ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম থেকে শুরু করে গিগ তৈরি, কাজ পাওয়া এবং ইনকাম করা
সম্পূর্ণ গাইড জানুন আজকের এই আর্টিকেলে। নতুনদের জন্য সহজ ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করার ধাপে ধাপে নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অনলাইন প্লাটফর্মে ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ফাইভার প্লাটফর্ম। এখন
বিষয় হচ্ছে যে অনেকেই ফাইভার অ্যাকাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা।
মার্কেটপ্লেসে ক্যারিয়ার করতে হলে অবশ্যই ফাইভারের মতো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট
তৈরি করতে হবে এবং এর জন্য ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে হবে।
পেজ সূচিপত্র : ফাইভার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম যারা জানতে চেয়েছে সাধারণত তাদের জন্য অনেক
সাহায্যকারী আজকের এই আর্টিকেল। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানি সাধারণত
তাদের মধ্যে এই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে। অন্যান্য মার্কেট
প্লেসের তুলনায় এই মার্কেটপ্লেসে তাড়াতাড়ি এবং ভালো কাজ পাওয়া যায় এরকম একটা
কথা প্রচলিত রয়েছে। তাই নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সবার আগে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে
অ্যাকাউন্ট করতে চাই। তো চলুন ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জেনে নেই -
-
প্রথমে গুগলে চলে যেতে হবে এরপর সেখানে গিয়ে Fiverr.com লিখে সার্চ করতে
হবে। প্রথমেই যেই ওয়েবসাইটটি আসবে তার ভেতরে প্রবেশ করে জয়েন বাটনের উপরে
ক্লিক করতে হবে।
- জয়েন বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড চলে আসবে। যদি ইমেইলের মাধ্যমে account খুলতে চান তাহলে আপনার ইমেইল সিলেক্ট করে continue
with email বাটনে ক্লিক করুন।
-
ফাইভারে আপনি দুই ধরনের একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। একটি অ্যাকাউন্ট হলো সেলার
হিসেবে অর্থাৎ অন্যের কাজ নিজে করে দেবেন এবং অন্যটি হলো বায়ার হিসেবে।
অর্থাৎ অন্যদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য। আপনি যেই অ্যাকাউন্ট তৈরি
করুন না কেন নিজের এই তথ্যগুলোর সাথে রাখতে হবে।
- প্রফেশনাল ইমেইল
- প্রফেশনাল ফটো
- ব্যাংক একাউন্ট
- ড্রিবলি অ্যাকাউন্ট
- লিংক দিন অ্যাকাউন্ট
- মোবাইল নম্বর
-
continue with email এই অপশনটিতে প্রবেশ করার পরে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড
দেওয়ার একটি অপশন চলে আসবে। এক্ষেত্রে যেটা আপনার প্রফেশনাল ইমেইল সেটি দিতে
হবে এর সাথে একটা ভালো আট ক্যারেক্টার এর পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
-
পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আপনার সামনে আরো একটি ইন্টারফেস আসবে। এখন আপনার কাজ
হল একটা ভালো মানের ইউজারনেম ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে আপনার নিক নেম অথবা
আপনার নামে ছোট অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে ক্রিয়েট মাই অ্যাকাউন্ট এর
উপরে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
ফাইভার কি
ফাইভার কি সে সম্পর্কে জানব আমরা এখন। অনলাইন প্লাটফর্মের ফাইভার একাউন্ট থেকে
আপনি যদি ভালো পরিমান অর্থ ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে আপনাকে
জানতে হবে ফাইভার সম্পর্কে। ফাইভার হচ্ছে অর্থ ইনকামের জনপ্রিয় একটি অনলাইন
প্লাটফর্ম। বলতে পারেন তাইলে ফ্রিল্যান্সিং জগতের অন্যতম সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম
হচ্ছে fiverr. ফাইভারে আপনি অনেক ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কাজগুলোর মধ্যে হচ্ছে -
- ট্রান্সলেশন
- আর্টিকেল রাইটিং
- টি শার্ট ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- এসইও
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
-
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি
উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করে ফাইভার থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। সে
ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার দক্ষতায় এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে। আপনি কাজের উপরে
যত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ফাইভারে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়
