পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন - মোবাইল দিয়ে সহজ উপায়ে
পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে। ঘরে বসেই কয়েক মিনিটে পুরাতন জমির দলিল চেক ও ডাউনলোড করার নিয়ম জানুন।
অনেকের দেখা যায় পুরাতন দলিল হারিয়ে যাই, তখন দলিল তল্লাশি করার জন্য সঠিক পন্থা পান না। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল দিয়ে পুরাতন দলিল বের করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে শেয়ার করব।
পেজ সূচিপত্র : পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন
- পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন
- ভূমি অফিসে গিয়ে পুরাতন দলিল তল্লাশি করার নিয়ম
- জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া যাবে
- দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করার নিয়ম
- দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫
- দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম
- পুরাতন দলিল বের করার বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- লেখক এর শেষ মন্তব্য : পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন
পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন
জমির দলিল হারিয়ে গেলে বা রেজিস্ট্রি খুঁজে না পেলে অনলাইনে তল্লাশি করা খুবই সুবিধাজনক। এখন ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার মাধ্যমে দ্রুত পুরাতন দলিল চেক করা যায়। অনলাইনে দলিল তল্লাশি করা যায় দুইভাবে - যদি মূল দলিল আপনার কাছে থাকে এবং যদি না থাকে।
- মুল দলিল থাকলে : শেষ পাতায় সাল, পৃষ্ঠা নম্বর, রেজিস্ট্রি স্বাক্ষর ও জমির নম্বর সহ তথ্য থাকলে অনলাইনে সহজে মিলিয়ে কপি তৈরি করা যায়।
- মূল দলিল না থাকলে : সরকারি অনলাইন প্লাটফর্মে লগইন করে NID, বিভাগ, জেলা, থানা, মৌজা নম্বর, দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম যাচাই করতে হবে। মিল পাওয়ার পরে সার্ভিস কি পরিশোধের মাধ্যমে দলিলের অনুলিপি ডাউনলোড করা যায়।
সতর্কতা : অনলাইনে পাওয়া দলিল অফিশিয়াল কপি হিসেবে ব্যবহার করার আগে সংশ্লিষ্ট
রেজিস্ট্রি অফিস বা আইনজীবির মাধ্যমে যাচাই করুন।
ভূমি অফিসে গিয়ে পুরাতন দলিল তল্লাশি করার নিয়ম
ভূমি অফিসে গিয়ে পুরাতন দলিল তল্লাশি করার নিয়ম। পুরাতন দলীল তল্লাশি করার জন্য
আমরা বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সময় অনলাইনের মাধ্যমেই করতে পারি। কিন্তু কিছুদিন
আগে পর্যন্ত বা এখনো কিছু মানুষ ভূমি অফিসে গিয়ে তল্লাশি কাজ করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে অফিসে গিয়ে পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম বিষয়ে আমরা এখন আলোচনা করব -
প্রথমত দলিল তল্লাশি করতে হয় যখন দলিল হারিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে কোন কারনে
আপনার কোন জটিলতার সামলা মোকদ্দমার জন্য প্রয়োজন পড়ে সেই সময় মূলত নতুন দলিল
তুলতে হয়। তখন রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সার্টিফাইড দলিলের কপি তোলার জন্য আপনাকে
আগে বুঝতে হবে যে দলিল রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করতে হয়। মূলত দলিল রেজিস্ট্রেশন
বলতে সব ধরনের ইনফরমেশন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন অফিসের সার্টিফিকেট কফি তৈরি করা হয়।
এবং দলিল রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হলে পরবর্তীতে এটি বালাম বইয়ের লিপ্ত করা হয়।
আবার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সূচিপত্র তৈরি করা হয়।
আরো জানুন ঃ
দলিল যখন হারিয়ে যাবে এটা তল্লাশির ক্ষেত্রে আপনারা বালাম বইয়ের নাম্বার,
সূচিপত্র নাম্বার অথবা সূচিপত্রের নাম যেভাবে দলিলটি তৈরি করেছেন ইনফরমেশন দিলে
পরবর্তীতে আপনার দলিলটি তল্লাশি করে দেয়া হবে। এক্সপার্টরা সাধারণত সূচিপত্রের
তল্লাশি করতে দেওয়াটাই বেশি সুযোগ্য মনে করেন। কারণ এতে শরীর খুব তাড়াতাড়ি
খুজে পাওয়ার সম্ভাবনার দেখা দেয়। দলিল তল্লাশির জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারিভাবে এই ফি যেকোনো সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে বর্তমানে ২০ টাকা ফি
প্রযোজ্য। কিন্তু একাধিক বছরের তল্লাশীর ক্ষেত্রে এই ফি পরবর্তীতে ১৫ টাকা করা
হয়ে থাকে।
জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া যাবে
জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া যাবে এখন আমরা সেই সম্পর্কে আলোচনা
করব।
- জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করুন : হারানো দলিল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রথমে আপনার স্থানীয় জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে। সেখানে আপনার জমির রেকর্ড, দাগ নম্বর এবং মালিকানার সম্পর্কে তথ্য খুঁজে বের করতে সহায়ক হতে পারে।
- ভূমি রেজিস্ট্রি বা খাজনা রশিদ ব্যবহার করুন : আপনার জমির খাজনা রশিদ বা ভূমি রেজিস্ট্রি কপির মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।এই রশিদ গুলো জমির মালিকানা প্রমাণ করতে সহায়ক।
- নামজারি আবেদন করুন : যদি জমির দলিল সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায়, তবে আপনি স্থানীয় ভূমি অফিসে নামজারি আবেদন করতে পারেন। এর মাধ্যমে নতুন দলিল তৈরি করা যাবে, যেখানে জমির মালিকানা ও অন্যান্য তথ্য পুনরায় রেকর্ড করা হবে।
- প্রাসঙ্গিক দলিল বা নথির মূল কপি পাওয়ার চেষ্টা করুন : অনেক সময় আপনার জমির পূর্ববর্তী মালিক বা তাদের পরিবার সদস্যরা দলিলের মূল কপি রাখে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে পুরনো দলিলের কপি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
- আইনগত সহায়তা নিন : যদি সমস্যাটির জটিল হয়, যেমন দলীয় নকল বা আইনগত সমস্যা থাকে, তবে আইনজীবীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা যেতে পারে
দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করার নিয়ম
দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা জানবো -
- ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম : দাগ নাম্বার দিয়ে জমির দলিল বের করার প্রথম পদক্ষেপ হলো ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি একটি সরকারি অনলাইন প্লাটফর্ম, যেখানে জমির মালিকানা সম্পর্কে তথ্য দাগ নম্বর দিয়ে খুজে পাওয়া যায়। এটি আপনাকে জমির বিস্তারিত তথ্য যেমন মালিকের নাম, জমির পরিমাণ এবং অবস্থান সরবরাহ করবে।
- ই-নামজারি সেবা : বাংলাদেশে বেশ কিছু জেলা প্রশাসন ই-নামধারী সেবা চালু করেছে, যা ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে জমির দাগ নাম্বার দিয়ে জমির দলিলের কপি পেতে পারেন । সিস্টেমটি দ্রুত এবং সহজে জমির তথ্য নিশ্চিত করে।
- জেলা ভূমি অফিস : আপনি যদি অনলাইনে তথ্য না পেয়ে থাকেন, তবে জেলা ভূমি অফিসে গিয়ে জমির দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করতে পারেন। ভূমি অফিসে গিয়ে আপনাকে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে দলিলের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
- রেজিস্ট্রি অফিস : জমির দলিল সংরক্ষণকারী রেজিস্ট্রি অফিসে এও দাগ নম্বর দিয়ে পুরাতন দলিল খুঁজে বের করা। এখানে প্রক্রিয়া প্রায় একই, তবে স্থানীয় রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে প্রাপ্তির সময়সীমা।
- অনলাইন প্লাটফর্ম : অনলাইনে কিছু প্লাটফর্ম যেমন - Bangladesh digital archives এও পুরাতন জমির দলিল ডিজিটাল সংরক্ষিত থাকতে পারে। দাগ নাম্বার দিয়ে সেগুলোর খোঁজ পাওয়া সম্ভব।
দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫
দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫ সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। দলিলের নকল তোলার খরচ
বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা ভূমি অফিসে নির্ধারিত থাকে, যা কয়েকটি বিষয় অনুসারে
পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৫ সালে সাধারণত খরচের পরিমাণ নিম্ন হতে পারে -
- দলিলের নকলের জন্য আবেদন ফি : দলিলের নকল নিতে আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত এটি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা হতে পারে, তবে ফি ভিন্ন ভিন্ন জেলা ও উপজেলা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
- প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট ফি : অনেক সময় দলিলের কপি প্রত্যয়ন করা হলে, অতিরিক্ত ফি হিসেবে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতে পারে।
- ডিজিটাল কপি বা প্রিন্টিং খরচ : ডিজিটাল কপি বা প্রিন্ট কপি নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যা সাধারণত ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
