*/

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ও উপকারী টিপস

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহারগুলো জানলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। কেননা কারি পাতা চুল পড়া কমায়, খুশকি দূর করে এবং চুলকে করে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। জেনে নিন কারি পাতার তেল ও ঘরোয়া প্যাক তৈরির সহজ উপায়। 

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার


কারি পাতায় প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি চুল পড়া বন্ধ করে। চুলে কারি পাতা ব্যবহার করলে চুল ঝলজলে এবং সুন্দর দেখায়। চলুন আজকে কারি পাতা ব্যবহারের ফলে কিভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় আলোচনা করা যাবে। 

পেজ সূচিপত্র : চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার 

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার 

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর, সুন্দর, ঝলমলে, কালো ও ঘন চুল আমাদের সকলেরই অনেক পছন্দের। আধুনিক জীবনে বিভিন্ন রকমের চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, পরিবেশগত দূষণ এবং বিভিন্ন রকম স্ট্রেসের কারণে চুলের সমস্যার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে আমাদের চুলের যত্ন নেওয়ার কার্যকরী উপাদান হলো কারি পাতা। আদিম যুগ থেকেই বিভিন্ন ধরনের সার্থক সমস্যা সমাধানের কারি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। 

কারি পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগ ও শারীরিক সমস্যা নিরাময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং চুলের যত্নে কারি পাতার উপকারিতা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারি পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড যা আমাদের অস্বাস্থ্যকর ও রুক্ষ চুল রোধ করে স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে চুল বজায় রাখতে সহায়তা করে। আমাদের চুলের সমস্ত অস্বাস্থ্যকর ভাব কাটিয়ে তুলে আমাদের চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং ঝলমলে করে তুলতে অনেক সহায়তা করে। 

চুল পড়া কমাতে কারি পাতার কার্যকারিতা 

চুল পড়া একটি অতি সাধারণ সমস্যা যা আমরা সবাই ভোগ করে থাকি। চুল পড়া কমাতে বা রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো কারী বাতা। কারি পাতায় রয়েছে পুষ্টিগুণ যা চুলের গোড়ায় পৌঁছে চুলের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চুলের শিকড়কে মজবুত করে এবং নতুন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কারি পাতায় রয়েছে ভিটামিন বি যা আমাদের চুলের শিকড়ের কোষকে শক্ত করে এবং আমাদের চুলকে প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 
এছাড়াও কারি পাতা আমাদের মাথার ত্বক অনেক পরিষ্কার রাখে যা আমাদের চুলের সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য। কারি পাতায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের মাথার অতিরিক্ত তেল ও ময়লা উপাদান পরিষ্কার করে ফেলে যা আমাদের চুলকে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠে সাহায্য করে। আমরা যদি নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করি তবে আমাদের চুল পড়া রোধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। 

চুল পড়া কমানোর জন্য নারকেল তেলের সাথে কারিপাতা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। নারকেল তেল ও কারি পাতা একসঙ্গে মিশে গেলে আপনাকে প্রতিদিন খুব ভালো করে মাথার ত্বকে তেলটি মেসেজ করতে হবে। এর ফলে আপনার চুলের গোড়া অনেকটা শক্ত হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। 

রুক্ষতা ও খুশকি দূর করতে কারি পাতার ব্যবহার 

চুলের রুক্ষতা ও খুশকি দূর করতে কারি পাতায় একটি অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান। কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের চুলের রক্ষতা ও পু খুশকি দূর করতে অনেক সহায়তা করে এবং আমাদের চুলকে সজীব ও মসৃণ করে তোলে। কারি পাতায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের মাথার ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা দূর করে এবং আমাদের মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে এর ফলে আমাদের মাথার খুশকি দূর হয়ে যায়। 

এছাড়াও কারি পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ,বি এবং সি যা আমাদের মাথার ত্বকেকে মসৃণ ও সজীব রাখে যা আমাদের চুলের রূখতা ও খুশকি কমিয়ে চুলকে সিল্কি, নরম ও কোমল করে তোলে। কারি পাতা আমাদের চুলে শুষ্কতা দূর করার জন্য একটি প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন হিসাবে কাজ করে যা আমাদের চুলকে ভিতর থেকে সুস্থ ও কোমল করে মশ্চারাইজ করে এবং আমাদের চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করলে আমাদের চুল হবে স্বাস্থ্যকর মসৃণ ও উজ্জ্বল। 

রুক্ষতা ও পুস্কি দূর করতে হেয়ার প্যাক : পরিমাণ মতো কারি পাতা এবং পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে পাটাতে পিছে নিতে হবে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা কারি পাতার সাথে তিন থেকে চার টেবিল চামচ মেথির গুড়া মিশিয়ে নিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর গোসলের পূর্বে মাথায় লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে প্যাকটি শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর প্যাকটি সুখে আসলে মাথায় শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। প্যাক টি আপনাকে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ব্যবহার করতে হবে। 

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ও কারি পাতার প্যাক 

চুলের যত্নে এলোভেরা ও কারি পাতার প্যাক। নিম্নে আলোচনা করা হলো -
  • উপকরণ : ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল একমুঠো পাতা। একটি চুলে দেওয়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল। 
  • প্রস্তুত প্রণালী : পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে এটিকে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্টটির সাথে 2 টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশালেই আপনার মিশ্রণটি রেডি। 
  • ব্যবহারের নিয়ম : মাথার স্কাল্পে এবং চুলের গোড়া থেকে আধা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাজ করে পেস্টটি এপ্লাই করতে হবে। ৩০ মিনিট রাখতে হবে এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে এটিকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। শ্যাম্পু করা যাবে না। এটি আপনার ফাটা চুলকে ঠিক করবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। সপ্তাহ অন্তত দুই থেকে তিনবার এই তেল ব্যবহারের মাধ্যমে আশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যেতে পারে। 