ফাইভারে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়? একাউন্ট তৈরি করার সময় অবশ্যই
আমাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য
সাধারণত আমরা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে থাকি। কিন্তু যে কোন মার্কেটপ্লেসে
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হয়। এই তথ্যগুলো
দেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।
-
ফাইভারে একাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই স্মার্ট ফোন অথবা ল্যাপটপ, কম্পিউটার সাথে
রাখতে হবে। এই ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় নিজের সঠিক ও ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। সাধারণত এর জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র বা প্রয়োজনীয় সনদপত্র (যেমন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট) সঙ্গে রাখা দরকার।
- পাশাপাশি যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট করছেন তার একটি পাসপোর্ট সাইজের প্রফেশনাল ছবি থাকতে হবে, যেখানে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসিমুখে পরিষ্কারভাবে মুখ দেখা যায়।
-
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের মোবাইল নম্বর।
তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট দিলে ফাইভার অ্যাকাউন্ট
শক্তিশালী হবে।
ফাইভার মার্কেট প্লেসে যেসব কাজ রয়েছে
ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কি কি কাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ
প্রকাশ করেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কি কি
কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। ইতিমধ্যে আপনারা
উপরে তো আনতে পেরেছেন ফাইবার কি এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে
ফাইভার মার্কেট যেমন ধরনের কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেই -
- ওয়েব ডিজাইন
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
- আর্টিকেল রাইটিং
- অনুবাদ এবং সম্পাদনা
- ভিডিও এডিটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- টি শার্ট ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ছবি এডিটিং
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি
ফাইভারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ফাইভারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা রাখে সাধারণত
তারা ফাইভারে গিগের গুরুত্ব সম্পর্কে জানে। সাধারণত আমরা যখন পড়াশোনা শেষ করি
তখন আমাদের জীবন বৃত্তান্ত অর্থাৎ একটি সুন্দর সিভি তৈরি করি। যেটি আমাদের চাকরি
পেতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রেখে থাকে। ঠিক একইরকম ভাবে ফাইভারে যদি আমরা কাজ পেতে
চাই তাহলে আমাদেরকে গিগ তৈরি করতে হয় যার মধ্যে আমাদের সকল ধরনের তথ্য দেয়া
থাকে।
বিশেষ করে আমরা যদি কোন সেলার হয় তাহলে কোন ধরনের সার্ভিস সেল করতে চাই এবং
কতদিনের মধ্যে প্রোডাক্ট জমা দিতে চাই? এর পাশাপাশি প্রজেক্ট এর খরচ কত হবে এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা আছে লেখা থাকে। তাই ফাইভারে কাজ
পাওয়ার জন্য আমরা যখন গিগ তৈরি করব তখন অবশ্যই সেটা আকর্ষণীয় হতে হবে। গিগ তৈরি
যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে কখনোই কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। গিগ তৈরি করার সময় বেশ
কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গিগের মধ্যে ছবি এবং ভিডিও
যুক্ত করা।
গিগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ জানুন
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে গিগ তৈরিতে
যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। ইতিমধ্যে আপনারা উপরে
জানতে পেরেছেন ফাইভার গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। যা কাজ পেতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে সকল বিষয়গুলো গিগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ
দিতে হয় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো -
- গিগ রিকোয়ারমেন্টস
- গিগ ইমেজ
- গিগ ভিডিও
- গিগ ডেসক্রিপশন
- গিগ প্যাকেজ
- গিগ ক্যাটাগরি
- গিগ টাইটেল ইত্যাদি
ফাইভারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় জানুন
ফাইভারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় এখন আমরা সেই সম্পর্কে জানব। ফাইভার থেকে কাজ