- বিশেষ আবেদন বা জরুরি সেবা : যদি জরুরী ভিত্তিতে দলের নকল প্রয়োজন হয়, তবে সাধারণ ফি ছাড়াও অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হতে পারে।
এই খরচে স্থানে অফিসের নিয়ম এবং সেবা ধরনের ওপর নির্ভর করে কিছুটা পার্থক্য
থাকতে পারে। তাই সঠিক তথ্য জানতে আপনাকে স্থানীয় ভূমি অফিসে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম
দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম। পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল
দিয়ে। দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ
করতে হয়। ২০২৫ সালের এ প্রক্রিয়া সাধারণত নিন্মে আলোচনা করা হলো -
- প্রথমে আবেদন করা : প্রথমে ভূমি অফিসে গিয়ে বা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র জমির দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করে সার্টিফাইড কপি চাওয়া হয়।
- ফি পরিশোধ : সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে ফি পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত ফি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে পরিবর্তিত হতে পারে।
- সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রক্রিয়া শুরু : আবেদন জমা দেওয়ার পর ভূমি অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্ট দলিলটি খুঁজে বের করে এবং তা প্রত্যয়ন করে।
- সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সার্টিফাইড কপি প্রস্তুত হয় এবং প্রাপ্তির জন্য আপনাকে অফিসে যেতে হয়।
- অনলাইন সেবা : কিছু জেলা বা উপজেলা প্রশাসন অনলাইনে সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করে। ই-নামজারি বা ভূমি ব্যবস্থাপনার সিস্টেমের মাধ্যমে সার্টিফাইড কপি অনলাইনে পেতে পারেন, তবে এজন্য নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় সার্টিফাইড কপি পাওয়া সম্ভব এবং এটি ভবিষ্যতে মালিকানা প্রমাণে কাজে আসে।
পুরাতন দলিল বের করার বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
প্রশ্ন : দলিল তল্লাশীর জন্য কোথায় যেতে হবে?
উত্তর : দলিল তল্লাশির জন্য দলিল রেজিস্ট্রেশন অফিসে যেতে হয়। রেজিস্ট্রেশন
অফিসের নির্দিষ্ট ফি জমা দেওয়ার পরে তল্লাশি করে আপনার সার্টিফাইড কপি বের করে
দেয়া হবে।
প্রশ্ন : পুরাতন দলিল বের করার প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তর : আপনার দলিল কোন কারণে হারিয়ে গেলে বা আপনার পরিবারের কেউ মারা গেলে বা
কোন সদস্য যোগ হলে এমত অবস্থায় পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সম্পত্তি
বন্টনের সময়ও প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রমাণস্বরূপ পুরাতন দলিল এ মালিক কারা
আছেন এবং প্রয়োজনে মালিকের পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে জমির দলিল সংক্রান্ত কাজের জন্য কত দিন সময়
লাগতে পারে?
উত্তর : বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের ভূমি বিষয়ে দলিলের কাজের জন্য দেখা যায় অনেক
দিন সময় নষ্ট হয়। নির্দিষ্ট কোন সময় উল্লেখ করা থাকে না। সাধারণত এক মাস থেকে
এক বছর সময়ও লেগে যেতে পারে।
প্রশ্ন : দলিল বিষয়ক তথ্য বা সমস্যা সমাধানের জন্য কোন মন্ত্রণালয় কাজ
করে?
উত্তর : দলিল বিষয়ক সমস্যার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য : পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন
আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম, পুরাতন দলিল অনলাইনে বের করুন খুব সহজে
নিজের মোবাইল দিয়ে। দলিল খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, যা আমাদের সম্পত্তি
বিষয়ক সঠিক তথ্য বা প্রমাণ। আজকে আপনারা জানতে পারলেন মোবাইলের সাহায্যে দলিল
বিষয়ক বেশ কিছু কাজ ঘরে বসে করা যায় যার সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচায়।
ঘরে বসেই কি করে খুব সহজে উপায়ে পুরাতন দলিল হাতে পাওয়া যায় সে ব্যাপারে
আমাদের একটি বিস্তারিত ধারণা হলো। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনারা ভবিষ্যতে
দলিল বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে ভূমি অফিসে বারবার দৌড়াদৌড়ি না করে অনলাইনে ঘরে
বসেই আপনার কাঙ্খিত দলিল বিষয়ক তথ্য পেয়ে যাবেন। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url