কারি পাতা কোথায় পাওয়া যায় 

আপনার আশেপাশের কাঁচা বাজারে ফ্রেশ, টাটকা, সবুজ কারি পাতা অনায়াসে পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন মুদিখানায় শুকনো গুড়া কারি পাতা পাওয়া যায়। অনেক সময় বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতেও কারি পাতা পাওয়া যায়। 

কারি পাতার ঘরোয়া প্যাক পদ্ধতি 

আমরা অনেকেই বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে অর্থাৎ ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে আমাদের চুলের পরিচর্যা করে থাকে। তবে কম খরচে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে আমাদের চুলের সমস্যার তেমন একটা সমাধান সম্ভব হয় না। কিন্তু কারি পাতা এমন একটি উপাদান যার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আমাদের চুলের সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। তাই আমরা খুব সহজেই কারি পাতা ও ঘরোয়ায় কিছু উপকরণ দিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিয়ে ব্যবহার করে আমাদের রকমের সমস্যার সমাধান  পেতে পারি। 

কারি পাতার ঘরোয়া প্যাক প্রস্তুত করার জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো কিছু কারি পাতা পানিতে ধুয়ে পাটায় পিষে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার বাটিতে ব্লেন্ড করা কারিপাতা, ২ টেবিল চামচ মধু এবং দুই টেবিল চামচ এলোভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর প্যাকটি গোসলের পূর্বে মাথায় ত্বকে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর প্যাক টি শুকিয়ে আসলে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার বিভিন্নভাবে হেয়ার প্যাক অথবা তেল তৈরি করা যায়। 

কারি পাতা ব্যবহারে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে 

কারি পাতা চুল ও ত্বকের জন্য যেমন উপকারী তেমনি এর ব্যবহারে কিছু সতর্কতা মানা জরুরী। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো। 
  • অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন : অতিরিক্ত কারি পাতা তেল বা প্যাক ব্যবহার করলে চুলে অতিরিক্ত তেলাভাব বা খুশকি জমতে পারে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার হয় যথেষ্ট। 
  • এলার্জি টেস্ট করুন : প্রথমবার ব্যবহারের আগে হাতে বা কানের পেছনে অল্প পরিমাণ লাগিয়ে টেস্ট করে নিন। চুলকানি, লালচে ভাব বা জ্বালাপোড়া হলে ব্যবহার বন্ধ করুন। 
  • অতিরিক্ত গরম তেল ব্যবহার করবেন না : কারি পাতা দিয়ে তৈরি তেল খুব গরম অবস্থায় মাথায় লাগালে স্কাল্পে জালা ভাব হতে পারে। সব সময় হালকা গরম তেল ব্যবহার করুন। 
  • রাসায়নিক পণ্যের সাথে একসাথে ব্যবহার নয় : কারি পাতার প্যাক বা তেল ব্যবহারের সময় অন্য কোন শক্তিশালী কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট (যেমন স্ট্রেইটনিং ক্রিম) ব্যবহার করবেন না। এদের চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 
  • নিয়মিত ধোঁয়া জরুরি : কারি পাতা তেল বা মাস্ক লাগানোর পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। না হলে মাথার ত্বকে ময়লা জমে চুল পড়া বাড়তে পারে। 

সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

প্রশ্ন : কারি পাতা চুলে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? 
উত্তর : কারি পাতা আমাদের চুলের জন্য একটি অতিপ্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপাদান। অনেকভাবে কারি পাতা তুলে ব্যবহার করা যায় যেমন - কারি পাতার তেল তৈরি করে, কারি পাতা ও মেথি হেয়ার প্যাক তৈরি করে এবং কারি পাতার ঘরোয়া উপায় প্যাক তৈরি করে। 

প্রশ্ন : চুল গজানোর জন্য কারি পাতা ও মেথির ব্যবহার? 
উত্তর : চুল গজানোর জন্য কারি পাতা ও মেথি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুল গজানোর জন্য কারি পাতা ও মেথির হেয়ার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

প্রশ্ন : কারি পাতার রস চুলে দিলে কি হয়? 
উত্তর : কারি পাতার রস চুলে দিলে চুল ভেতর থেকে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। কারি পাতার রস চুল পড়া রোধ করে, চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলের রুক্ষ ও শুষ্কতা দূর করে চুলকে নরম, কমল ও সিল্কি করতে সাহায্য করে। 

প্রশ্ন : কারি পাতার হিয়ার মাস্ক কিভাবে ব্যবহার করবেন? 
উত্তর : কারি পাতার হিয়ার মাস্ক প্রতিদিন নিয়মিত গোসলের পূর্বে চুলের ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে এবং ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর মাস্কটি শুকিয়ে আসলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে গোসল করে নিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে হবে। 

প্রশ্ন : চুল গজানোর জন্য কোন পাতা ভাল? 
উত্তর : চুল গজানোর জন্য কারি পাতা হল একটি প্রাকৃতিক উপাদান। কারি পাতাতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল গজাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ মন্তব্য : চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার 

অবশেষে আমরা বলতে পারি, ফুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার এর ফলে চুল অনেক সুন্দর এবং মসৃণ দেখায়। কারি পাতার ভেতরে বিদ্যমান ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মাথার স্কাল্পের এবং চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। সঠিক নিয়মে এবং কারি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার চুল পড়া কমাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। 

অতিরিক্ত কারি পাতা ব্যবহারের ফলে এলার্জি জনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই সতর্কতার সহিত ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ব্যবহার করা উচিত। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। আজকে এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ 🥰

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url