পাওয়ার অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে গিগ প্রকাশ করে কাজ নেওয়া। আপনাকে অবশ্যই খেয়াল
রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার গিগ হচ্ছে একটি প্রপোজাল কিংবা প্রস্তাব সেখানে
অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা গুলোকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে রাখতে হয়। এরপর এসইও
করে নিজের প্রোফাইলে পাবলিশ করতে পারেন।
পাবলিশ করার পর অবশ্যই আপনাকে সব সময় চেক করতে হবে ডাউন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে।
কেননা বায়ার কিংবা ক্লায়েন্টরা যেন সার্চ করলে যে কোন সময় এটা তাদের সামনে চলে
আসতে পারে। আপনার গিগের ভিতরে অবশ্যই বায়ার কিংবা ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে তিনি
কাজগুলো আপনাকে দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনার প্রোফাইল দেখে যদি ক্লাইন্টের পছন্দ হয়
সে ক্ষেত্রে আপনাকে মেসেজ দিবে সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে হবে।
মূলত আপনি ফাইভার থেকে এভাবেই কাজ পেয়ে যাবেন। সেজন্য অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে
বারবার ক্লায়েন্টের মেসেজ সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে হবে। না হলে আপনার এই কাজটি
হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশা করি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ফাইভারে প্রথম অর্ডার পাওয়ার উপায়
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও ফাইভারে প্রথম অর্ডার পাওয়ার উপায়। আপনি যদি মনে
করেন যে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুললেই আপনি অর্ডার পেয়ে যাবেন তাহলে এটা সম্পূর্ণ
ভুল। কারণ ফাইভার মার্কেটপ্লেসে আপনাকে প্রথম অর্ডার পেতে অনেক কষ্ট করতে হবে,
কারণ আপনি এর আগে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কোন ক্লায়েন্টের কাজ করেননি। অতএব আপনাকে
অন্য কোন ক্লাইন্ট কাজ দিতে ইচ্ছুক হবে না, কারণ আপনি নতুন ও আপনার দক্ষতা নেই।
প্রথমত আপনাকে ক্লাইন্ট নিজে খুঁজে বের করতে হবে।
ক্লাইন্টকে অল্প কিছু পেমেন্ট অফার করে আপনাকে নিজে তার থেকে কাজ নিতে হবে। আপনি
ক্লাইন্টকে ম্যানুয়ালি রিকুয়েস্ট করে হলেও প্রথম কাজটি বা প্রথম অর্ডারটি নিতে
হবে। তারপর প্রথম অর্ডারের কাজটি সম্পন্ন করার পরে আপনার যে ক্লাইন্ট কিংবা
বায়ার আছে তাকে ম্যানুয়ালি রিকোয়েস্ট করে বলবেন যে ভাইয়া কিংবা স্যার আমি তো
আপনার কাজটি সম্পন্ন করে দিলাম আপনি একটু কষ্ট করে আমার প্রোফাইলটি ভিউ করে আসেন,
আমার প্রোফাইলে একটি রিভিউ দিয়ে আসেন।
যেন আমি পরবর্তী কাজের জন্য একটু হলেও হেল্প পায় আপনার থেকে। তখন সে বায়ার
কিংবা ক্লাইন্ট অবশ্যই আপনার প্রোফাইলটা রিভিউ করে আসবে যদি আপনি তার কাজটা
ঠিকঠাক মতন তার মনের মতন করে দিতে পারেন। তো বুঝতেই পারলেন ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ
প্রথম অর্ডার কিভাবে নিবেন। আশা করি এটুকু পড়ে আপনি বেসিক্যালি অনেক কিছুই
জেনেছেন ও আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন যে ফাইভারে প্রথম অর্ডার কিভাবে নিতে
হয়।
ফাইভারে কি মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়
ফাইভারে কি মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটের
খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনটি দিয়েও ফাইভারে
কাজ করতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে ফাইভারে কি কি কাজগুলো করতে
পারবেন সেগুলো নিচে জেনে নিতে পারেন। তবে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে
ফাইভারে কাজ করা ততটা সহজ নয়। চলুন যে কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো নিচে জেনে
নেওয়া যাক।
- ভিডিও এডিটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- ফটো এডিটিং
- ট্রান্সলেশন ইত্যাদি
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস কি ফাইবার
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
রয়েছে। তবে আমরা যারা নতুন শুরু করতে চাই সাধারণত তারা অনেকেই জানে না যে
বাংলাদেশের মধ্যে সেরা মার্কেট প্লেস কোনটি? অনেকেই মনে করে থাকে যে ফাইভার
বাংলাদেশের সেরা মার্কেটপ্লেস।আবার অনেকের কাছে এটা নাও হতে পারে। আপনার যদি
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে জানেন যে বর্তমান
বিশ্বের সেরা দুইটি মার্কেট প্লেস রয়েছে। একটি হলো upwork এবং দ্বিতীয় টি হলো
fiverr.
