*/

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয় - সম্পূর্ণ গাইড

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয়? ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাইলে জানতে হবে কিভাবে এই পেশায় প্রবেশ করা যায়, কোন যোগ্যতা দরকার, কোথায় কোর্স করা যায় এবং কত আয় করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে জানুন ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যারিয়ার, স্কিল, বেতন ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজাইনারদের সম্পর্কে বিস্তারিত। 
ফ্যাশন-ডিজাইনার-হতে-হলে-কি-করতে-হয়


বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনার একটি জনপ্রিয় পেশা এবং এ পেশায় অসংখ্য লোক কাজ করে। আপনি যদি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনার দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয়? তার সঠিক গাইডলাইন আপনাদের সাথে তুলে ধরব। 

পেজ সূচিপত্র : ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয় 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয় 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? আজকে আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ এ টু জেড এই আর্টিকেলটিতে বলে দেবো যে একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনার কি কি করা লাগবে। প্রথমেই বলি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে কোর্স করা লাগবে। কারণ আপনি হয়তো অনেক কিছু জানেন কিন্তু একটি কোর্স করলে যতগুলো বিষয় জানবেন সেগুলো হয়তো আপনি জানেন না। কিসের জন্য ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে মাস্ট বি একটি কোর্স করতে হবে। এবং আপনি চাইলে কোর্স করা অবস্থায়ও জব করতে পারবেন। তো আমি আর্টিকেলে কোথায় কোর্স করলে ভালো হবে দেশের এবং দেশের বাইরে কিছু কোর্স সম্পর্কেও আলোচনা করব। 

আরও ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে এই সেক্টরের সময় দিতে হবে। এটা হয়তো আপনারা সবাই জানেন যে যে কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য সেখানে সময় দিতে হয় অনেকদিন। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে সময় দিতে হবে এবং আপনার দক্ষতা স্কেলকে কাজে লাগাতে হবে এবং মন দিয়ে কাজ শিখতে হবে। তাহলে হয়তো আপনি একদিন সফল ডিজাইন হয়ে উঠতে পারবেন। আবার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিক কমপ্লিট করা লাগবে। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক কমপ্লিট না করলে যে কোন জায়গায় জবের জন্য গেলে জব পাওয়া অনেক মুশকিল হয়ে যাবে। মাস্ট বি আপনাকে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার পাশ করতে হবে এবং মিনিমাম ৫০ পার্সেন্ট নাম্বার থাকা লাগবে। 

ফ্যাশন ডিজাইনার কি ধরনের কাজ করেন 

মূলত একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ হলো চলতি অবস্থা, পরিবেশ এর ওপর নির্ভর করে নিত্য ডিজাইন তৈরি করা। ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজগুলো নিচে দেওয়া হলো -
  • রুচি ভেদে পোশাক তৈরি করা। 
  • পোশাকের সঠিক ধরণ নির্বাচন করেন। 
  • চলতি ফ্যাশন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। 
  • নতুন পোশাক তৈরির যাবতীয় দেখাশোনা বা তদারকি করা। 
  • পরিবেশ ও অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ফ্যাশন বজায় রাখা। 
  • পোশাকের বাজেট নির্ধারণ করা। 
  • পোশাকের পাশাপাশি যাবতীয় অরনামেন্টস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা। 

