হতে পারে। তবে একেবারে অনেক কিছু না খাওয়াই ভালো। কারণ খেজুরে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার আছে, যা বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে
ডায়েটে কতগুলি খেজুর অন্তর্ভুক্ত করবেন তা নিয়ে খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ
করতে পারেন। অত্যন্ত মিষ্টি এই ফল এতে ক্যালোরি পরিমাণ অনেকটাই কম, ফলে আমাদের
শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ও অপসারণ
করতে সাহায্য করে। খেজুর খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে
সহায়তা করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা দিনের দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে
পারবেন। তবে পরিশ্রমের দিক বিবেচনা করে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা পাঁচ
থেকে সাতটি খেজুর খেতে পারেন। আমরা অনেকে এই ফল মিষ্টির জন্য অনেকগুলো একসাথে
খেয়ে থাকি। এটা অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়, এতে শরীরের বিভিন্ন ক্ষয় হতে
পারে।
আপনারা নিয়মিত প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ টা করে খেতে পারেন। এটা শরীর সুস্থ থাকবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া যায় সে সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে, আপনারা এই নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন
এবং অন্যদের অধীনে কয়টা কিছু করে খেজুর খেতে পারবে তার ধারণা দিতে পারেন। আশা
করি আপনাদের জন্য এই আলোচনাটি উপকারে আসবে।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
হায়রে অত্যাচার করা শুকনো খেজুর খাওয়ার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। দিনে কয়টা
খেজুর খাওয়া উচিত। খেজুর ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন ইত্যাদি পুষ্টি তৈরি করে ও
শরীরের প্রোটিন ও এনার্জির জন্য উপকারী। এতে ভিটামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্স পরিমাণ
গুলি প্রচুর পরিমাণে থাকে। শুকনো খেজুর প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এটি
শক্তির দ্রব্য মানের একটি প্রধান উৎস, যা শারীরিক অবস্থাকে ভারতে সাহায্য করে।
শুকনো খেজুরে বেশি ফাইবার আছে, যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের স্বাভাবিক কাজে সাহায্য
করে। খেজুর শরীরের প্রতিস্থাপনকারী সার সরবরাহ করে, যেগুলি কার্বোহাইড্রেট,
প্রোটিন, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি যা শারীরিক
স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শুকনো খেজুর কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং তা খাবারের অংশ মধ্যে
প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিসের
রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। শুকনো খেজুরে নিরামিষ, বেশি ফাইবার এবং প্রোটিনের
মাত্রা অনেক বেশি থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। শুকনো খেজুর তা
বাড়াতে সাহায্য করে যেহেতু, এটিতে কোয়া নাইন উপক্রিয়া থাকে, যা হৃদ রোগের
ঝুঁকি কামাতে সাহায্য করে। শুকনো খেজুর হজম যোগ্য ও হালকা, যা পেটের খারাপই
সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে। গরমের সময়, শুকনো খেজুর শরীর ঠান্ডা করে এবং
তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ করে।
শুকনো খেজুর খুবই সহজে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং পরিবারের সদস্যদের
সহজেই এটি গ্রহণ করতে পারে। এগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শুকনো খেজুর একটি
প্রাকৃতিক খাবার যা শরীরের প্রতিদিনের পুষ্টিতত্ত্ব পূরণ করে এবং স্বাস্থ্যকর
জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যদি কেউ কোন ধরনের পুষ্টিকর বা নিরাপদ পরামর্শ
নিতে চান তাহলে প্রথমে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরে অনেক উপকার আছে। খেজুর একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও ভূমিষ্ঠ একটি ফল। খেজুর
অত্যন্ত একটি পুষ্টিকর খাবার এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে যা আমাদের
দেহে অনেক উপকার করে। চলুন আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই -
- খেজুর খেলে খেজুরের থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
- খেজুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় রক্তের হিমোগ্লোবিনে মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাই রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে খেজুর খাওয়া আবশ্যক।
- খেজুরের প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকায় হার ও পেশী স্বাস্থ্য কে উন্নত করতে সাহায্য করে
- খেজুরে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি থাকায় খেজুর দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়া থেকে উপশম পাওয়া যায়।
- খেজুরের প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজম সমস্যা দূর করে।
- খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- খেজুরে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে তার উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ডায়েটে খেজুর খাওয়া ও রাখা উচিত।
- খেজুর হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীর বৃদ্ধি করার জন্য এই খেজুর অন্যতম
বিশেষ করে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। আমরা যদি রেগুলার খেজুর খাই তাহলে দেন
এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খুবই উপকার হবে।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
সর্বগুণে গুণান্বিত খেজুরের উপকারিতা নাই বললেই চলে। তারপরও যেকোনো জিনিস
অতিরিক্ত খেলেই কিছু সমস্যা হয়। এখন আমরা খেজুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানার
চেষ্টা করব।
- খেজুরে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- মাত্রাতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত খেজুর খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
- খেজুর কে প্রাকৃতিক চিনির উৎস বলা হয়।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা সব ধরনের খাবার খেয়ে
থাকি। কিন্তু খাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে কারো ধারণা নেই বললেই চলে। আমরা
যেকোনো সময় খেজুর খেয়ে থাকি, তবে খেজুর খাওয়ার কিছু নিয়ম ও উপযুক্ত সময় আছে
যা সকলের অজানা। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
সম্পর্কে জানব। এই খেজুরে ক্যালরি তে ভরপুর একাধিক পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত থাকে।
খেজুরের ফাইবারের সমৃদ্ধ, যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে উপযোগী।
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা রোগের সম্ভাবনা কে কম করে এবং মস্তিষ্কের
কার্যকরী তা বৃদ্ধি করে।
বেশি মিষ্টি ও ফাইবারের সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অনেকেই খেজুর খাওয়ার সময় সঠিক সময়
বাছাই করে উঠতে পারেন না। পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে অনেকে খান। আবার সকালে
খালি পেটে খেতে পারবেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেজুর খেতে পারেন। তবে লক্ষ্য
রাখতে হবে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার জানো না পরে। উপযুক্ত সময় প্রাকৃতিকভাবে খেজুর
চিনির পরিমাণ বেশি থাকলে এটি তৎক্ষণাৎ রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। কাজ
করতে যাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে দুটি চারটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
খেজুরের উপস্থিত ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয়, ফলে অফিস বা কাজের সময় শরীর থাকে
এনার্জিটিক ও শক্তিশালী। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা রাতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে
সকালে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন। আশা করি এটি আপনাদেরকে সহজ
ভাবে জানতে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে আপনারা খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা খেজুর সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা
করেছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনাদের কাজে লাগবে।
খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়
খেজুর আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী, তবে অনেকেই জানেন না খালি পেটে খেজুর খেলে
কি হয় তা সম্পর্কে। চলুন আজকে আমরা জানবো খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়। প্রিয়
বন্ধুরা, এই মিষ্টি জাতীয় ফলটি দিনে রাতে অনেকবার খেয়ে থাকে। তবে বেশি পরিমাণে
খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সকালে খালি পেটে খেজুর
খাওয়ার সঠিক নিয়ম তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক
এ বিষয় সম্পর্কে কিছু ধারনা। একটি বাটিতে রাতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। খেজুর অন্তত
১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই খেজুর খেতে হবে। এতে করে আপনার শরীর সারাদিন
প্রাণবন্ত থাকবে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরে থাকবে। সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে খেজুর
খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি মিলে। সকালে
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খেজুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। খেজুরে প্রচুর
পরিমাণে আয়রন থাকায় গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য
করে। সকালে নিয়মিতভাবে খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের সমস্যা দূর করে সাহায্য
করে। সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে খুসখুসে কাশি দূর করতে সাহায্য করে