অসংখ্য মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে নিজেদেরকে সেরা তালিকায় নিয়ে গেছে এই
দুইটি মার্কেট প্লেস। এই দুইটি মার্কেট প্লেসে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার কাজ করে
থাকে। প্রতিমাসে এই দুইটি মার্কেট প্লেসে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। বর্তমান
সময়ে ফাইভারের জনপ্রিয়তা উচ্চ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সাধারণত ফাইভার
মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন
ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। একমাত্র এই কারণেই অনেকে ফাইভারকে বাংলাদেশের সেরা
মার্কেটপ্লেস মনে করে থাকে।
ফাইভার থেকে ইনকাম করার উপায়
ফাইভার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ
মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনারা যারা ফাইভার থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
সে সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলটিতে ফাইভার থেকে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে জেনে
নিতে পারবেন।
ফাইভার হচ্ছে মূল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
আপনি মূলত যে সার্ভিস গুলো দিয়ে থাকেন সেগুলো যদি সাজিয়ে রেখে গিগ আকারে রাখতে
পারেন সে ক্ষেত্রে পছন্দ অনুযায়ী আপনাকে বেছে নিতে পারে। যে কাজগুলোর মাধ্যমে
আপনি আপনার বায়ারের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে নিচে
উল্লেখ করা হলো।
-
আপনি যে কাজগুলো খুব ভালো পারেন যে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে
সে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি বলি তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি
- এরপরের ধাপে আপনাকে অবশ্যই একটি fiverr seller account তৈরি করতে হবে, যাতে আপনি নিজের সেবা বা কাজগুলো বিক্রি করতে পারেন।
-
অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার নিজের প্রোফাইল সেটিং এ গিয়ে আপনার
প্রোফাইল পিকচার এবং আপনার যে কাজের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে সে
বিষয়গুলো সেটআপ করে নিতে পারেন।
-
এরপর আপনাকে নিজের একটি ফাইভার গিগ তৈরি করতে হবে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে
এই গিগটা হচ্ছে যেটা করার মাধ্যমে আপনি ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করতে
চাচ্ছেন।
-
আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন এবং কাজ করার বিনিময়ে বায়ারের কাছ থেকে টাকা
নিতে চাচ্ছেন এবং কত সময়ের ভেতরে ডেলিভারি দিতে পারবেন সবগুলো আপনাকে ফাইভার
গিগ তৈরির সময় অবশ্যই দিতে হবে।
-
এরপর ক্লায়েন্ট আপনার ফাইভারে পাবলিশ করার গিগ অনুযায়ী আপনাকে কাজ দেবে তখন
কাজের বিনিময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
-
তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো, প্রত্যেকটি কাজের সঙ্গে সঙ্গে
ফাইভার দ্বারা যে কাজের দাম হয় সেটা বায়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেই।
-
আর এজন্য সময় মত করতে পারেন তাহলে টাকা পাওয়া নিশ্চয়তা থাকে।
-
মূলত এভাবেই আপনি ফাইভার থেকে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য : ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রিয় ফ্রিল্যান্সার পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফাইভার কি,
ফাইভারে যে কাজগুলো চাহিদা বেশি, ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এবং ফাইবার
একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন আশা করি কিভাবে একাউন্ট খুলবেন তার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের মাঝে এবং
পরিবার-পরিজনের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🥰
নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url