ফ্যাশন ডিজাইনারের কি কি স্কিল থাকা প্রয়োজন

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? ও একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের কি কি স্কিল থাকা প্রয়োজন সে সম্পর্কে এই সেকশনে সুন্দরভাবে আলোচনা করব। আমি বলিনি যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে তার অনেক স্কিল ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার এর কিছু স্কিল এর নাম নিচে বলে দেব। যেগুলো একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনারের থাকা দরকার। এই স্কিল গুলো যদি তার না থাকে তাহলে সে ফ্যাশন ডিজাইনার সম্পর্কে কিছুই বোঝেনা। 
  • গুড ইমাজিনেশন
  • মার্কেট ডিমান্ড এন্ড অবজারভেশন 
  • স্কেচিং 
  • কালার সেভ এন্ড টুলস
  • ইউনিক আইডিয়া 
  • ক্রিয়েটিভিটি 
  • আর্টিস্ট থিংকিং 
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে মাস্ট বি আপনাকে এই সকল স্ক্রিল গুলো জানা লাগবে। আর শুধু যে এই স্কুলগুলো জানলেই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া যাবে এমন কোন কথা না। এই স্কিল গোলা পপুলার স্কিল গুলোর মধ্যে কিছু। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার যদি এই পপুলার কিছু স্কিল গুলা না জেনে থাকে তাহলে সে ফ্যাশন ডিজাইনের কোন কাজই পারবে না এবং কোথাও সে জব করতেও পারবে না। আর এই স্কিল গুলার কাজ কি সেগুলো জানা লাগবে। আশা করবো এই স্কিলগুলোর কাজ কি সে সকল বিষয়গুলো জানলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ করতে পারবেন এবং যেকোন ওয়ার্কশপে কিনবা কোম্পানিতে আপনি কাজ করতে পারবেন। 

ফ্যাশন ডিজাইনারের শিক্ষাগত যোগ্যতা 

ফ্যাশন ডিজাইনার এর শিক্ষাগত যোগ্যতা? এটা খুবই ইম্পরট্যান্ট একটি সেকশন হতে চলেছে। তো সেকশনটি আপনার মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝে নিন যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু থাকা লাগবে। প্রথমে আমি বলি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে পড়াশোনা জানা লাগবে এবং অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা লাগবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন এবং এখানে বয়সেরও ফ্যাক্ট আছে সে বয়সের মধ্যে হলে আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন এবং খুব অল্প সময়েই কোর্স কমপ্লিট করতে পারবেন। 
  • উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা লাগবে 
  • উচ্চ মাধ্যমিক সর্বনিম্ন ৫০% মার্ক থাকা লাগবে 
  • ২৩ বছরের নিচে বয়স থাকা লাগবে 
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে মাস্ট বি এতটুকু যোগ্যতা অবশ্যই থাকা লাগবে। এ যোগ্যতাটুকু যদি থাকে তাহলে আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন। এবং আপনার বয়স যদি আবার ২৩ বছরের বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনি ব্র্যান্ড কোম্পানি বলেন কিংবা আপনি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন না বললেই চলে। উপরের রুলস গুলো মেনে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কে দক্ষতা প্রমাণ করা হয়। এজন্যই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে মাস্ট বি এই যোগ্যতাটুকু আপনার থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। 

ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য কোন সাবজেক্ট ভালো 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে তা জানার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনের জন্য কোন সাবজেক্ট ভালো এটা জানাও জরুরি। আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইনিং ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে এমন কিছু সাবজেক্ট চুজ করতে হবে যেটি আপনাকে ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে থেকেই সাবজেক্ট বেছে নেওয়া ভালো। যেমন - সৃজনশীল, আর্ট, ডিজাইন, গাণিতিক ধারণা আছে এমন সাবজেক্ট। আর্টস ও সাইন্সের দুই বিভাগ হলে ভালো। 
আরো পড়ুন :
তবে ফ্যাশন ডিজাইনারে যারা যুক্ত তারা মোটামুটি আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই আসেন মূলত। তাদের ড্রয়িং, রং বোঝার ক্ষমতা, নকশা করার দিকগুলো যা শেখায় তাতে তাদের সুবিধা হয়। এইচএসসিতে চারুকলা, কম্পিউটার, আইসিটি কিংবা গণিত, পদার্থ নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে এগুলো আপনাকে ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইন হতে সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয় সব বিভাগ থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নিলেও যারা আগে থেকে আর্টস, ডিজাইন, কম্পিউটার, গ্রাফিক্স পারেন তারা এগিয়ে থাকে। 

বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কারা

বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে? হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে। তো আজকে আমি আপনাদের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে তার সম্পর্কে কিছু কথা বলবে এবং তার নাম কি সেটাও বলবো। আবার বলবো ইন্ডিয়ার ও কিছু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম। তো চলুন প্রথমে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কে কিছু নেওয়া জেনে নেওয়া যাক। 
  • মাহিন খান : বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। মাহিম খান বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিন খান। 
এখন হয়তো আপনার বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে। এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ কোনটা তার উনার এবং তার পরিচালককে সে সম্পর্কে হয়তো বুঝতে পেরেছেন। এখন নিচে দেখে নেন যে ইন্ডিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম -
  • মনিশ মালহোত্রা : নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার হলো মনিশ মালহোত্রা। যে বর্তমানে চলচ্চিত্র জগতের বলিউডের অনেক সিনেমায় সে ফ্যাশন ডিজাইনের কাজ করে। তাহলে বুঝতেই পেরেছেন ইন্ডিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে। 

ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন 

বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইন অত্যন্ত চমৎকার এবং লাভজনক একটি পেশা। আপনি যদি সৃজনশীল মেধার হয়ে থাকেন তাহলে এই পেশায় অবশ্যই আপনি সফল হতে পারবেন। ক্যারিয়ার হিসেবে বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইন খুব চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে ক্রিয়েটিভ এবং আর্টিস্ট দুই বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। বর্তমানে অনেকেই ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার চিন্তা করে থাকেন। 

তবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার পূর্বে কিছু বিষয়ে সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনিও বুঝতে পারবেন আপনার এই ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া উচিত হবে কিনা। একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের ডিমান্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে অনেক বেশি। সুতরাং আপনি যদি এই পেশায় আসতে চান অবশ্যই আসতে পারবেন কিন্তু আপনাকে ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা হতে হবে। 

ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন কেমন 

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্যাশন ডিজাইনার অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা। দিন দিন এই পেশা চাহিদা যেন বেড়েই চলেছে। শুধু নিজের দেশে না বাহিরের দেশেও এই পেশার প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে, কারণ সময়ের সাথে সাথে নিত্য নতুন ট্রেন ফলো করতে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার শরণাপন্ন হতে হয়। 

একজন ফ্যাশন ডিজাইনার যদি দক্ষ এবং পরিশ্রমি হয়ে থাকে তাহলে সে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবে। শুরুতেই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন সাধারণত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তারপর আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী এবং বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান আপনাকে মাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিবে। 

ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স কোথায় করা যায় 

আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্যাশন ডিজাইনার হতে সাহায্য করে। অফলাইনে ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে হতে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে চার বছর মেয়াদী কোর্স করতে হবে। বাংলাদেশে এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্স করাই থাকে। এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম নিচে দেওয়া হল -
  • বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি। 
  • বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় 
  • ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি 
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি 
  • এসএ মেমোরিয়াল ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেক্সটাইল কলেজ 
  • বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি 

ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স সম্পর্কে 

ফ্যাশন ডিজাইনার এর কোর্স সম্পর্কে কিছু কথা। প্রথমত ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোর্স করা লাগবে। এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কোন কোর্স টি করলে ভালো হবে ঈদের সময় কম লাগবে এবং কোন কোর্সটি কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এই সেকশনে। প্রথমত ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে মাস্ট বি দুইটা কোর্স করতেই হবে এবং ফ্যাশন ডিজাইনের মোট কোর্স তিনটা সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো -
  • শর্ট টাইম ডিপ্লোমা 
  • গ্রাজুয়েশন কোর্স 
  • পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স 
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে এই তিনটি কোর্স অবশ্যই করা লাগবে। এই তিনটি কোর্স সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করলে সে বাংলাদেশের কিংবা ইন্ডিয়ার যে কোন ব্র্যান্ড কোম্পানিতে অনায়াসে জব করার অফার পাবে। তো এই তিনটি কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। 
  1. শর্ট টাইম ডিপ্লোমা : শর্ট টাইম ডিপ্লোমা এই কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনাকে মিনিমাম এক থেকে তিন বছর এই কোর্সের পিছনে সময় দিতে হবে। এবং কোর্স চলাকালীন অবস্থায় আপনি যদি মনে করেন যে ছোটখাটো কোন কোম্পানিতে কিংবা ওয়ার্কশপে কাজ করব সেটাও পারবেন। আর শর্ট টাইম ডিপ্লোমা কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনার ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। 
  2. গ্রাজুয়েশন কোর্স : আপনি যদি শর্ট টাইম কোর্সটি নাও করেন কোন সমস্যা নেই কিন্তু আপনাকে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স এটি করতেই হবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনের হতে হলে। এই কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনার তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে এবং এই কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনার মোট ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আবার চাইলে কোর্স চলাকালীন অবস্থায় আপনি ছোটখাটো কোন কোম্পানিতে কিনবা ওয়ার্কশপে কাজ করতে পারবেন। 
  3. পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স : প্রথমত আপনি গ্রাজুয়েশন কোর্সটি কমপ্লিট করা হয়ে গেলে মাস্ট বি আপনাকে পোষ্ট গ্রেজুয়েশন কোর্সটি ও কমপ্লিট করতে হবে। কারণ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা হয়ে গেলে আপনি জব পাবেন না যতদিন আপনি পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সটি কমপ্লিট করবেন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স কমপ্লিটেড সার্টিফিকেট হাতে পাবেন তখন আপনি যে কোন ব্র্যান্ড কোম্পানিতে কিংবা আপনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করতে পারবেন। 
আশা করবো এখন আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি ধরনের কোর্স করা লাগবে। এবং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে, কতদিন সময় লাগবে সেই সম্পর্কে সকল তথ্য জেনেছেন।

ফ্যাশন ডিজাইনের পপুলার কিছু জব 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে এসেছি। এখন কথা হচ্ছে যে ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স কমপ্লিট করলাম সম্পন্ন কিছু কমপ্লিট করে এখন আমি কোথায় জব করতে পারব। এ বিষয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে মানুষের মনে। তো আজকে আমি আপনাদেরকে ফ্যাশন ডিজাইনারের কিছু পপুলার জব এর নাম বলব। এবং এই জবগুলো বছরে ১২ মাস আপনি এই সকল কাজগুলো করতে পারবেন এবং এই সকল কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তো চলুন পপুলার কিছু যাবে নাম দেখে নিন। 
  • ফ্যাশন ডিজাইনার 
  • টেক্সটাইল ডিজাইনার 
  • ফ্যাশন স্টাইলিস্ট 
  • কস্টিউম ডিজাইনার 
  • ফ্যাশন ইলাস্ট্রেটর 
  • ফ্যাশন ব্লগার 
  • ফ্যাশন প্রোডাক্ট ম্যানেজার 
  • ফ্যাশন ব্রান্ড ম্যানেজার 
  • টেকনিশিয়ান ডিজাইনার 
উপরে যে সকল জব গুলোর নাম দেখতে পাচ্ছেন এই জবগুলো বছরে প্রায় ১২ মাসে চলে। এবং এই জবগুলোর চাহিদা অনেক বেশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ কিংবা ইন্ডিয়ার মানুষ সকলে এই সকল ব্র্যান্ডের জামা কাপড়, পেন্ট প্রতিবছর ইউজ করে। এজন্য এ সকল পপুলার জবগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। আর এই সকল প্রোডাক্টের চাহিদা অনেক বেশি। আর প্রোডাক্টের চাহিদা যদি বেশি না হয় তাহলে জবের চাহিদাও তো বেশি হবে না এটা স্বাভাবিক। তাই আপনি নিজেই ভাবতে পারেন যেসব প্রোডাক্ট এর চাহিদা বেশি সে সকল জব গুলোর চাহিদা বেশি হবেই। 

লেখকের শেষ মন্তব্য : ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয় 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হয় তা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনার সৃজনশীলতা মেধা এবং জ্ঞানের পরিধিকে কাজে লাগিয়ে আপনি একজন ভালো মানের ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন। আপনি ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন, কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী অর্জন করুন এবং এই পেশায় সময় দিন। আপনার ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা এবং সৃজনশীল মন মানসিকতা আপনাকে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে সাহায্য করবে। 

আশা করি আপনারা সব বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানতে পারেন। এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেল করার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ 🥰

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাক্ষোমা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url