এবং ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি খালি
পেটে খেজুর খেলে কি থাকলে কি হয় সে সময় জানতে এবং শিখতে পেরেছেন।
এটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনারা সবাই খালি পেটে খেজুর
খাবেন এবং আপনাদেরও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানাবেন। তাহলে সবাই রোগবাল থেকে দূরে
থাকবেন। আশা করি আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
7শুকনো খেজুর খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের দেশে অনেক জাতের খেজুর পাওয়া যায়। এর মধ্যে শুকনো
খেজুর এক জাতের নাম। আমরা এখন আলোচনা করব শুকনো খেজুর খেলে কি হয় তার সম্পর্কে।
চলুন তাহলে জেনে নেই শুকনা খেজুর খেলে কি হতে পারে।
আরো পড়ুন : কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
এই খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
বৃদ্ধি করে। আপনার রক্তে যদি রক্ত শূন্যতা এবং হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দেখাতে থাকে
তাহলে আপনি অবশ্যই খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ খেজুরের রক্তে আয়রনের
পরিমাণ সঠিক রাখে এবং নতুন কোষ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি খেজুর আরো
বিদ্যামান রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য
করে থাকে।
এছাড়া পুষ্টির ঘাটতি হলে আপনি খেজুর খেতে পারেন। এটি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার
পাশাপাশি হাড় গঠনের সহায়তা করে আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা
হাড়কে মজবুত করে এবং সেই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। খেজুর খেলে শীতে
হজম শক্তি কমতে শুরু করে। তাই এ সময় খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে আপনার হজম শক্তি
বাড়বে। কারণ, অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেগ সহায়ক।
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ
করে। শুকনা খেজুর নানা ভিটামিনের পরিপূর্ণ থাকায় এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার
গতি বৃদ্ধি রাখে।
সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। শুকনো খেজুর খেলে যকৃতের সংক্রমণ
কিংবা অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। এছাড়া শীতকালীন সমস্যা যেমন -
গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডার সমস্যা দূর করতে খেজুর দারুন
কাজ করে। তাই বলা যায় যে শুকনো খেজুর আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। এটি
আসলে শরীর সুস্থ রাখে, আপনারা নিয়মিত শুকনো খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তুলবেন।
রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি হয়
খেজুরে অনেক পুষ্টি রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে অনেক উপকার হয়। আমরা
হয়তো সবাই জানি না যে, রাতে খেজুর খেলে কি হয়। রাতে খেজুর খাওয়ার গুন সম্পর্কে
আমরা জানতে আগ্রহী সবাই। তাহলে জেনে নেই রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি কি উপকার
হয়।
- দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়।
- হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির হ্রাস পায়।
- শরীরের শক্তি যোগায়
- ত্বক ভালো ও সুন্দর রাখে
- হার সুস্থ ও মজবুত রাখে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিরোধ করে
- গ্লুকোজ এর অভাব দূর করে
- ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- খেজুর খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়
- খেজুর খেলে পেটের গ্যাস ও কাশি দূর করে
- কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়
- স্নায়ুতন্ত্র এর কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়
- উচ্চ রক্তচাপ আমাদের সাহায্য করে
- হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
- ক্যালসিয়াম অভাব দূর করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয়
- খেজুর পানি শূন্যতা দূর করে
লেখক এর শেষ মন্তব্য : দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
আজ আমরা এই আর্টিকেল থেকে খেজুরের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে অনেক কিছু
জেনেছি। দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এটা সম্বন্ধে আমরা জেনেছি। প্রতিদিন সঠিক
নিয়মে খেজুর খেলে আমরা খুব সহজেই এর উপকারিতা পেতে পারি।
আজকের এই আর্টিকেলটি পর্যন্ত আপনি উপকৃত হন, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করে দিবেন যাতে তারাও পড়ে উপকৃত হয়। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো
লাগে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আজকে এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন, সুস্থ
থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ🥰

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url